সম্পূর্ণ ভারতে তৈরি প্রথম অ্যান্টিজেন টেস্ট কিট ব্যবসায়িক ছাড়পত্র পেল। বৃহস্পতিবার আইসিএমআর মেড ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পের আওতায় তৈরি অ্যান্টিজেন টেস্ট কিটকে অনুমোদন দেয়। মাই ল্যাব ডিসকভারি সলিউশসনের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানানো হয়।
এবার থেকে ভারতের বাজারে এই টেস্ট কিট পাওয়া যাবে। করোনা ভাইরাস পরীক্ষার আরটি-পিসিআরে এই কিট ব্যবহার করা যাবে বলে জানানো হয়েছে। কিটটির নাম দেওয়া হয়েছে প্যাথোক্যাচ কোভিড ১৯ অ্যান্টিজেন র্যাপিড টেস্টিং কিট। এটিই প্রথম কোনও ভারতীয় সংস্থার তৈরি করা কিট, যা আইসিএমআরের ছাড়পত্র পেল। পুনের সংস্থা মাই ল্যাব জানাচ্ছে এই কিটটির দাম প্রায় ৪৫০।
অর্ডার দিলেই কিটটি পাওয়া যাবে দ্রুত। এর উৎপাদন পরিমাণ বাড়িয়ে দ্রুত সহজলভ্য করে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে কিটটিকে। শুধু অ্যান্টিজেন কিট নয়, মাই ল্যাব সংস্থা জানাচ্ছে, করোনা চিহ্নিত করতে আর যা যা টেস্ট কিট প্রয়োজন সবই ভারতের মাটিতে তৈরি হবে।
এদিকে, ভারতীয় সংস্থা ‘সেরাম ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট’ও অক্সফোর্ডের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে। এই সংস্থার কর্ণধার জানিয়েছেন, ভ্যাক্সিন এলে ঠিক কত খরচ হতে পারে। গত সোমবারই অক্সফোর্ডের গবেষকরা সুখবর দিয়েছেন। জানিয়েছেন, তাঁদের তৈরি ভ্যাক্সিনে ইমিউনিটি তৈরি হচ্ছে।
প্রথম মাইলস্টোন পার করে ফেলেছেন বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। এরপরই ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকারে সেরাম ইনস্টিটিউটের কর্ণধার আদর পুনাওয়ালা জানান, ভ্যাক্সিন পেতে খরচ হবে না খুব বেশি। তিনি জানিয়েছেন এই ভ্যাক্সিনের নাম হবে ‘কোভিশিল্ড’। ভ্যাক্সিন সফল হলেই ভারতে দ্রুত প্রচুর পরিমাণে ভ্যাক্সিন তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, কোভিশিল্ড ভ্যাক্সিন সবার জন্য সহজলভ্য হবে। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, সম্ভবত ভারতের বেশির ভাগ মানুষকে এই ভ্যাক্সিনের জন্য কোনও দাম দিতে হবে না, অর্থাৎ বিনামূল্যেই ভ্যাক্সিন পাবেন তাঁরা। ভারতে ‘মাস ভ্যাক্সিনেশন’ বা সবাইকে ভ্যাক্সিন দেওয়ার প্রোগ্রাম হবে, আর তাতেই প্রতিষেধক পাবেন বেশির ভাগ মানুষ।