করোনা কালেও যেন আইপিএল বাতিল না হয়ে যায়। এই টুর্নামেন্টকে জায়গা করে দিতে তাই ইচ্ছাকৃতভাবেই এবছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিল আইসিসি (ICC)। বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থাকে এভাবেই কাঠগড়ায় তুলে দিলেন প্রাক্তন পাক পেসার শোয়েব আখতার। তাঁর সঙ্গে গলা মেলালেন আরেক প্রাক্তন তারকা রশিদ লাতিফও।
চলতি বছর অক্টোবর-নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর বসবে কি না, এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই নানা জলঘোলা চলছিল। শেষমেশ সোমবার সমস্ত ধোঁয়াশা কাটে। আইসিসি জানিয়ে দেয়, বিশ্বজুড়ে করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এত বড় আয়োজনের ঝুঁকি নেওয়া হবে না। ২০২১-এ প্রায় একই সময় আয়োজিত হবে টুর্নামেন্ট। এই ঘোষণার পরই উজ্জ্বল হয়ে ওঠে আইপিএলের আয়োজন। কারণ ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (BCCI) পরিকল্পনা ছিল, মার্চে স্থগিত হওয়া টুর্নামেন্ট হোক বছরের শেষদিকেই। আর বিশ্বকাপ স্থগিত হওয়ায় সেপ্টেম্বরের শেষ থেকে নভেম্বরের মধ্যে টুর্নামেন্ট আয়োজনে সমস্যা রইল না। ফলে ক্রিকেটপ্রেমীরা তারকাখচিত লিগ দেখার অপেক্ষা শুরু করে দিয়েছে ঠিকই, কিন্তু বিষয়টিতে একেবারেই ভাল চোখে দেখছেন না শোয়েব আখতার (Shoaib Akhtar)। বিশ্বকাপ স্থগিত হয়ে যাওয়ায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ তিনি। রাগে ফুঁসছেন লাতিফও। দু’জনেরই অভিযোগ, সরকারি ঘোষণার অনেক আগে থেকেই ভিতর-ভিতর বিসিসিআইয়ের সঙ্গে কথা বলে আইসিসি বিশ্বকাপ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিল। ইচ্ছাকৃতভাবেই এমনটা করা হয়েছে।
আগেই বাতিল হয়ে গিয়েছে এশিয়া কাপ। এবার বিশ্বকাপও স্থগিত হয়ে যাওয়ায় বিরাট আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (PCB)। আর আইপিএল হলে পাক মুলুকের কোনওই লাভ নেই। কারণ এই টুর্নামেন্টে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের অংশ নেওয়ার অনুমতি নেই। তাই বিশ্বকাপের থেকে আইপিএলের জন্য বেশি তৎপর হওয়ায় পরোক্ষভাবে ভারতীয় বোর্ডকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি রাওয়ালপিণ্ডি এক্সপ্রেস।
বলেন, “একজন ক্ষমতাবান ব্যক্তি কিংবা একটা ক্ষমতাশীল বোর্ডই তো ঠিক করে দেয়, কার লাভ হবে, আর কে ভুগবে। এশিয়া কাপ আর টি-২০ বিশ্বকাপ এবছর আয়োজন করাই যেত। আরও একবার ভারত-পাকিস্তানের মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু ওরা সেটা হতে দিল না। এর পিছনে অনেক কারণ আছে। এত বিস্তারিত যাব না।” এখানেই থামেননি তিনি। বলেন, “আমি আর লাতিফ তো আগেই বলেছিলাম বিশ্বকাপ হতে দেবে না। বিশ্বকাপ চুলোয় যাক। আইপিএলের যেন কোনও ক্ষতি না হয়।” দুটি বড় টুর্নামেন্ট স্থগিত হয়ে যাওয়ায় যে পাক বোর্ডের দেওয়ালে পিছ ঠেকে যাওয়ার অবস্থা, সেটাই শোয়েব-লাতিফের ক্ষোভ থেকে স্পষ্ট।