ভয় পেতে শুরু করেছে দুই দেশ। তথাকথিত প্রতিবেশি চিন (china)ও পাকিস্তান (pakistan)এবার যে রাফায়েল আতঙ্কে ভুগতে শুরু করেছে, তা স্পষ্ট। নয়তো ভারতের মাটিতে রাফায়েল ফাইটার জেট নামার পর থেকেই একাধিক বিবৃতি দিতে শুরু করত না এই দুই দেশ। একদিকে পাকিস্তান যখন অসামঞ্জস্যপূর্ণ অস্ত্রসজ্জা ও অস্ত্র আমদানির কাঁদুনি গাইতে শুরু করেছে, তখন অন্যদিকে চিন দুদেশের সীমান্তে শান্তি বজায় রাখার বার্তা তুলে ধরছে।
বুধবার অর্থাৎ ২৯শে জুলাই ফ্রান্স থেকে ৫টি রাফায়েল ফাইটার জেট ভারতে আসার একদিন পর থেকেই দুই দেশ যে বেশ চিন্তিত, তার প্রকাশ ঘটছে। ইসলামাবাদ নিজেদের চিন্তার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে ভারতের তরফ থেকে হামলার আশঙ্কা করে, অপরদিকে, চিন চাইছে শান্তি বজায় রাখুক ভারত।
বৃহস্পতিবার পাকিস্তান বিশ্বের অন্যান্য দেশের কাছে আবেদন করেছে ভারতের বৈষম্যমূলক ভাবে অস্ত্র সংখ্যা বৃদ্ধি করার প্রবণতাকে ঠেকাতে। পাকিস্তানের দাবি ভারতকে যেন বিভিন্ন দেশ বুঝিয়ে নিরস্ত করে অস্ত্রবৃদ্ধির বিষয়ে। পাক বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র আইশা ফারুকি এই আবেদন করেন।
পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ সীমান্তে অহেতুক অস্ত্রসংখ্যা বৃদ্ধি করে উত্তাপ বাড়াচ্ছে নয়াদিল্লি। দক্ষিণ এশিয়ায় অস্ত্র কেনাবেচার প্রতিযোগিতা এতে আরও বাড়বে বলে অভিযোগ তাদের।
এদিকে, রাফায়েল জেট ভারতে নামার পরেই চিন ও পাকিস্তানকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। সেই বক্তব্যকে তুলে ধরে চিনের দাবি সীমান্তে শান্তি বজায় রাখবে ভারত, এটা তারা আশা করে। চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেন আঞ্চলিক শান্তি ও কূটনৈতিক স্থিতাবস্থা ভারত যেন বজায় রাখে। তাহলে দুদেশেরই শান্তি বজায় থাকবে বলে জানিয়েছে চিন।
এর আগে ২৯শে জুলাই প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং জানিয়ে ছিলেন ভারতীয় বায়ুসেনায় শক্তিশালী রাফায়েল জেটকে স্বাগত। এবার সেই সব দেশ সাবধান হোক, যারা ভারতীয় ভূখন্ডে অনধিকার প্রবেশ করে দখলদারি চালাতে চায়। তাদের সেই ইচ্ছা কোনও দিনই পূরণ হবে না।
বুধবার ট্যুইট করে কড়া বার্তা দেন রাজনাথ। তিনি বলেন যদি ভারতের প্রত্যুত্তর দেওয়ার ক্ষমতা সম্পর্কে কেউ অবগত না হয় বা কেউ যদি ভারতের ক্ষমতা নিয়ে সন্দিহান হন, তবে তারা সাবধান হয়ে যান। ভারত কোনও ভাবেই নিজের সার্বভৌমত্বর সঙ্গে আপোষ করবে না।