সংক্রমণ ও মৃত্যু থামার কোনও লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না ভারতে (India)। প্রতিদিনই হু হু করে বাড়ছে কোভিড-১৯ (Covid-19) ভাইরাসে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা। ভারতে শেষ ২৪ ঘন্টায় (শুক্রবার সারাদিনে) নতুন করে কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৭৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সারা দিনে ভারতে বিভিন্ন রাজ্যে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৪৮,৯১৬ জন। শনিবার সকাল আটটা পর্যন্ত ভারতে কোভিড-১৯ ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৩১,৩৫৮ জন এবং সংক্রমিত ১৩,৩৬,৮৬১ জন। এখনও পর্যন্ত করোনা-মুক্ত হয়েছেন ৮,৪৯,৪৩১ জন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, শনিবার সকাল আটটা পর্যন্ত ভারতে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৪ লক্ষ ৫৬ হাজার ০৭১।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক বুলেটিনে জানিয়েছে, ৩১,৩৫৮ জনের মধ্যে অন্ধ্রপ্রদেশে ৯৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, অরুণাচল প্রদেশে ৩ জন, অসমে ৭৬ জন, বিহারে ২২০ জনের, চন্ডীগড়ে ১৩ জন, ছত্তিশগড়ে ৩৬ জন, দাদর ও নগর হাভেলি এবং দমন ও দিউতে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে, দিল্লিতে মৃত্যু হয়েছে ৩,৭৭৭ জনের, গোয়া ২৯ জন, গুজরাটে ২,২৭৮ জনের, হরিয়ানায় ৩৮২ জনের, হিমাচল প্রদেশে ১১ জনের, জম্মু-কাশ্মীরে ২৯৬ জনের, ঝাড়খণ্ডে ৭০ জনের, কর্ণাটকে ১,৭২৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন, কেরলে ৫৪ জন, লাদাখে দু’জন, মধ্যপ্রদেশে ৭৯১ জন, মহারাষ্ট্রে ১৩,১৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে, মেঘালয়ে ৫ জন, ওডিশায় ১২০ জনের, পুদুচেরিতে ৩৫ জন, পঞ্জাবে ২৮২ জন, রাজস্থানে ৬০২ জনের, তামিলনাড়ুতে ৩,৩২০ জন, তেলেঙ্গানায় ৪৫৫ জন, ত্রিপুরায় ১১ জন, উত্তরাখণ্ডে ৬০ জন, উত্তর প্রদেশে ১,৩৪৮ জন এবং পশ্চিমবঙ্গে ১,২৯০ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যে মৃত্যু ও আক্রান্তের নিরিখে এখনও সর্বাগ্রে মহারাষ্ট্র। মহারাষ্ট্র ছাড়াও দিল্লি, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ-এই সমস্ত রাজ্যগুলিতে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা সত্যই উদ্বেগজনক। মহারাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫,৭১,১৭-এ পৌঁছেছে। দিল্লিতে আক্রান্ত ১২,৮৩,৮৯, গুজরাটে ৫৩,৫৪৫, পশ্চিমবঙ্গে আক্রান্তের সংখ্যা ৫৩,৯৭৩, উত্তর প্রদেশে ৬০,৭৭১ এবং তামিলনাড়ুতে মোট করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা ১৯,৯৭,৪৯।
করোনা-সংক্রমণের সঙ্গে তালে-তাল মিলিয়ে ভারতে দ্রুততার সঙ্গে বেড়েই চলেছে করোনা-পরীক্ষা। ২৪ জুলাই পর্যন্ত ভারতে মোট ১,৫৮,৪৯,০৬৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। শনিবার সকালে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) জানিয়েছে, শুধুমাত্র ২৪ জুলাই ৪,২০,৮৯৮টি স্যাম্পেল টেস্ট করা হয়েছে।