দেশ জুড়েই করোনা পরিস্থিতি অবনতির দিকে। বিভিন্ন রাজ্যেই নতুন করে লকডাউন শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবারেও সব রেকর্ড ভেঙে একধাক্কায় অনেকটাই বাড়ল আক্রান্তের সংখ্যা।
সরকারি তথ্য অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৫,৭২০। মৃত্যু হয়েছে ১১২৯ জনের। ভারতে মোট আক্রান্তের পরিমাণ ১২ লক্ষ ছাড়িয়ে গেল। মোট করোনা আক্রান্তের সংখা এই মুহূর্তে ১২,৩৮,৬৩৫। আর সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭,৮২,৬০৭ জন। মোট মৃতের সংখ্যা ২৯,৮৬১।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী ভারতে সুস্থতার হার ১৩.০৩ শতাংশ। বুধবারই সবথেকে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মোট পরীক্ষা হয়েছে দেয কোটি।
ভারতে যে ক’টি রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সর্বোচ্চ, সেগুলি হল মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক ও উত্তরপ্রদেশ।
এরই মধ্যে আশা জোগাচ্ছে ভ্যাক্সিনের আপডেট। ভারতীয় সংস্থা ‘সেরাম ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট’ও অক্সফোর্ডের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে। এই সংস্থার কর্ণধার জানিয়েছেন, ভ্যাক্সিন এলে ঠিক কত খরচ হতে পারে।
গত সোমবারই অক্সফোর্ডের গবেষকরা সুখবর দিয়েছেন। জানিয়েছেন, তাঁদের তৈরি ভ্যাক্সিনে ইমিউনিটি তৈরি হচ্ছে। প্রথম মাইলস্টোন পার করে ফেলেছেন বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। এরপরই ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকারে সেরাম ইনস্টিটিউটের কর্ণধার আদর পুনাওয়ালা জানান, ভ্যাক্সিন পেতে খরচ হবে না খুব বেশি।
তিনি জানিয়েছেন এই ভ্যাক্সিনের নাম হবে ‘কোভিশিল্ড’। ভ্যাক্সিন সফল হলেই ভারতে দ্রুত প্রচুর পরিমাণে ভ্যাক্সিন তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, কোভিশিল্ড ভ্যাক্সিন সবার জন্য সহজলভ্য হবে। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, সম্ভবত ভারতের বেশির ভাগ মানুষকে এই ভ্যাক্সিনের জন্য কোনও দাম দিতে হবে না, অর্থাৎ বিনামূল্যেই ভ্যাক্সিন পাবেন তাঁরা। ভারতে ‘মাস ভ্যাক্সিনেশন’ বা সবাইকে ভ্যাক্সিন দেওয়ার প্রোগ্রাম হবে, আর তাতেই প্রতিষেধক পাবেন বেশির ভাগ মানুষ।