অবশেষে নন-কোভিড রোগীদের জন্যেও খুলে দেওয়া হল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ। বৃহস্পতিবার মেডিক্যাল কলেজে এই মর্মে নয়া নোটিস টাঙানো হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, নন-কোভিড রোগীদের জন্য ইন্ডোর এবং বর্হিবিভাগ দুই-ই চালু হতে চলেছে। ফলে মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রদের ক্লিনিক্যাল ক্লাস ফের স্বাভাবিক ভাবে চলবে। সূত্রের খবর, এমসিএইচ, এজরা বিল্ডিং, ডেভিড হেয়ার ব্লক-সহ যে চারটি বিল্ডিংয়ে পরিকাঠামোগত ত্রুটির কারণে কোভিডের চিকিৎসা হচ্ছে না, সেখানেই নন-কোভিড রোগীদের চিকিৎসা শুরু হতে চলেছে। যে সমস্ত ওয়ার্ডে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র নেই, চিকিৎসকদের পিপিই পরে কাজ করতে হচ্ছে। সেখানেও দ্রুত শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র বসবে বলে জানানো হয়েছে নোটিসে।
এদিকে এই ঘোষণার পর খুশি মেডিক্যাল কলেজের (Medical College) জুনিয়র ডাক্তাররা। প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পরেই মেডিক্যাল কলেজকে কোভিড হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণা করা হয়। নন-কোভিডদের চিকিৎসা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ১ জুলাই থেকে আন্দোলনে নামেন মেডিক্যাল কলেজের কয়েকশো পিজিটি-ইন্টার্ন। তাঁদের দাবি ছিল, যে সমস্ত বিল্ডিংয়ে করোনার চিকিৎসা হচ্ছে না, অবিলম্বে সেখানে নন-কোভিড রোগীদের চিকিৎসা শুরু করতে হবে। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য খতিয়ে দেখতে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে স্বাস্থ্যদপ্তর। মেডিক্যাল কলেজ পরিদর্শন করে কমিটি একটি রিপোর্ট তৈরি করে। এরপরেই বুধবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের বিভাগীয় প্রধানদের ডেকে নবান্নে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
স্বাস্থ্যদপ্তরের নয়া সিদ্ধান্তে খুশি মেডিক্যাল কলেজ রেসিডেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনের পক্ষ থেকে ডা. অর্ণব মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ঐতিহ্যবাহী কলকাতা মেডিকেল কলেজে পুনরায় নন-কোভিড রোগীদের চিকিৎসা এবং মেডিকেল শিক্ষা ও ট্রেনিংয়ের কাজ শুরু হওয়ায় অসংখ্য নিম্নবিত্ত রোগীর সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারির ছাত্র-ছাত্রীরাও উপকৃত হবেন। ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরামের সম্পাদক ডা. কৌশিক চাকির কথায়, আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী সকল মেডিকেল ছাত্রছাত্রী জুনিয়র ডাক্তার ও ডাক্তারদের অভিনন্দন। এই ঘোষণায় সাধারণ মানুষের চিকিৎসা ও মেডিকেল শিক্ষার পরিবেশকে উন্নত করবে।