ড্রাগনকে দমন করতে হলে আমেরিকা, ভারত, জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়া

 “ড্রাগনের বাড়াবাড়ি বেড়েই চলেছে। পাহাড় থেকে সমুদ্র, সর্বত্র জমি ও এলাকা দখলের জন্য ড্রাগনের ফোঁসফোঁসানি চলছে। তাই ড্রাগনকে দমন করতে হলে আমেরিকা, ভারত, জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে গোয়েন্দা তথ্য আদানপ্রদান বাড়াতে হবে। ভারতকে পাকাপাকিভাবে আমেরিকার কৌশলগত সঙ্গী বানাতে মার্কিন কংগ্রেসে বিল পাশ করাতে হবে।” সম্প্রতি এই দাবিতেই সরব হলেন আমেরিকার ডেমোক্রাট পার্টির সেনেটর মার্ক ওয়ার্নার (Mark Warner)।

আমেরিকার বৈদেশিক গোয়েন্দা তথ্য আদানপ্রদান ও গোয়েন্দা পরিকাঠামো সংক্রান্ত চূড়ান্ত ক্ষমতা রয়েছে মার্কিন সেনেটের সিলেক্ট কমিটি (Senate Permanent Select Committee) -এর হাতে। সেই সিলেক্ট কমিটির চেয়ারম্যান হলেন ওয়ার্নার। তিনি বুধবার বলেছেন, ‘আমেরিকায় চিনা গুপ্তচররা ছাত্র, গবেষক, ব্যবসায়ী, কূটনীতিকদের ছদ্মবেশে সক্রিয় রয়েছে। এদের প্রধান কাজ হল, আমেরিকার মেধা সম্পদকে যতটা সম্ভব ক্ষতি করা, মার্কিন অনলাইন নিরাপত্তা ব্যবস্থা হ্যাক করা বা সার্ভার সিস্টেমে সাময়িক কব্জা করে বিপর্যয় ঘটানো। চিনাদের সঙ্গে যাদের প্রতিনিয়ত লড়তে হচ্ছে সেই জাপান, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়াই ওদের মানসিকতার ব্যাপারে সবচেয়ে ভাল তথ্য দিতে পারবে।

তিনি বলেন, ‘সামরিক চতুঃশক্তি জোট বা কোয়াডে আমেরিকা ছাড়াও রয়েছে আমেরিকার ঘনিষ্ঠ তিন বন্ধু ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়া। তেমনি গোয়েন্দা তথ্য আদানপ্রদানে গড়তে আরেকটি কোয়াড বা চতুঃশক্তি জোট দরকার। তাতে আমেরিকা, ভারত ছাড়াও থাকবে জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়া। আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা কর্তৃত্ব আইন (এনডিএএ) সংশোধন করিয়ে সংশোধনী প্রস্তাব পাস করিয়েছি। ফলে ভারতকে স্থায়ীভাবে আমেরিকার জোট সঙ্গী করার আইনি বৈধতা পেয়েছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.