আমফানে (Amphan) ক্ষতিপূরণের ফর্ম জমা দেওয়া ঘিরে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলিতে। বিডিও অফিসের সামনে আবেদনকারীদের ভিড়ে হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হয়ে আহত বেশ কয়েকজন মহিলা। তাঁদের তড়িঘড়ি উদ্ধার করে নিকটবর্তী গ্রামীণ হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। ঘটনা ঘিরে বৃহস্পতিবার বেলায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল কুলতলির এলাকার বিডিও অফিসে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে।
এমনিতেই আমফানের ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়ে একটা জট তৈরি হয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত দুই জেলায়। অভিযোগ উঠেছে, প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা টাকা পাননি, বদলে শাসকদল ঘনিষ্ঠরা তেমন ক্ষতির মুখে না পড়েও মোটা অঙ্কের ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন। এই অভিযোগ পেয়েই কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার। প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা স্বচ্ছতার সঙ্গে তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই কাজই চলছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার আমফান বিধ্বস্ত এলাকা কুলতলিতে…
এদিন বিডিও অফিসে ক্ষতিগ্রস্তদের কাছ থেকে আবেদনের ফর্ম জমা নেওয়া হচ্ছিল। সকাল থেকে খাওয়াদাওয়া না করে আগে সেই লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন ক্ষতিগ্রস্তরা। রোদের তাপে কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁরা আগে ফর্ম জমা দিতে চান। হুড়োহুড়ি পড়ে যায় আবেদনকারীদের মধ্যে। ভিড়ের চাপে মাটিতে পড়ে যান কয়েকজন মহিলা। তাঁদের উপর দিয়েই চলে যান আরও অনেকে। ফলে জখম হন মহিলারা। তাঁদের উদ্ধার করে স্থানীয় জামতলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
কুলতলির এই ঘটনা ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়। কেন এমন বিশৃঙ্খলা তৈরি হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যায়। পঞ্চায়েত এ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে। রাজনৈতিক রেষারেষিতেই এই ঘটনা বলে মনে করছেন রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাঁর অভিযোগ, আমফানের ক্ষতিপূরণ নিয়ে বিজেপি এভাবে গন্ডগোল তৈরির চেষ্টা করছে। পালটা তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। এখনও পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টায় পুলিশ প্রশাসন।