২০০১ এ আমেরিকায় ডব্লুটিসি টাওয়ার হামলার পর শ্রীলঙ্কারএই ঘটনা সাম্প্রতিক কালের মধ্যে বেশ বড় রকমের জঙ্গি হামলা যা ২০০৯ সালে সেদেশের গৃহযুদ্ধর থেকে বেশি ভয়াবহ। ন্যাশনাল তৌহিত জামাতের নাম শ্রীলঙ্কাতে আগে শোনা যায়নি। অথচ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের তির।
মৃতের সংখ্যা প্রায় ৩০০ ছুঁয়েছে আর ৫০০র বেশি জখম । পিছনে ইসলামিক জঙ্গি সংগঠন ন্যাশনাল তৌহিত জামাত এই ধ্বংসলীলার সাথে য়ুক্ত। জানা গেছে এরা আইএসআইএস এর স্থানীয় শাখা।
শ্রীলঙ্কা সরকার ও প্রশাসন ন্যাশনাল তৌহিত জামাত কে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেও তারা হামলার দায় স্বীকার করেনি। এই সংগঠনে যুক্ত আবদুল রাজিককে ২০১৬ সালে বৌদ্ধ ধর্মস্থানে আঘাতের ও উস্কানিমূলক মন্তব্যের জন্য গ্রেফতারও করা হয়েছিল।
সেদেশের সরকার ও প্রশাসন দাবি করছেন, ন্যাশনাল তৌহিত জামাত আইএসআইএস আঁতাত এর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক চক্রও -এর সাথে যুক্ত। শ্রীলঙ্কার অনেক নাগরিক এই সংগঠনের মাধ্যমে সিরিয়া ও ইরাকের সন্ত্রাসে যোগ দিইয়েছে। তবে শ্রীলঙ্কা সরকারের মুখপাত্র তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজিতা সেনারত্নে দাবি করেছেন, ন্যাশনাল তৌহত জামাত একাই এত বড় হামলা চালায়নি। এর পিছনে নিশ্চয়ই কোনও ।
স্থানীয় সংগঠনের সাথে আন্তর্জাতিক শক্তি কাজ করছে এমন সম্ভাবনার কথা বিশেষজ্ঞরাও মনে করছেন । আক্রমণের তিব্রতা বিবেচনা করে অনেকের মত ইসলামিক স্টেট বা আল কায়দার মিল রয়েছে এই ঘটনায়। হামলার পরে ইন্টারনেটে আইসিসি সমর্থকদের উল্লাস শ্রীলঙ্কায় হামলার পিছনে আইসিসের হাত থাকার যুক্তি।
ইতিমধ্যেই সন্দেহে ২৪ জন শ্রীলঙ্কার নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। সতর্কতা জারি হয়েছে দেশের সব পর্যটন এলাকায়।