অবশেষে লাদাখ সীমান্ত থেকে পিছু হটছে পিপলস লিবারেশন আর্মি (People Liberation Army)। পূর্ব লাদাখে গালওয়ান উপত্যকার সংঘর্ষস্থল এবং আরও দুই জায়গা থেকে অন্তত এক কিলোমিটার পিছিয়ে গেছে চিনা সেনাবাহিনী। পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৪ ও গোগরা হট স্প্রিংয়ের কাছে তাদের তাঁবুগুলোও উধাও হয়েছে। তবে চিনা বাহিনীর এই সামান্য পদক্ষেপে আশার আলো দেখছে না ভারতীয় সেনাবাহিনী (Indian Army)। বরং সেনা সূত্রে জানানো হয়েছে, ভারতীয় ভূখণ্ডে যে প্রায় ১৮ কিলোমিটার এলাকা অবধি ঢুকে এসেছিল লাল ফৌজ, সেখানে মাত্র এক থেকে দুই কিলোমিটার পিছু হটেছে তারা। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে নিজেদের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় ফিরে যায়নি। তাই চিনা পিপলস লিবারেশন আর্মির ফের ফিরে আসার সম্ভাবনাকে একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
গত ৩০ জুন চিন-ভারত সেনাবাহিনীর কম্যান্ডার স্তরে বৈঠকের পরে সীমান্ত সমস্যার সমাধান না হওয়ায় চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে ফোনে কথা বলেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল (Ajit Doval)। ফোনে কথোপকথনের পরে বিদেশ মন্ত্রক জানায়, আলোচনায় দুই তরফই সীমান্ত থেকে সেনা সরানোর ব্যাপারে সম্মত হয়েছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় দুই দেশের সীমান্তে শান্তি ও সুস্থিতি ফিরিয়ে আনতে দুই দেশকে তাদের বাহিনী সরিয়ে নেবে। মধ্যবর্তী স্থানে অন্তত তিন কিলোমিটার জুড়ে একটা নিরপেক্ষ এলাকা তৈরি হবে। দুই দেশই যাতে এলএসি-র বিধি কঠোরভাবে মেনে চলে সেটা সুনিশ্চিত করা হবে।
গোগরা হট স্প্রিং ও প্যাঙ্গং লেক বরাবর কিছু সাঁজোয়া গাড়ি সরিয়েছে চিন। তবে তাদের বাহিনী এখনও পুরোপুরি ফিরে যায়নি। তাছাড়া প্যাঙ্গং রেঞ্জে ফিঙ্গার পয়েন্ট ৪ এর কাছাকাছি নিজেদের কংক্রিটের বাঙ্কার বানিয়েছিল চিনা সেনা। সেই এলাকা জুড়েই তৈরি হয়েছিল শতাধিক অস্থায়ী ছাউনি। সামরিক পরিকাঠামোও গড়ে তোলা হয়েছিল। তৈরি হয়েছিল অস্থায়ী বিমানঘাঁটি। সেইসব এখনও পুরোপুরি সরানো হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত নয় ভারতীয় বাহিনী। কারণ ৬ জুন আলোচনার পর যেভাবে ১৫ জুন লাদাখ সীমান্তে ভারতের সেনাবাহিনীর ২০ জন জওয়ানকে হত্যা করেছিল পিপলস লিবারেশন আর্মি। তাতে এখনই চিনের ওপর ভরসা করা যায় না বলেই মনে করছে নয়াদিল্লি।