রাজ্যে করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) সংক্রমণের গ্রাফ ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। কিন্তু কলকাতা কর্পোরেশন (Kolkata Municipal Corporation) এলাকায় কমল কনন্টেমেন্ট জোনের সংখ্যা। এতদিন কনন্টেমেন্ট জোনের (Containment Zone) সংখ্যা ছিল ২৮ । তা এখন কমে দাঁড়িযেছে ২৪। এদিকে আবারও করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের নতুন রেকর্ড রাজ্যে। বুধবার করোনায় সংক্রামিত হয়েছেন ১,৫৮৯ জন। এখনও অবধি সংখ্যাটাই সর্বোচ্চ। ফলে রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩৪,৪২৭। গতকাল সন্ধ্যায় রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য দফতর থেকে প্রকাশিত বুলেটিন এমনটাই জানিয়েছে।
এই মুহূর্তে সব থেকে বেশি সংক্রমণ ও কনটেন্টমেনট জোন রয়েছে মধ্য কলকাতার ৪ নম্বর বোরোতে। আর তারপরেই রয়েছে কলকাতা ৩ নম্বর বোরো। যেখানে সংক্রমণ ও কনটেন্টমেনট জোনের সংখ্যা আপাতভাবে অনেকটাই বেশি। তবে কলকাতা কর্পোরেশন এলাকার ১, ২, ৫, ১০, ১১, ১৩, ও ১৪ নম্বর বেরোতে এই মুহূর্তে কোনও কনটেন্টমেনট জোন নেই বলে জানানো হয়েছে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া সত্ত্বেও কীসের ভিত্তিতে কন্টেনমেন্ট জোনের সংখ্যা কমে যাচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ, জেলাওয়াড়ি সংক্রমণের পরিসংখ্যানে আজও এগিয়ে আছে সেই কলকাতাই। ৪২৫ জন সংক্রামিত হয়েছেন গত ২৪ ঘণ্টায়। মারা গিয়েছেন ৯ জন। তাই অন্য রাজ্যে যখন পরিস্থিতির ভয়াবহতা লক্ষ্য করে পুরোপুরি লকডাউন কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেখানে শহর কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গের করোনা প্রভাবিত এলাকায় প্রশাসনিক শিথিলতা বাড়ছে।
তবে যে সমস্ত জায়গায় কনন্টেমেন্ট জোন রয়েছে সেখানে কিন্তু পুলিশি তৎপরতা চোখে পড়ার মতো। পুলিশি নজরদারি সেই জায়গাগুলোতে কড়া নজরদারি রয়েছে। মানুষ যেন অযথা না বের হয় সেটা কিন্তু খেয়াল রাখছে কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। পাশাপাশি যদি কোনও মানুষের কোনও জিনিসপত্রের প্রয়োজন হলে তারা যেন সরাসরি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে সে বিষয়টি জানানো হয়েছে। দরকারে পুলিশ তাদের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসবে। এবং কিছু ক্ষেত্রে দেখা গেছে মানুষ নিজের প্রয়োজনীয় জিনিস নিতে বাড়ির নিচে নামছেন। সাধারণ মানুষকে জানানো হয়েছে তারা যেন নিজেদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখেন এবং অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করেন।