দিন দুয়েক আগেই জানা গিয়েছিল যে টেলিপর্দার জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘কনে বউ’ এবং ‘কৃষ্ণকলি’র বহু কলাকুশলীর শরীরে করোনার উপস্থিতি ধরা পড়েছে। কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ এসেছিল ‘কৃষ্ণকলি’র অশোক অর্থাৎ ভিভান ঘোষেরও। এবার সেই ধারাবাহিকেরই মূল চরিত্র ‘নিখিল’ ওরফে নীল ভট্টাচার্যের (Nil Bhattacharya) করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর প্রকাশ্যে এল।
টেলিদর্শকদের অবাক করে দিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে প্রিয় অভিনেতা নীল জানিয়েছেন যে অশোকের পর এবার তাঁর শরীরেও করোনার উপস্থিতি ধরা পড়েছে। ‘কৃষ্ণকলি’র এই অভিনেতা দিন দুয়েক আগেই জানিয়েছিলেন যে তাঁর স্বাদ এবং গন্ধের অনুভূতি চলে গিয়েছে। তাই কোনওরকম ঝুঁকি না নিয়ে নিজেই করোনার পরীক্ষা করান। মঙ্গলবার অর্থাৎ আজ তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
প্রসঙ্গত, সোমবারও অভিনেতা শুটিং সেরে এসেছেন। নিখিল ওরফে নীল ভট্টাচার্যের এদিন ক্লোজ শট ছিল। সেই ভাবেই শুটিং করা হয়েছে। ‘কৃষ্ণকলি’র (Krishnakoli) দুই অভিনেতা করোনা আক্রান্ত হওয়ায় চিন্তায় পড়েছেন নির্মাতারা। টলিমহলে উদ্বেগও প্রকাশ করেছেন অনেকে। তবে সূত্রের খবর বলছে, আপাতত ধারাবাহিকের অন্যান্য কলাকুশলীদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচ্ছে না। গল্প এগিয়ে নিয়ে যাবেন সিরিয়ালের মূল চরিত্র শ্যামা।
উল্লেখ্য, নীল কিন্তু ছোটপর্দার দীর্ঘদিনের পরিচিত অত্যন্ত পরিচিত মুখ। এইসময়কার টেলিদর্শকদের অন্যতম পছন্দের অভিনেতা। নীল জানিয়েছেন, “আজ সকালে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। হোম কোয়ারান্টিনে আছি। চিত্রনাট্যে কিছু বদলের মাধ্যমে কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। তবে করোনা হয়েছে জানার পর বাবা-মা’র থেকে আলাদা রয়েছি। আমি কোনও জিনিসের গন্ধ পাচ্ছিলাম না দেখে করোনা পরীক্ষা করাই। এখন জ্বর নেই। প্রয়োজনে বাড়ি থেকে শুটিং করে পাঠাতে পারি। লকডাউনের মধ্যে এরকমভাবে শুটিং করে অভ্যেস হয়ে গিয়েছে। আপনাদের সকলকে বলবো, সাবধানে থাকুন।”
প্রসঙ্গত, তিনি সর্বদাই মারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার বার্তা দিয়ে গিয়েছেন। এমনকী লকডাউনে একটি ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে কোভিড-১৯ রিলিফ ফান্ডের কাজ শুরু করেছিলেন। এই সময়ে প্রচুর মানুষ কাজ হারিয়েছেন, করোনায় আক্রান্ত হয়ে বিপাকে পড়েছেন, অসহায় সেসব মানুষদের পাশে দাঁড়াতেই এই উদ্যোগ নিয়েছিলেন অভিনেতা। এমনকী এই পরিস্থিতিতে সকলকেই এগিয়ে আসার জন্য আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। এবার নীল ভট্টাচার্য নিজেই করোনায় আক্রান্ত।
তাহলে কি নীলকে ছাড়াই কয়েকদিন এখন কাটাতে হবে শ্যামাকে? উঠছে প্রশ্ন। এপ্রসঙ্গে অভিনেতার মত, চাইলে বাড়ি থেকে শুটিং করে পাঠিয়ে দিতে পারি। লকডাউনে সেই অভ্যেসও তৈরি হয়ে গিয়েছে।