করোনা ভাইরাসের চিকিৎসার ক্ষেত্রে নির্ভরতা তৈরি করেছে রেমডেসিভির। করোনা যুদ্ধে সফলতার দিক দেখিয়েছে এই ওষুধ। তবে শেষ কিছুদিন থেকেই ওষুধের অভাবে ভুগছে দেশের অন্যতম করোনা বিধ্বস্ত রাজ্য মহারাষ্ট্র। এমন সংকটে তৈরি হয়েছে জরুরি অবস্থা। বিপাকে পরেছে বহু পরিবার।
পরিস্থিতি পরিবর্তন করতে এবার ৬০০০০ রেমডেসিভির (Remdesivir) ভায়ালসের অর্ডার দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। পাশাপাশি, ২০০০০ টচিলিজুমাব (Tocilizumab) এবং ৬ লাখ ফ্যাভিপিরাভির (Favipiravir) আনানোর ব্যবস্থা করছে রাজ্য।
শেষ কিছুদিন যাবত রাজনৈতিক নেতা থেকে সাধারণ মানুষ রেমডেসিভির সংকট নিয়ে মুখ খুলেছে। এমন পরিস্থিতিতে দাম বেড়েছে এই ওষুধের। শুরু হয়েছে কালোবাজারি। শনিবার ৩,৫০০ বাজারমূল্যের ওষুধ ২৫ থেকে ৩০০০০ তাকায় বিক্রির জন্য ধাপে ধাপে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
২০ কোটির ওষুধ একসঙ্গে অর্ডার করেছে মহারাষ্ট্র সরকার। এই দামেই সারাবছর ওষুধ পাবে রাজ্য। যারা এখন থেকে এই ওষুধ কিনবেন পেটেন্টের জন্য আধার কার্ড দেখাতে হবে।
জানা গিয়েছে, ডিজিসিআইয়ের নির্দেশে এখনও অবধি মিলান, সিপলা, হেটের-র মতন নামিদামি কোম্পানিকে ওষুধ তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। রেমডেসিভির সংকটে ওষুধের কালোবাজারির বিষয়টি ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের কাছে পৌঁছে দিয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইণ্ডিয়ার তরফে।
তবে বৃহন্মম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে সরকারি হাসপাতালে এই ওষুধ বিনামূল্যে প্রদান করা হবে। প্রসঙ্গত, লালফিতের বাধা পেরিয়ে যাতে এই ওষুধ বেশী সংখ্যায় জোগাড় করা যায় সেদিকে নজর দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে।
সমস্যা, এই মার্কিন ওষুধ তৈরির পেটেন্ট যে সব ফারমাসিউটিক্যাল কোম্পানি তৈরি করে তাঁরা এখন আর তা তৈরি করে না। তাই বাজারে তা উপলব্ধ নয়। এমনটাই মনে করা হচ্ছে। তবে বাংলাদেশ থেকে তা আমদানি করা হবে। আঠারোটি মেডিক্যাল কলেজে সাপ্লাই করা হবে।
উল্লেখ্য, প্রথম করোনা চিকিৎসায় কার্যকর ‘রেমডেসিভির’ উৎপাদন শুরু করেছে বাংলাদেশের ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড। যেহেতু এটি একটি শিরায় দেওয়ার ইনজেকশন, সে কারণে এর উৎপাদনে সূক্ষ্ম প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়।
প্রসঙ্গত, প্রাথমিকভাবে হাইডক্সিক্লোরোকুইনে ভরসা রেখে এবার Gilead Sciences Inc’s অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধে অনুমোদন দিয়েছে ভারত সরকার। অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধ রেমডেসিভির (remdesivir) কোভিড-১৯ রোগীদের সারিয়ে তুলতে আপদকালিনভাবে ব্যবহার করা হবে। এটি প্রথম ওষুধ যা ব্যবহার করে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল দিয়ে কোভিড রোগীদের মধ্যে উন্নতি দেখা হয়েছে।