শচীন পাইলটকে (Sachin Pilot) নিয়ে পেন্ডুলামের মত অবস্থা অখিল ভারতীয় কংগ্রেস কমিটির (AICC)। রবিবার থেকেই নিজের অনুগামী বিধায়কদের নিয়ে দিল্লির পাঁচতারা হোটেলে রয়েছেন তিনি। কখনও শোনা যাচ্ছে, কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে দর কষাকষি করছেন পাইলট। আবার কখনও শোনা যাচ্ছে বিজেপি (BJP) সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে সোমবারই দেখা করতে পারেন তিনি। এমতাবস্থায় তাঁর সঙ্গে এআইসিসির ম্যানেজাররা নিরন্তর যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। যদিও এদিন সকালে সাংবাদিক সম্মেলন করে কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সূর্যেওয়ালা (Randeep Singh Surjewala) দাবি করেছেন, ৪৮ ঘণ্টায় একাধিকবার রাজস্থানের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কংগ্রেস (Congress) নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে শচীন পাইলটের। পরে অবশ্য তাঁর গলায় শোনা গিয়েছে ভিন্ন সুর।
বিদ্রোহী বিধায়কদের প্রতি রণদীপ সিংহ সূর্যেওয়ালা অনুরোধ জানিয়েছেন, তারা যেন সকলেই রাজস্থানের বর্তমান সরকারের ওপর আস্থা রাখেন। তারা যেন সকলেই কংগ্রেস সরকারের পক্ষে রাজস্থান বিধানসভায় ভোট প্রদান করেন। রবিবার গভীর রাতে, আড়াইটের সময় মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলোটের (Ashok Gehelot) বাড়িতে সাংবাদিক সম্মেলন করে কংগ্রেস দাবি করেছে, তাদের সঙ্গে ১০৯ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। রাজস্থানে কংগ্রেস সরকারের পতনের কোনও সম্ভাবনাই নেই।
তবে শচীন পাইলট শিবিরের দাবি, এই মুহূর্তে ৩০ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে তাদের কাছে। রাজস্থানে কংগ্রেস সরকার ফেলার জন্য যা যথেষ্ট। ২০০ আসন বিশিষ্ট রাজস্থান বিধানসভায় এই মুহূর্তে কংগ্রেসের বিধায়কের সংখ্যা ১০৭। এছাড়া ১২ জন নির্দল বিধায়কের সমর্থন রয়েছে কংগ্রেসের পক্ষে। রাষ্ট্রীয় লোক দল, সিপিএম ও ভারতীয় ট্রাইবাল পার্টির আরও ৫ বিধায়ক সমর্থন করেছেন অশোক গেহেলোটকে। কংগ্রেসের সমর্থনে রয়েছেন ১২৬ জন বিধায়ক। শচীন পাইলটের দাবি, ৩০ বিধায়ক কংগ্রেস ছেড়ে সংখ্যালঘু হয়ে পড়বে রাজস্থান সরকার।
সূত্রের খবর, শচীন পাইলট নাকি ঘনিষ্ঠমহলে জানিয়েছেন আপাতত বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন না তিনি। এমন খবরে স্বস্তি পেয়েছে কংগ্রেস শিবির। তবে এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক তথা ছত্তিশগঢ়ের পর্যবেক্ষক পি এল পুনিয়া (PL Punia) আক্রমণ করেছেন রাজেশ পাইলট পুত্রকে। তিনি বলেছেন, “শচীন পাইলট ভারতীয় জনতা পার্টিতে চলে গিয়েছেন। সকলেই জানে কংগ্রেসের প্রতি বিজেপির ব্যবহারের কথা। আমরা বিজেপি থেকে সার্টিফিকেট চাই না।” শীর্ষ কংগ্রেস নেতাদের শচীন পাইলটকে নিয়ে পরস্পর বিরোধী মন্তব্য কিন্তু দলের মধ্যে তৈরি হওয়া মতপার্থক্যকেই স্পষ্ট করেছে। রাজস্থান প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি শচীন পাইলটকে নিয়ে যে দল এখনও কোনও নিশ্চিত আশ্বাস পায়নি, দুই নেতার ভিন্নতর মন্তব্যে তেমনই ইঙ্গিত পেয়েছে রাজনৈতিক মহল।