গোটা বিশ্বের মানুষের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী(Narendra Modi)। করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে আবার ঘুরে দাঁড়ানোর বিষয়ে আগামী ২২ জুলাই ইন্ডিয়া আইডিয়াজ সামিটে কথা বলবেন মোদী।
আমেরিকা-ভারত বিজনেস কাউন্সিলের তরফে এমনটাই জানা গিয়েছে। এই কাজে দুই মূল অংশীদার ভারত-আমেরিকা। দু’দিনব্যাপী এই ভার্চুয়াল সামিট পরিচালনা করে থাকেন দুই দেশের শীর্ষস্থানীয় অ্যাডভোকেসি গ্রুপ। জুলাই মাসের ২১ এবং ২২ তারিখ এই সম্মেলন হতে চলেছে।
দুই দেশের তরফে যারা করোনা পরবর্তী পরিস্থিতির এজেন্ডা তৈরির কাজ করছেন এমন আধিকারিকরাই ভারত সরকার এবং আমেরিকা প্রশাসনের তরফে সেদিন উপস্থিত থাকবেন।
২০২০ সালের এই তালিকায় রয়েছেন আমেরিকার সচিব মাইক পম্পেও, ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ, রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল। এছাড়াও আমেরিকার তরফে বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ আধিকারিক উপস্থিত থাকবেন বলেও জানা গিয়েছে।
সুন্দর ভবিষ্যত তৈরি করাই আমাদের লক্ষ্য। যেহেতু নরেন্দ্র মোদী করোনা মোকাবিলার পাশাপাশি অর্থনৈতিক মন্দার দিকটির সঙ্গেও যুদ্ধ করছেন এই পরিস্থিতিতে ভারত-আমেরিকা সম্পর্ককে পুনরোজীবিত করা প্রয়োজন বলেই মনে করা হচ্ছে।
আমেরিকা-ভারত বিজনেস কাউন্সিলের ৪৫তম অনুষ্ঠানে মোদীর মতন মানুষকে সঙ্গে পেয়ে আপ্লুত আমেরিকা। জুলাইয়ের ২২ তারিখ ভারতীয় সময় সকাল ১১টায় বক্তব্য রাখবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অর্থ এবং বাণিজ্য মন্ত্রকের শীর্ষে থাকা আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করছেন বৃহস্পতিবার। করোনা ভাইরাস অতি মহামারী জাতীয় অর্থনীতিতে কতটা প্রভাব ফেলেছে তার ধারণা করতেই এই বৈঠক। অফিসার সূত্রে এমনটাই খবর বলে জানাচ্ছে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম।তারা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর নজর এখন কেমন করে অর্থনীতির গতি বাড়িয়ে ঘুরে দাঁড়ানো যায়। সম্প্রতি শেষ হওয়া ত্রৈমাসিকে উপভোক্তা চাহিদা কমে আসায় অর্থনীতির শ্লথ গতি লক্ষ্য করা গিয়েছে।ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে করা ঘন্টা দেড়েকের এই বৈঠকে অর্থ এবং বাণিজ্য মন্ত্রকের আধিকারিকরা বর্তমান পরিস্থিতি কেমন সেটা তুলে ধরবেন।সূত্রের খবর প্রধানমন্ত্রী ৫০ জন আধিকারিকের কাছ থেকে এই বিষয়ে তথ্য নিচ্ছেন। এর আগে তিনি আলাদা আলাদা করে বৈঠক করেছেন , অর্থনৈতিক পরামর্শদাতা পরিষদ, অর্থ মন্ত্রকের মুখ্য অর্থনৈতিক পরামর্শদাতা এবং নীতি আয়োগের সঙ্গে।