চিনের সঙ্গে জড়িত ৫০টি সংস্থা ভারতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। কিন্তু এই সংস্থাগুলিকে বিনিয়োগ করতে অনুমোদন দেওয়া হবে কিনা তা নিয়ে পর্যালোচনা করছে নয়াদিল্লি। এপ্রিল মাসের নতুন নিয়ম অনুসারে, প্রতিবেশী দেশগুলির কোনও সংস্থা নতুন করে বিনিয়োগ করতে বা বিনিয়োগ বাড়াতে চাইলে কেন্দ্রের অনুমতি প্রয়োজন।
এই নতুন বিনিয়োগকারীদের মধ্যে চিনের সংস্থাই সবথেকে বেশি রয়েছে। ফলে এই নতুন নিয়মের সমালোচনা করেছে চিনা বিনিয়োগকারীরা। এমনকি বেজিং এটাকে ভারতের বৈষম্যমূলক নীতি বলেও আখ্যা দিয়েছেন। তবে শিল্প মহলের মতে, সীমান্তে সংঘর্ষের পরে ভারত ও চীন দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি হয়েছে এবং এর ফলে অনেক চীনা সংস্থা ভারতে আসতে পারেনি। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের এক আধিকারিকের জানান, এখন বিনিয়োগ করতে বিভিন্ন ছাড়পত্র প্রয়োজন। অনেক চিনের সংস্থা ভারতে আসতে তৈরি। আমরা তাদেরকে নিয়ে কোনও চিন্তাভাবনা শুরু করিনি।
অন্য দুটি সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, এপ্রিল মাসে নিয়ম পরিবর্তন করার পরেও বিনিয়োগ করার জন্য চিনের প্রায় ৪০-৫০টি সংস্থার আবেদন জমা পড়েছে। এবং সেগুলিকে ছাড়পত্র দেওয়া হবে কিনা তা নিয়ে পর্যালোচনা চলছে। এ প্রসঙ্গে আইনি সংস্থা কৃষ্ণমূর্তি অ্যান্ড কোম্পানির সহযোগী পার্টনার অলোক সোনকার বলেন, “ভারতে বিনিয়োগ করার জন্য কমপক্ষে ১০টি চিনা সংস্থা আমার পরামর্শ চেয়েছে। তবে আমি বাণিজ্য নিয়ে ভারত সরকারের নীতিগত পদক্ষেপের দিকে তাকিয়ে রয়েছি।”
সম্প্রতি চিনের ৫৯টি মোবাইল অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছে ভারত। এর জন্য সীমান্তে চিনের আগ্রাসনকেই দায়ী করছেন কূটনৈতিক মহল। ফলে চিনা বিনিয়োগ এখন না করার পক্ষেই রয়েছে নয়াদিল্লি। উল্লেখ্য, এর আগে মার্চ মাসে গবেষণা সংস্থা ব্রোকিংস জানিয়েছিল, চিনের কিছু সংস্থার পরিকল্পনা রয়েছে ভারতে ২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করার।