এবার কোভিড মোকাবিলায় আই লিগের সব ম্যাচ কলকাতায় করার ভাবনা ফেডারেশনের

 এবার শুধু আইএসএল কেন, করোনার প্রভাবে যে আই লিগেও (I League) হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে ম্যাচ বাতিল হতে পারে তার ইঙ্গিত বেশ কিছুদিন আগেই দিয়েছিল ফেডারেশন (AIFF)। আর এবার যা শোনা যাচ্ছে, তাতে আই লিগের সব ম্যাচগুলি হবে একমাত্র কলকাতাতেই। আই লিগের জন্য আর অন্য কোনও ভেন্যু হিসেবেই ধরা হয়নি। যেমনটা আইএসএলের (ISL) জন্য গোয়া এবং কেরলকে ধরে রাখলেও, শোনা যাচ্ছে, শেষপর্যন্ত শুধু যাতায়াতের সমস্যা এড়াতে গোয়াতেই হবে আইএসএলের সব ম্যাচ।

আপাতত আইএসএলের জন্য স্লট ধরা হয়েছে, নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ। সেক্ষেত্রে আইএসএল যদি প্রস্তাবিত সময়ে শুরু হয়, তাহলে আই লিগ শুরু হওয়ার কথা তার দিন সাতেক পর। অর্থাৎ ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে। তবে আইএসএলের মতো আই লিগেও একটি ব্যপার নিশ্চিত থাকবে। এবার গ্যালারিতে প্রবেশ অধিকার থাকবে না দর্শকদের। আইএসএলের আলোচনার আবহের নিজেদের মধ্যে আলোচনায় আই লিগ নিয়েও যাবতীয় প্রস্তুতি চালাচ্ছেন ফেডারেশন কর্তারা। প্রথমে ইস্টবেঙ্গল-সহ বাকি দলগুলির সঙ্গে আলোচনা করে বিদেশি ফুটবলারদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া। এরপর নতুন দল নিতে চেয়ে বিড ওপেন করা। এভাবেই ঠিক হয়েছে, করোনা আক্রান্ত দেশে আই লিগ চলাকালীন কিছুতেই ফুটবলারদের বেশি ট্রাভেল করানো যাবে না

যেহেতু করোনার আবহের মধ্যেই আই লিগ করতে হবে, তাই এএফসির পরামর্শমতো নানারকম পরিকল্পনা করা হচ্ছে। আর সেই থেকেই ব্যাপারটা মাথায় এসেছে, এফএসডিএল যদি শুধু একটা ভেন্যুতে আইএসএল করার কথা ভাবতে পারে, তাহলে আই লিগও একটা ভেন্যুতেই করা যাতে পারে। আর এই ভাবনা থেকেই ফেডারেশন কর্তারা কলকাতাকেই এই মরশুমের আইলিগের ভেন্যু হিসেবে বেছে নিয়েছেন।
যেদিন থেকে জয়দীপ মুখেপাধ্যায় আইএফএর সচিব পদে বসেছেন, ফেডারেশনের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে একের পর এক সুবিধা আদায় করে নিচ্ছেন। কখনও কোনও প্রতিযোগতিা, কখনও জাতীয় দলের ম্যাচ। ১৭ নভেম্বর আফগানিস্তান ম্যাচ হওয়ার কথা রয়েছে যুবভারতীতে। এবার যখন আইএফএ সচিব জানতে পারেন, আইলিগের একটি মাত্র ভেন্যু খুঁজছে ফেডারেশন, সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ করেন আইএফএ সচিব। জানান, যে কোনও শর্তে বাংলা পুরো আইলিগ টা এখানে পেতে চায়। এদিকে, আইএসএলের ম্যাচ করার জন্য গোয়া এবং কেরলের কথা ভাবছিলেন এফএসডিএল কর্তারা। ফলে সেখানে আই লিগ করা সম্ভব নয়। তাই ঠিক হয়, কলকাতাতেই হবে আই লিগ। সেভাবেই কথা হয়েছে আইএফএ সচিবের সঙ্গে ফেডারেশন কর্তাদের।

এদিকে এফএসডিএলও মোটামুটি ভাবে ঠিক করে ফেলেছে, নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে আইএসএল হবে গোয়ায়। তাই নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে ভারতীয় ফুটবল ব্যস্ত থাকবে গোয়া আর কলকাতায়। কলকাতাকে ঘিরে আই লিগের জন্য মোটামুটি ভাবে যে পরিকল্পনা করা হয়েছে তাতে সব ক্লাবকেই প্রতিযোগিতা শুরুর ১৫ দিন আগেই কলকাতায় নিয়ে আসা হবে। যেহেতু একটি জায়গায় থেকেই আই লিগের সব ম্যাচ খেলতে হবে, তাই আশা করা যাচ্ছে ১০০ দিনের মধ্যেই আই লিগ শেষ করতে পারবে ফেডারেশন
ঠিক হয়েছে, ম্যাচের ১৫ দিন আগে দলগুলিকে কলকাতায় এনে ফুটবলারদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে। ম্যাচের আগে কোভিড টেস্ট করা হবে সব ফুটবলারদের।

ম্যাচ কিংবা প্র্যাকটিস থেকে ফিরেই ফুটবলারদের ঢুকে পড়তে হবে হোটেলে। আই লিগ চলাকালীন ১০০ দিন কিছুতেই হোটেলের বাইরে যেতে পারবেন না ফুটবলাররা। প্রতিযোগিতার মাঝে মাঝেই ফের কোভিড টেস্ট হবে ফুটবলারদের। আই লিগের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পরেই আই লিগের জন্য কলকাতার বিভিন্ন হোটেল বুক করা শুরু করে দেবে ফেডারেশন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.