তৈরি নয়া শিক্ষা নীতি। সেই শিক্ষানীতির প্রশংসায় সরব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার তিনি বলেন কেন্দ্রের নতুন শিক্ষা নীতি চাকরি প্রার্থী তৈরি করবে না। বরং এই নতুন শিক্ষা ব্যবস্থায় চাকরি তৈরি করা ও অন্যদের চাকরির সুযোগ করে দেওয়ার মতো মানুষ তৈরি করা হবে।
মোদী এদিন বলেন এতদিনে দেশের শিক্ষানীতি একটি নির্দিষ্ট ধারা ও রূপ পেয়েছে। যেখানে শিক্ষার ব্যবহারিক দিকের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। এর মূল তত্ব ও বিষয়কেই বদলে ফেলার কথা ভাবা হয়েছে। যা পড়ুয়াদের জীবন বদলাতে সক্ষম হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর দাবি নতুন শিক্ষানীতি বাস্তব রূপ পাচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা থেকেই। আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার ফ্লেক্সিবিলিটি বা নমনীয়তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সাম্প্রতিক কালের নির্যাস তুলে ধরা হবে এই শিক্ষা ব্যবস্থায়। জাতীয় শিক্ষানীতির এটাই মূল লক্ষ্য। ২০৩৫ সালের মধ্যে প্রাথমিক থেকে উচ্চ শিক্ষার সব স্তরে নতুন শিক্ষানীতি আমূল পরিবর্তন ঘটাবে।
তাঁর বক্তব্য এই দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বে শিক্ষাব্যবস্থার আধুনিকীকরণ না ঘটালে দেশের পড়ুয়ারা আন্তর্জাতিক স্তরে পিছিয়ে পড়বে। তাদের প্রতি দায়বদ্ধ দেশ। সেদিকে নজর রেখেই নতুন শিক্ষা ব্যবস্থার উদ্বোধন।
ভারি স্কুল ব্যাগ নয়। স্মার্ট লার্নিংয়ের দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। ভবিষত্যের দিকে তাকিয়ে পড়ুয়ার জীবন ভিত্তিক শিক্ষা দেওয়া হবে বলেও এদিন জানান তিনি।
এদিকে, দেশের নতুন শিক্ষা ব্যবস্থার কড়া সমালোচনা করেছে তৃণমূল সরকার। বাংলার শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন কেন্দ্র যা প্রস্তাব আকারে দিয়েছে তাতে শিক্ষা ধ্বংস হবে। ইউজিসি তো থাকবেই না ভাষা নিয়ে সংকট হবে।
কেন্দ্র যে খসড়া পাঠিয়েছে তাতে করে মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক দুই শিক্ষা ব্যবস্থাতেই আমাদের আপত্তি আছে। তিনি আরও বলেন, “সবটাই কেন্দ্র সরকারের ইচ্ছা মতো হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকার থাকবে না এভাবে। এরকম নানান বিষয়ে আমাদের আলোচনা হয়েছে। সকলেই আমরা এক মত।“