কোভিড -১৯ (Covid-19) ভ্যাকসিনের প্রতিনিধি চিত্র (টুইটার)
স্ন্যাপশট
কোভিড -১৯ (Covid-19) এর ভ্যাকসিন যে গতিতে তৈরি করা হচ্ছে তা স্পষ্টভাবেই নজিরবিহীন। এই বিষয়ে আমাদের কতটা আশাবাদী হওয়া উচিত?
তিনটি নমুনা ভ্যাকসিন নিয়ে এই মূহুর্তে সবথেকে বেশী আলোচনা চলছে।
নভেল করোনাভাইরাসের জেনেটিক সিকোয়েন্স ছয় মাস আগে সামনে এসেছিলো। সেই সময় থেকেই SARS-CoV-2 এর ভ্যাকসিন তৈরীর পৃথিবী জুড়ে পূর্ণোদ্যমে চেষ্টা চলছে।
প্রাক-ক্লিনিকাল মূল্যায়ন পর্যায়ে বর্তমানে ১৪২ টি নমুনা ভ্যাকসিন রয়েছে (২১শে জুলাইয়ের হিসাব অনুসারে)‚ বিভিন্ন ল্যাবে মানুষ বা অন্যান্য প্রাণীদের উপর তা প্রয়োগ করা হয়েছে। আর ২৪টা ভ্যাকসিন রয়েছে ক্লিনিক্যাল মূল্যায়ণে।
এগুলোর মধ্যে কিছু ভ্যাকসিন সত্যিই আশা জাগাতে পেরেছে। কিছু আবারও মিডিয়া হাইপও তৈরী করেছে। আর তিনটি ভ্যাকসিন নিয়ে এই মূহুর্তে সবথেকে বেশী আলোচনা চলছে।
১- যুক্তরাজ্যের ফার্মাসিউটিক্যাল মেজর অ্যাস্ট্রাজেনিকার সাথে অংশীদারিত্বে তৈরী অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্যাকসিন।
২- ফার্মাসিউটিক্যাল মেজর ফাইজার এবং ইউরোপীয় বায়োটেক সংস্থা বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন।
৩- মার্কিন স্বাস্থ্য সংস্থা মোডার্নার সাথে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ হেলথের যৌথ উদ্যোগে তৈরী ভ্যাকসিন।
ভ্যাকসিন তৈরী
ChAdOx1 nCoV-19
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) যখন ভাইরাসটির জিনগত তথ্য পায় তখনই অধ্যাপক সারা গিলবার্ট, অ্যান্ড্রু পোলার্ড, টেরেসা ল্যাম্বে এবং অন্যদের নেতৃত্বে অক্সফোর্ডের একটি দল ১০ই জানুয়ারী,এই ভ্যাকসিনের উপর কাজ শুরু করে। SARS-CoV-2 ভ্যাকসিন তৈরীত জন্যে উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে একটি শিম্পাঞ্জী অ্যাডিনো ভাইরাস ভ্যাকসিন ভেক্টরকে(ChAdOx1) ইন-হাউস জেনার ইনস্টিটিউটে তৈরী করা হয়েছিলো।
এই ভাইরাস ভেক্টরটিকে নিয়ে ভালভাবে
অধ্যয়ন করা হয়েছে এবং নানা সময়ে এটি ব্যবহৃত হয়েছে। অক্সফোর্ডের রিপোর্ট অনুসারে এক সপ্তাহ থেকে ৯০ বছর বয়স পর্যন্ত ১০ টিরও বেশি বিভিন্ন রোগের উদ্দেশ্যে ভ্যাকসিনগুলিতে ব্যবহার করা হয়েছে।”
তবে প্রফেসর গিলবার্ট এবং এই দলের জন্যে এটাই প্রথম সাফল্য নয়। এর আগেও তারা মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিন্ড্রোমের জন্যে দায়ী অন্য করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরীর কাজে তারা সফলতা পেয়েছিলেন।
আড়াই মাসের ভ্যাকসিনের বিকাশ ঘটে এবং অক্সফোর্ড গবেষকরা ক্লিনিকাল পরীক্ষার জন্য ১৮-৫৫ বছর বয়সী স্বাস্থ্যবান স্বেচ্ছাসেবকদের খোঁজে ছিলেন।
এপ্রিল মাসে, স্বেচ্ছাসেবীদের উপর পরীক্ষা শুরু হয়। ১০৭৭ জনের মধ্যে অর্ধেককে ভ্যাকসিনটি দেওয়া হয় ও বাকি অর্ধেককে (নিয়ন্ত্রণ গ্রুপ) দেওয়া হয়েছিল একটি মেনিনজাইটিস ভ্যাকসিন।
পরীক্ষা ও বিশ্লেষণ চলার সাথে সাথে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক গ্লোবাল বায়োফর্মাসিউটিকাল কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকার সাথে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় অংশীদারিত্ব ঘোষণা করে।
তারপরে, ২০শে জুলাই, জানা গিয়েছিল যে অক্সফোর্ড করোনভাইরাস ভ্যাকসিনটি একটি জোরালো প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করেছে। টিকা দেওয়ার ১৪ দিনের মধ্যে এটি একটি টি সেল প্রতিক্রিয়া এবং ২৮ দিনের মধ্যে অ্যান্টিবডি প্রতিক্রিয়া দেখাতে শুরু করে।
(টি সেল কীভাবে কাজ করে তা পড়ুন – https://swarajyamag.com/science/science-simplified-what-is-the-t-cell-response-in-covid-19-vaccine-trials-and-why-it-is-key-to-coronavirus-fight)।
ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ পেয়েছে এমন ১০ জন স্বেচ্ছাসেবীর মধ্যে একটি জোরালো প্রতিরোধ প্রক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়। যদি সবকিছু ঠিকঠাক চলে তবে এই ভ্যাকসিন শেষ পর্যন্ত কটি ডোজে কাজ করবে তা এখান থেকেই ধারণা করা যেতে পারে।
মে মাসের শেষের দিকে, অক্সফোর্ড ঘোষণা করে দিয়েছিলো যে মানব ট্রায়ালের ২/৩ পর্যায় সংগঠিত হবে। এই পর্যায়গুলিতে শিশু ও বৃদ্ধ সহ আরো বেশি মানুষকে অন্তভুর্ক্ত করা হবে। ব্রাজিল ও সাউথ আফ্রিকাতে ইতিমধ্যেই এই ট্রায়াল শুরু হয়ে গেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও ৩০‚০০০ রোগীর উপর পরীক্ষা হবে আশা করা যাচ্ছে। ভ্যাকসিন তৈরির সম্ভাবনা বৃদ্ধির সাথে সাথেই যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া (বিশ্বের বৃহত্তম ভ্যাকসিন উৎপাদক) সহ আরো অনেকে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার সাথে ২ বিলিয়নেরও বেশী
ভ্যাকসিন ডোজ সরবরাহ করার জন্যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে।
BNT162
১৩ই মার্চ কোভিড ১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্যে ফাইজার তার পাঁচ দফা পরিকল্পনা ঘোষণা করে। চেয়ারম্যান ও চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) ডাঃ অ্যালবার্ট বাউরলা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান। তিনি ঘোষণা করেন যে “ফাইজার আমাদের নিজস্ব সম্ভাব্য অ্যান্টিভাইরাল থেরাপিগুলিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করছে এবং একটি সম্ভাব্য mRNA করোনভাইরাস ভ্যাকসিন নিয়ে বায়োএনটেক এর সাথে যুক্ত আছে।
তিন দিন পরে, ফাইজার এবং বায়োএনটেক
খাতায় কলমে জানায় যে দুটি কোম্পানি যৌথভাবে বায়োএনটেক এর mRNA-ভিত্তিক ভ্যাকসিন বিএনটি-১২৬ তৈরী করবে। এটা স্বাভাবিকই ছিলো কারন ফাইজার এবং BioNTech দু’বছর আগে থেকেই ইনফ্লুয়েঞ্জা আটকানোর জন্যে ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রতিরোধের জন্য এমআরএনএ ভিত্তিক ভ্যাকসিন তৈরির জন্য যৌথ গবেষণা এবং উন্নয়নমূলক কাজে জড়িত আছে।
BNT162 কোভিড -19 ভ্যাকসিন প্রোগ্রামে একাধিক mRNA নমুনা ছিলো। প্রিক্লিনিক্যাল স্ক্রিনিংয়ে SARS-CoV-2 এর বিরুদ্ধে অ্যান্টিভাইরাল অ্যাক্টিভিটি দেখা গেছিলো।
২২ এপ্রিলের মধ্যে, চারটি MRNA নমুনা সহ ১/২ ফেজটি জার্মান নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ, পল-এহরিলিচ-ইনস্টিটিউটের থেকে সম্মতি পায়। এরপর তক্ষুনি জার্মানি আর এক সপ্তাহে পরে আমেরিকা ট্রায়াল শুরু করে।
৪৫ জনের একটি দলের প্রাথমিক তথ্য এসেছিলো ১লা জুলাই। চারটির মধ্যে একটি নমুনা BNT162b1 আগের থেকে অনেক বেশী পরিমানে অ্যান্টিবডি প্রতিক্রিয়া জাগিয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছিল। এই তথ্যের উপর ভিত্তি করে মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ দফতর BNT162b1 এবং BNT162b2 সম্ভাব্য ভ্যাকসিন দুটি নিয়ে কাজ শুরু করে।
জার্মানিতে ১/২ ফেজের ট্রায়ালে ৬০ জনের থেকে পাওয়া প্রাথমিক তথ্যও আমেরিকা থেকে পাওয়া তথ্যকে সমর্থন করে। এর থেকে SARS-CoV-2 এর বিরুদ্ধে BNT162b1 এর কার্যকারিতা বোঝা যায়।
এছাড়াও, কোনও ফাইজার-বায়োএনটেক
নমুনার ক্ষেত্রে প্রথমবারের জন্য টি সেল সাড়া প্রদান লক্ষ্য করা গেছে।
এর কার্যকরী ফলাফল দেখে‚ ব্রিটেন ও আমেরিকা ফাইজার এবং বায়োএনটেকের সাথে প্রাথমিকভাবে ৩০ মিলিয়ন এবং ১০০ মিলিয়ন ডোজ সংগ্রহের জন্য চুক্তি করেছে। অবশ্যই ভ্যাকসিনটি প্রয়োজনীয় অনুমোদন লাভের পরেই।
১/২ ফেজ থেকে তথ্য পাওয়ার পর প্রধান নমুনা ভ্যাকসিনগুলি বেছে নেওয়া হয় এবং আরো বেশীজনের উপর এই ভ্যাকসিন প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সম্ভবত ৩০‚০০০ স্বেচ্ছাসেবক এই কাজে অংশ নেয়। জুলাইতে এই সফল ট্রায়ালগুলি হয়েছে।
এরই সাথে উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টাও চলছে। এই ফাইজার-বায়োএনটেক সংস্থাদুটি এখন “২০২০ সালের মধ্যে ১০০ মিলিয়ন ডোজ এবং ২০২১ সালের মধ্যে সম্ভবত ১.৩ বিলিয়নের বেশী ডোজ প্রস্তুত করার আশা করছে।”
mRNA-1273
চীন নভেল করোনাভাইরাসের জেনেটিক সিকোয়েন্স জানানোর দুই দিন পরেই জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটসের সহযোগিতায়
আমেরিকান বায়োটেকনোলজি সংস্থা মোডার্না তাদের ভ্যাকসিনের নমুমা mRNA-1273 এর সিকোয়েন্সটি চূড়ান্ত করে ফেলেছিলো।
সংস্থাটি ভ্যাকসিনের সিকোয়েন্স নির্ধারণের মাত্র ২৫ দিনের মধ্যেই এই বিষ্ময়কর সাফল্য লাভ করে। তুলনায় বলা যায় যে‚ ২০০২-০৩ সালে শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটানো করোনভাইরাসটির ভ্যাকসিন তৈরি করতে ২০ মাস সময় লেগে গিয়েছিলো।
ভ্যাকসিন উৎপাদন যত দ্রুত হচ্ছিলো‚ অনুদানও ততই দ্রুত আসছিলো। জানুয়ারীর তৃতীয় সপ্তাহে এপিডেমিক প্রিপারেডনেস ইনোভেশনস এর জন্যে তৈরী জোট মোডার্ণার ভ্যাকসিনের জন্যে অনুমোদন ঘোষণা করে।
মার্কিন স্বাস্থ্য ও মানবসেবা অধিদফতরের মধ্যে বায়োমেডিকাল অ্যাডভান্সড রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (BARDA) সম্ভাব্য ভ্যাকসিন তৈরির জন্যে ৪৮৩ মিলিয়ন ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়।
পরে প্রতি বছর 50 µg ডোজ পর্যায়ে এক বিলিয়ন শট উৎপাদন করতে পারার জন্যে সুইস কোম্পানি লোনজার সাথে মোডার্ণা চুক্তিবদ্ধ হয়।
জাতীয় অ্যালার্জি এবং সংক্রামক রোগ ইনস্টিটিউট আমেরিকার প্রথম পর্যায়ের ট্রায়াল পরিচালনা করে। ২৪শে ফেব্রুয়ারি mRNA-1273 এর প্রথম ব্যাচটি পরীক্ষার জন্য আসে। ১৬ই মার্চ প্রথম ৪৫ জন রুগীকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। একইসাথে ভবিষ্যতে আরো বেশি পরিমাণে উৎপাদনের জন্যে পরীক্ষা নিরীক্ষাও চলছিলো।
১২ ই মে, মোডার্ণা তাদের সম্ভাব্য ভ্যাকসিনের জন্য মার্কিন এফডিএর কাছ থেকে ‘ফাস্ট ট্র্যাক’ উপাধি পায়। প্রথম পর্বের থেকে ইতিবাচক প্রাথমিক তথ্য আসার প্রায় ১ সপ্তাহ পরে mRNA-1273 আটজনের মধ্যে সঠিকভাবে কাজ করে। এদের মধ্যে চারজনকে দেওয়া হয়েছিল ২৫ µg ডোজ আর বাকিদের দেওয়া হয় ১০০ µg ডোজ।
দ্বিতীয় পর্বে ৬০০ জন স্বাস্থ্যবান স্বেচ্ছাসেবককে বেছে নেওয়া হয়েছিল। তারা ছিলো দুটো দলে বিভক্ত‚ ১৮-৫৫ বছর আর ৫৫ বছরের বেশী। মে মাসের শেষের দিকে এটা ঘটেছিলো।
১৪ই জুলাই, মোডার্ণার প্রথম ধাপের সমীক্ষার অন্তর্বর্তী বিশ্লেষণ দি নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিনে প্রকাশিত হয়েছিল। সমীক্ষার প্রাথমিক ফলাফলগুলি দেখায় যে সার্স কোভিড ২ এর বিরুদ্ধে সমস্ত ডোজের মাত্রাতেই দ্রুত ও শক্তিশালী অনাক্রম্যতা ব্যবস্থা গড়ে উঠছিলো।
মোডার্ণা ইতিমধ্যেই COVID-19 ভ্যাকসিনের আরো উন্নতি ঘটিয়েছে। এর তৃতীয় পর্যায়ের অধ্যায়ন প্রোটোকলটি ইতিমধ্যেই বহুল পরিচিত হয়ে গেছে। আর কোম্পানির মতানুসারে মার্কিন এফডিএ তা পর্যালোচনা করে দেখেছে।
কোম্পানি থেকে জানানো হয় যে‚ “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করা ১:১ প্ল্যাসিবো-নিয়ন্ত্রিত পরীক্ষায় ১০০ µg ডোজ স্তরে প্রায় ৩০‚০০০ অংশগ্রহণকারীকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে,”
সংস্থাটির মতে ” মোডার্না প্রতি বছর ১০০ µg এর, প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডোজ সরবরাহ করার আশা করছে এবং ” প্রতি বছর ১ বিলিয়ন পর্যন্ত ডোজ তৈরী করার সম্ভাবনা আছে“।
সামনে তাকানো
নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিনে ১৪ই জুলাইয়ের সম্পাদকীয়টির শিরোনাম ছিলো “দ্য কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন-ডেভেলপমেন্ট মাল্টিভার্স” পৃথিবীজুড়ে একযোগে চলা এই ব্যতিক্রমী ভাইরাস তৈরির কাজকে বিশ্বাসযোগ্যভাবে তুলে ধরেছিলো।
যুক্তরাজ্য ভিত্তিক স্বাস্থ্য গবেষণা সংস্থা ওয়েলকাম ট্রাস্টের মতে একটি ভ্যাকসিন তৈরী করতে সাধারণত ১০ বছর সময় লাগে।
অর্থাৎ এটা বলাই যায় যে কোভিড -১৯ ভ্যাকসিন তৈরির কাজ যে গতিতে এগিয়ে চলছে তা সত্যিই নজিরবিহীন।
ভ্যাকসিন তৈরির সাধারণ পথ
(উৎস: নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিন)
উপরে বর্ণিত এই তিনটি ঘটনা থেকে আমাদের ঠিক কতটা আশাবাদী হওয়া উচিৎ?
মেমফিস বিশ্ববিদ্যালয়ের জনস্বাস্থ্যের অধ্যাপক ড. ইন্দ্রনিল বসু রায় বলেছেন‚
“দ্য ল্যানসেট এবং দ্য নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিনে প্রকাশিত পেপারের ভিত্তিতে বলা যায় যে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনিকা ভ্যাকসিন এবং মোডার্ণা-এনআইএইচ ভ্যাকসিন অসাধারণভাবে শুরু করেছে,”
যাইহোক‚ তিনি আরো বলেন যে‚ অবশ্যই এমন অনেক কিছু আমরা এখনও জানি না‚ যা আমাদের বিশ্বাস করাবে যে এই ভ্যাকসিনগুলি বাস্তবেই কোভিড-১৯ এর সফল প্রতিরোধক হিসাবে কাজ করবে।”
সবশেষে এটাই বলা যায় যে সময়ই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দেবে। আর আশা করি আমাদের অবশ্যই এর জন্যে বেশীদিন অপেক্ষা করতে হবে না।