সীমান্ত এলাকায় ভারত (India) চীন (China) উত্তেজনা বেশ কিছুদিন ধরেই চরমে পৌঁছেছে। এই অবস্থায় আলোচনার মাধ্যেমে সমস্যা সমাধানের নীতি অনুসরণ করলেও, চীন তাঁদের সেনা সরাতে নারাজ ছিল। তবে বর্তমানে খবর পাওয়া গেছে, চীন তাঁদের সেনা সরাতে রাজী হয়েছে।
চীনের এই অন্যদেশের জমি দখলের নীতি বহু প্রাচীন থেকেই। শুধুমাত্র ভারত নয়, আরও বিভিন্ন দেশের উপর চীনের কুদৃষ্টিও রয়েছে। পূর্বে ২০১৭ সালেও ডোকলামে (Doklam) পৌঁছাতে ভারতীয় সেনার সময় লাগত প্রায় ৭ ঘণ্টা। তবে বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশনের মতে, যুদ্ধ ক্ষেত্রে শত্রুর দিকে দ্রুত এগিয়ে যাওয়াই দেশের প্রতিরক্ষায় সাফলতা আনে।
পার্বত্য-মধুবালা-ডোকালা রুটের এই রাস্তাটি ৩৬০১ থেকে ৪২০০ মিটার উচ্চতায় খাড়া ভূখণ্ড দিয়ে তৈরি। সীমান্ত সড়ক সংস্থার জানিয়েছে, এই রুটটি বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পোস্টকে সংযুক্ত রেখেছে। ইতিমধ্যেই এই রাস্তার প্রায় ১০ কিমি তৈরি করা হয়ে গেছে। বাকি ২০ কিমি এক বছরের মধ্যে শেষ করা হবে।
২০১৭ সালের ২৮ শে অগস্ট, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংকে সেনা সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। বেইজিং ও নয়াদিল্লী উভয়ের নির্দেশে ভারতীয় সেনাদের ভারত এবং পিপলস লিবারেশন আর্মিদের চীন সরিয়ে নেয়। তবে যে ডোকালাম পৌঁছতে ভারতীয় সেনার পূর্বে ৭ ঘণ্টা সময় লেগে যেত, বর্তমানে নতুন রাস্তা নির্মাণের মাধ্যমে সেখানে পৌঁছাতে এখন মাত্র ৪০ মিনিট সময় লাগে।