‘এখনও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব করোনা’, মুম্বইয়ের ধারাভির উদাহরণ দিয়ে বোঝাল WHO

মহারাষ্ট্র তথা দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণ যখন হু হু করে বাড়ছে, তখন আশার আলো দেখিয়েছে মুম্বইয়ের (Mumbai) ধারাভি। সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর প্রাথমিভাবে প্রশাসন সবচেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন ছিল এই ধারাভি (Dharavi) এলাকা নিয়েই। কিন্তু এশিয়ার বৃহত্তম বসতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এই এলাকায় করোনা ভাইরাস প্রায় পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে। করোনা মোকাবিলায় ধারাভির এই লড়াইকেই এবার গোটা বিশ্বের সামনে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরল WHO। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর-জেনারেল টেড্রোস আধানম ঘেব্রিয়েসুস বললেন, সংক্রমণ যতই ভয়াবহ হোক না কেন, করোনা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। যার জলজ্যান্ত উদাহরণ মুম্বইয়ের এই বসতি।

WHO‘র ডিরেক্টর-জেনারেল শুক্রবার এক ভারচুয়াল সাংবাদিক সম্মেলনে বললেন, “গত ৬ সপ্তাহে দ্বিগুণ হয়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। তবে, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এমন উদাহরণ আছে, যেখানে সংক্রমণের মাত্রা বিপজ্জনক হওয়া সত্বেও, এই ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করা গিয়েছে। এর কিছু উদাহরণ হল, ইটালি, স্পেন, দক্ষিণ কোরিয়া, এমনকী মুম্বইয়ের ধারাভি। মানুষকে সচেতন করা, টেস্টিং, আইসোলেশন এবং আক্রান্তদের চিকিৎসার মাধ্যমেই করোনা সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙা যায়। এবং এই ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা যায়।”


উল্লেখ্য, করোনার কামড়ে এদেশের সবচেয়ে জর্জরিত মহারাষ্ট্র। সেখানে রেকর্ড হারে আক্রান্ত, মৃত্যুর ঘটনা ঘটেই চলেছে। একটা সময় মহারাষ্ট্রের মধ্যে এই ধারাভি নিয়ে সবচেয়ে চিন্তিত ছিল সরকার। এশিয়ার বৃহত্তম বসতি এলাকায় মাত্র ২ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় অন্তত ৮ লক্ষ মানুষের বসবাস। ছোট ছোট ঘুপচি ঘরে বসবাস করেন বহু মানুষ। ধারাভি স্বচক্ষে যাঁরা দেখেছেন, তাঁরাই বুঝতে পারেন যে, এখানে করোনা সংক্রমণ কী মারাত্মক রূপ নিতে পারত। কিন্তু প্রশাসনের চেষ্টা আর ধারাভিবাসীর সচেতনতা, সেই ভয়াবহতা থেকে বাঁচিয়ে নিয়েছে এশিয়ার বৃহত্তম বসতিকে। এবার WHO’ও ধারভির এই লড়াইকে কুর্নিশ জানাল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.