অবশেষে কাটল দীর্ঘ জটিলতা। পুজোর পর থেকেই চালু হতে চলেছে মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প – দেউচা পাচামি কয়লা ব্লকের কাজ। বৃহস্পতিবার বীরভূমের দেউচায় গিয়ে সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দা ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে একথা ঘোষণা করেছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা (Rajiv Sinha)। বাসিন্দাদের সম্পূর্ণ পুনর্বাসন দিয়ে তবেই প্রথম ধাপের কাজ শুরু হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যসচিব।
বীরভূমের দেউ পাচামি কয়লা খনির কাজ নিয়ে দীর্ঘ টালবাহান চলছিল। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল এলাকা পরিদর্শন করে সবুজ সংকেত দেওয়ার পরও সমস্যা কিছু ছিল। মূলত ৩৫০০ একর জায়গা জুড়ে তৈরি হতে চলা কয়লা খনি এলাকায় ৩৫ টি গ্রামের বাসিন্দাদের অনুমোদন নিয়ে জটিলতার সূত্রপাত। রাজ্যের তরফে পুনর্বাসন প্যাকেজের কথা ঘোষণা করা হলেও, তাঁদের মধ্যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব কাজ করছিল। কারণ, বাম আমলে এই এলাকায় পাথর খাদানের কাজ চালু হলেও, পুনর্বাসন দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে তাঁরা কিছুটা সচেতন পড়েছিলেন।
তবে বৃহস্পতিবার মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা দেউচা গৌরাঙ্গিনী উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে গ্রামবাসীদের ৪০ জন প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলেন। সম্পূর্ণ পুনর্বাসন দেওয়া নিয়ে তাঁদের আশ্বস্ত করেন। এরপরই জট কেটে যায়। কয়লা খনি তৈরিতে অনুমোদন মেলে। মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা জানিয়েছেন, চারটি ধাপে কয়লা খনির কাজ হবে, তার প্রথম ধাপ শুরু হবে পুজোর পর। মূল কাজ হতে এক বছরের কাছাকাছি সময় লাগবে। ততদিন পর্যন্ত কোথা থেকে, কীভাবে কয়লা উত্তোলনের কাজ শুরু করা যায়, গোটা এলাকা পরীক্ষা করে তারই পরিকল্পনা তৈরি হবে।
লকডাউনে (Lockdown) দেশের থমকে থাকা অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে কয়লা খনিতে ১০০ শতাংশ প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের (FDI) সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় সুর চড়িয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ নিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠিও লিখেছিলেন। এসবের মাঝে দেউচা পাচামি কয়লা ব্লকের কাজ শুরু হওয়ার সুখবর মিলল।