টি-২০ বিশ্বকাপ হচ্ছে না। আজকালের মধ্যেই হবে সরকারি ঘোষণা। আর এশিয়া কাপ (Asia Cup) বাতিলের ঘোষণা করেই দিয়েছেন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। এই দুই টুর্নামেন্ট বাতিল হওয়ার অর্থ, আইপিএল (IPL) আয়োজনের আর কোনও বাধা রইল না। সেপ্টেম্বরের শেষ থেকে নভেম্বরের শুরুর দিক পর্যন্ত এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করার যে পরিকল্পনা বিসিসিআই করেছে, সেই অনুযায়ীই টুর্নামেন্ট আয়োজন সম্ভব। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া নাকি ইতিমধ্যেই নিজেদের ক্রিকেটারদের বলে দিয়েছে, “তোমার আইপিএল খেলার জন্য প্রস্তুত হও।”
এখন আইপিএল নিয়ে প্রশ্ন একটাই। এত বড় টুর্নামেন্ট যদি আয়োজন করতে হয়, তাহলে সেটা কোথায়? কারণ, এই মুহূর্তে ভারতে যে হারে সংক্রমণ বাড়ছে, তাতে দেশের মাটিতে আইপিএল সম্ভব নয়। তাছাড়া BCCI প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, টিকা আবিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত ভারতে আইপিএল আয়োজনের ঝুঁকি তিনি নেবেন না। আবার বিসিসিআই আর্থিক ধাক্কার কথা ভেবে টুর্নামেন্ট বাতিলও করতে চায় না। সেক্ষেত্রে একটাই বিকল্প বিদেশের মাটিতে আইপিএল আয়োজন। বিসিসিআইয়ের এক কর্তা দিন দুই আগেই বলছিলেন, শ্রীলঙ্কা, সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর পাশাপাশি নিউজিল্যান্ডও আইপিএল আয়োজনে আগ্রহ দেখাচ্ছে। সেখানে সংক্রমণ কম, তাই কিইয়ি ভূমিতে আইপিএল হতেই পারে। কিন্তু নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড আজ জানিয়ে দিল, এসবই গুজব। নিউজিল্যান্ড (New Zealand) আইপিএল আয়োজনের জন্য কোনও আগ্রহ দেখায়নি। আর দেখাবেও না। সুতরাং, টুর্নামেন্ট আয়োজন করার জন্য বিসিসিআইয়ের হাতে রইল দুটো বিকল্প। এক শ্রীলঙ্কা। দুই সংযুক্ত আরব আমিরশাহী।
উল্লেখ্য, গত ২৯ মার্চ শুরু হওয়ার কথা ছিল এবছরের আইপিএল। কিন্তু করোনার জন্য প্রাথমিকভাবে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত তা পিছিয়ে দেওয়া হয়। পরে স্থগিত করে দেওয়া হয় অনির্দিষ্টকালের জন্য। একটা সময় আইপিএল আয়োজনের কোনও সম্ভাবনাই দেখা যাচ্ছিল না। কিন্তু অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে যে টি-২০ বিশ্বকাপ আয়োজিত হওয়ার কথা, তা অনিশ্চিত হয়ে যেতেই নতুন করে এই কোটি টাকার টুর্নামেন্ট আয়োজিত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। আপাতত আইসিসির সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় বসে বোর্ড। আইসিসি টি-২০ বিশ্বকাপ বাতিল ঘোষণা করলেই আইপিএলের সম্ভাব্য রোডম্যাপ ঘোষণা করে দেবে বিসিসিআই।