“কোভিড-১৯-এর ধাক্কায় গত ১০০ বছরে সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সঙ্কটে পড়েছে ভারত।” শনিবার রিজার্ভ ব্যাংকের (RBI) গভর্নর শক্তিকান্ত দাস (Shaktikanta Das) সাংবাদিক সম্মেলনে সেই আশঙ্কার কথাই ইঙ্গিত করেছেন। এদিন তিনি বলেছেন, “কোভিড-১৯ গত ১০০ বছরের সবথেকে বড় স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক সংকট। অর্থনীতি তো বটেই, কর্মসংস্থান, মানুষের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য সবকিছুতেই থাবা বসিয়েছে এই মারণ ভাইরাস।” শক্তিকান্ত দাস আরও বলেছেন, “ব্যাঙ্ক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি এখন কোভিড ১৯ অতিমহামারীর প্রভাব ঠেকাতে চেষ্টা করছে। তাদের মাধ্যমেই আরবিআইয়ের নানা পলিসি কার্যকর করা হচ্ছে। আর্থিক বিকাশের ওপরে এখন আমরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। একইসঙ্গে টাকার বাজারে স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্যও চেষ্টা করা হচ্ছে। বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়ানো ও নগদ টাকার যোগানে সংকট কাটানোর চেষ্টা হচ্ছে।”
শক্তিকান্ত দাসের দাবি, “অর্থনীতিকে সংকটের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কয়েকটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রথাগত ও প্রথাবহির্ভূত দু’রকম পদক্ষেপই নেওয়া হয়েছে। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এখনও পর্যন্ত রিজার্ভ ব্যাংক ২৫০ বেসিস পয়েন্ট রেপো রেট কমিয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “কোনও পদক্ষেপ নিলে কিছুদিন পরে বোঝা যায়, তার ফল কী হল। তবে আপাতত মনে হচ্ছে, আমরা যে পদক্ষেপ নিচ্ছি, তাতে ভালই ফল হয়েছে। তাতে আমরা উৎসাহিত হয়েছি। আরও নতুন পদক্ষেপ নিচ্ছি।”
এদিন এসবিআইয়ের চেয়ারম্যান রজনীশ কুমারকে বলেন, ‘এ বিষয়ে কোনও দ্বিমত নেই যে করোনা ভাইরাস গোটা বিশ্বের আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতিতে গভীর প্রভাব ফেলেছে। বিশ্বের অর্থনীতি ব্যবস্থাকে পরীক্ষার মুখে ফেলেছে এই মারণ জীবাণু। এই মহামারী আবহে রিজার্ভ ব্যাংকের কাছে অর্থনৈতিক বৃদ্ধিই সবথেকে বেশি প্রাধান্য পাবে। পাশাপাশি আর্থিক স্থিতিশীলতাকেও নজর দিতে হবে। এই আর্থিক সংকটের মধ্যে দেশের সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান যেভাবে লড়াই করছে তা প্রশংসনীয়। তারাই এই আর্থিক সংকটের ফ্রন্টালাইনে রয়েছে।’