বাংলাদেশের ইসলামি জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলাম আইএস (ইসলামি স্টেট) কিংবা আল কায়েদার মতো দেশের প্রত্যন্ত কোনো অঞ্চলে নিজস্ব স্বাধীন এলাকা গড়ে তুলতে চায়। ঠিক সিরিয়া, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মতো। এই লক্ষ্যেই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনটি কাজ করছে। আনসার আল ইসলামের আট জঙ্গি র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নের হাতে ধরা পড়ার পর জিজ্ঞাসাবাদে এমন। তথ্য সামনে বেরিয়ে এসেছে। আরও জানা গেছে, জঙ্গি সংগঠনটি আগের মতো চাকু দিয়ে টার্গেট কিলিং করার পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছে। টার্গেট কিলিং সহজ করতে তারা পিস্তল ও রিভলবার এবং উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিস্ফোরক ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে। সে মোতাবেক তারা অস্ত্র ও গোলাবারুদ সংগ্রহ করছে। পাশাপাশি নিজেদের প্রস্তুতও করছে। আটক জঙ্গিদের মধ্যে সুইসাইড স্কোয়াডের সদস্যও রয়েছে।
র্যাব কর্মকর্তা মহিউদ্দিন ফারুকি জানান, জঙ্গি সংগঠনটি পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও সিরিয়াসহ বিভিন্ন দেশের নানা জঙ্গি সংগঠনের মতো দেশের প্রত্যন্ত একটি এলাকা দখলে নিতে চায়। এজন্য তাদের পছন্দ প্রত্যন্ত অঞ্চলের বা কোনো গভীর পাহাড়ের কোনো গ্রাম। সেই গ্রামের দখল নিয়ে তারা সেখানে ইসলামিক ভিলেজ গড়ে তুলবে। সেখানে মানুষের তৈরি আইন বা নীতি নয়, আল্লাহর আইনে সবকিছু চলবে। এমনকী কেউ সরকারকে কোনো খাজনা দেবে না। ইসলামি আইন দ্বারা পরিচালিত হবে। যেটিকে মুসলিম ভিলেজ নাম দেওয়া হবে। সেটাই হবে মূল জঙ্গি ঘাঁটি। সেখানে শক্ত অবস্থান নিয়ে তারা দেশে ইসলামি শাসন ব্যবস্থা কায়েমের জন্য সশস্ত্র জিহাদ করে যাবে। ফারুকি আরও বলেন, জঙ্গি সংগঠনটি বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বিশেষ করে পাকিস্তান, আফগানিস্তান বা অন্যান্য যেসব দেশে জঙ্গি সংগঠরে বিস্তৃত এলাকাজুড়ে আধিপত্য আছে, তাদের মতো বাংলাদেশেও তাদের একটি গ্রাম টার্গেট ছিল। তারা দেশের যে কোনো একটি জায়গাকে মুসলিম ভিলেজ হিসেবে গড়ে তুলবে। ওই গ্রাম থেকে তারা তাদের কর্মকাণ্ড চালাবে। মুসলিম ভিলেজ গড়ে তুলতে তারা নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের কোমলমতি যুবকদের টার্গেট করে উদ্বুদ্ধ করে আসছিল। র্যাব কর্মকর্তা বলেন, মুসলিম ভিলেজ প্রতিষ্ঠা করতে গেলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তারের আশঙ্কা থাকে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রতিরোধ করতে তারা অস্ত্র ও গোলাবারুদের মজুত গড়ে তুলছিল। এজন্য উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিস্ফোরক সংগ্রহ করছিল। তাদের কাছে আইইডি (ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) বোমা তৈরির বিপুল সরঞ্জাম, জঙ্গিবাদী বই, পিডিএফ ডকুমেন্টস মিলেছে। আটক জঙ্গিরা আরও জানিয়েছে, চলতি বছরের শুরু থেকে তারা এমন তৎপরতা চালাচ্ছিল। করোনা ভাইরাসের কারণে বাহ্যিক কাজে কিছুটা ভাটা পড়েছিল। সম্প্রতি আবার তারা তৎপরতা শুরু করেছে।
অমুসলমানদের ইসলাম গ্রহণে প্ররোচনা, অর্থ সহায়তা :
একটি বিজ্ঞাপন “পবিত্র মাহে রমযান উপলক্ষে অনলাইনে বিশেষ আয়োজন ২০ দিন ব্যাপী অমুসলমানদের মাঝে দাওয়াহ বিষয়ক প্রশিক্ষণ কোর্স, সময় সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত। তারিখ ২৫ এপ্রিল থেকে ১৪ মে পর্যন্ত। রমযান : ১ রমযান থেকে ২০ রমযান পর্যন্ত। অমুসলমানগণ আল্লাহ তা আলর বান্দা। প্রিয় নবীজীর উম্মত। তারা প্রতিমুহূর্তে চিরস্থায়ী জাহান্নামে ঝাপ দিচেছ। খ্রিস্টান মিশনারিরা। মুসলমানদের দাওয়াতে দিয়ে জাহান্নামের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। কে বাঁচাবে তাদেরকে, কোনো নবী-রসুল আর আসবে কী? আসবে না। তাই নবীওয়ালা যিম্মাদারী নিয়ে আমাদেরই ঝাপিয়ে পড়তে হবে তাদেরকে বাঁচাতে। দ্বীন ও মুসলমান উম্মাহর এই অনিবার্য প্রয়োজন পূরণের লক্ষ্যে আমাদের এই আয়োজন। প্রশিক্ষণের বিষয় : হিন্দু ভাইদের দাওয়াতে দেওয়ার পদ্ধতি। খ্রিস্টান ভাইদের দাওয়াত দেওয়ার পদ্ধতি। মুতাদ ভাইদের দাওয়াত দেওয়ার পদ্ধতি। অমুসলমানদের পক্ষ থেকে উত্থাপিত প্রশ্নের উত্তর।তথ্যসূত্র :কুরআন, হাদীস, বাইবেল, কিতাবুল মোকাদ্দাস, বেদ, পুরাণ, উপনিষদ। ক্লাশ : সরাসরি ফেইসবুক আইডি থেকে লাইভ দেওয়া হবে। কোর্স সংক্রান্ত তথ্য জানতে যোগাযোগ : এন০১৭২৬-০৫১৮০১। আলোচক : মুফতি যুবায়ের আহমেদ সাহেব, পরিচালক, ইসলামি দাওয়াহ ইন্সটিটিউট, বিশিষ্ট দায়ী, লেখক ও গবেষক। বিষয় : দাওয়াতের কর্ম পদ্ধতি ও দায়ীর গুণাবলী। ইসলামি দাওয়াহ ইন্সটিটিউট, মান্ডা, মুগদা, ঢাকা ১২১৪।” ইসলামি দাওয়াহ ইন্সটিটিউটের পরিচালক যুবায়ের দারুল উলুম দেওবন্দ-এ মাস্টার্স পর্যন্ত পড়েছেন। এভাবে বিজ্ঞাপন দিয়েছে নিউ মুসলিম ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন নামে আরেকটি প্রতিষ্ঠানও, যার ঠিকানা হাউজ নম্বর ২৯/এ, রোজনম্বর ০৮, মোহাম্মদিহাউজিং সোসাইট, আদাবর, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭। এর প্রতিষ্ঠা সভাপতি মওলানা খান মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক। এই প্রতিষ্ঠান ইসলাম ধর্ম গ্রহণকারীদের (নও মুসলিম) জন্য যাকাতের নামে বিশেষ আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা করেছে বলে জানিয়েছে। বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে পাঠানো এক স্মারকলিপিতে বলেছে, ইসলামি দাওয়াহ ইন্সটিটিউট এবং নিউ মুসলিম ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের তৎপরতা একই সূত্রে গাঁথা। উদ্দেশ্য হচ্ছে, ইসলাম ভিন্ন অন্য ধর্মকে হেয় প্রতিপন্ন করা, অমুসলমানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ সম্পর্কে মিথ্যা ও বিকৃত ব্যাখ্যা দেওয়া এবং ধর্ম ত্যাগের উস্কানি দিয়ে ইসলাম গ্রহণে প্ররোচিত করা। আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে, ধর্মত্যাগ করে ইসলাম গ্রহণ করলে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। এ ধরনের তৎপরতা সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
বাংলাদেশকে হিন্দুশূন্য করার নতুন কৌশল :
বাংলাদেশকে হিন্দুশূন্য করার জন্য তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে নতুন কৌশল যুক্ত হয়েছে। কয়েক বছর ধরে ফেসবুকে হিন্দু সমাজের কাউকে বিশেষভাবে চিহ্নিত করে তার নামে ইসলামবিরোধী কোনো বক্তব্য পোস্ট করা হয় এবং ওই এলাকার মুসলমানরা এটাকে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করিয়ে হিন্দুদের ওপর ঝাপিয়ে পড়ে তাণ্ডব চালায়, বাড়িঘর, মন্দির ভাঙচুর, লুঠপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। মূল লক্ষ্য হিন্দুদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে দেশত্যাগে বাধ্য করা। হিন্দুদের ওই পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পরে তদন্ত করে পুলিশ জানতে পারে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি নিরপরাধ। কিন্তু মামলা চলতে থাকে। তিনি থাকেন কারাগারে। পাবনা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কক্সবাজারের রামু, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, মানিকগঞ্জ, ভোলা-সহ বিভিন্ন জেলায় এই ধরনের অন্তত ২০টি ঘটনার কথা জানা যায়। সাম্প্রতিক সময়ে করোনার ভয়াবহতার মধ্যে এই কৌশল আরও ভয়ংকর রূপ নিয়েছে। ইসমাইল আবির নামে এক ব্যক্তি কয়েকদিন আগে ফেসবুক প্রেফাইলে পোস্ট দিয়েছে“আমরা সত্যের পথের সৈনিক। আর্যদের টার্গেট করা হযেছে। আমরা আর্যদের নামফেইক আইডি খুলে নবী মোহাম্মদ (সা.)কে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ জঙ্গি বলবো, নবীকে মূখ। বলবো, নবী মোহাম্মদ (সা.)কে ধর্ষক বলবো, আবার মোহাম্মদ (সা.)কে আল্লাহর ফেইক আইডি বলবো, তারপর সেই লেখার স্কিনশট করে সমস্ত জায়গায় ছড়িয়ে দেব। এইভাবেই বাংলাদেশ হিন্দুশূন্য হবে মাশাআল্লাহ।” এর সঙ্গে ইসমাইল আবির ও তার অনুসারীদের কুরুচিপূর্ণ ও ধর্মীয় উস্কানিমূলক মন্তব্য এবং হিন্দুদের ওপর হামলা ও হত্যার হুমকিও রয়েছে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের বিশেষ করে হিন্দুদের নিশ্চিহ্ন করার পরিকল্পনা নিয়ে একটি অ্যাপসও তৈরি করা হয়েছে। এই অ্যাপসে তথ্যপ্রযুক্তি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে ব্যবহার করে সংখ্যালঘুদের বিপদগ্রস্ত করে তাদের মধ্যে দেশত্যাগের প্রবণতা তৈরির কথা বলা হয়েছে। বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ এইসব পরিকল্পনার কথা জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছে। ঐক্য পরিষদ আরও জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কথিত ইসলামবিরোধী পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে গত ২৪ এপ্রিল মানিকগঞ্জে রনি সত্যার্থী ও ৫ মে ঢাকার নবাবগঞ্জে রাকেশ চক্রবর্তীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অথচ যে দুই আইডি থেকে তাদের নামে পোস্ট হয়েছে, দুটোই ভুয়া। তাঁরা এর সঙ্গে যুক্ত নন।
সেই রামশীলে আবার হিন্দু হত্যা : হিন্দু প্রধান গোপালগঞ্জ জেলার কোটালিপাড়া উপজেলার রামশীল গ্রামের মানুষ একাত্তরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ দেখেছে, ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর বিএনপির হামলা, নির্যাতন ও ধর্ষণ দেখেছে। রামশীল তখন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে স্থান করে নিয়েছিল। সেই রামশীল আবার পত্র পত্রিকার শিরোনামে এসেছে। এবার বর্তমান আমলে রামশীলে নিখিল তালুকদার নামে একজন হিন্দু পুলিশের নির্যাতনে মারা গেছেন। তিনি পেশায় একজন কৃষক। গত ২ জুন রামশীল বাজারের কাছে সেতুর পাশে নিখিল আর তিনজন তাস খেলছিলেন। খবর পেয়ে কোটালিপাড়া থানার এএসআই শামীন উদ্দিন দুই পুলিশ-সহ সেখানে যান এবং মোবাইলে তাদের ছবি তোলেন। ঘটনা টের পেয়ে চারজন সেখান থেকে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। অন্য তিনজন পালিয়ে যেতে পারলেও নিখিলকে ধরে ফেলেন এএসআই। এরপর তার ওপর নির্মম নির্যাতন করা হয় এবং এতে তার মেরুদণ্ডের তিনটি হাড় ভেঙে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় নিখিলকে প্রথমে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও পরে ঢাকায় পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়। পরদিন বিকেলে তিনি মারা যান। নিখিল তালুকদারের স্ত্রী ইতি তালুকদার অভিযোগ করে বলেছেন, আমার স্বামীকে এএসআই শামীম ধরে মারধর করেছেন। এক পর্যায়ে হাঁটু দিয়ে পিঠে আঘাত করা হয়। এতে আমার স্বামীর মেরুদণ্ডের তিনটি হাড় ভেঙে যায়। এএসআই শামীমকে বাঁচাতে কোটালিপাড়া থানার ওসি শেখ লুৎফর রহমান অদ্ভুত এক তত্ত্ব হাজির করেন। তার দাবি নিখিলকে পুলিশ মারধর করেনি। তিনি দৌড়ে পালানোর সময় গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে পড়ে গিয়ে কোমরে ব্যথা পেয়েছেন। পরে হিন্দুদের ও বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবীদের তীব্র প্রতিবাদের মুখে এএসআই শামীমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে তাকে কোটালিপাড়া থানা থেকে প্রত্যাহার করে গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশ দপ্তরে ক্লোজড করা হয়েছিল। শামীমের সহযোগী রেজাউল ইসলামও গ্রেপ্তার হয়েছেন। নিখিলবাবুর মৃত্যুর ঘটনায় ২৪ জন বিশিষ্ট নাগরিক ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেছেন, রামশীলের এই ঘটনা আমেরিকায় সম্প্রতি শ্বেতাঙ্গ পুলিশের হাতে একজন কৃষ্ণাঙ্গ মানুষের নিহত হওয়ার ঘটনা মনে করিয়ে দেয়। মনে হচ্ছে, আমেরিকার মতো বাংলাদেশের পুলিশেরও এখন আর লাঠি-অস্ত্রের দরকার নেই। হাঁটুই যথেষ্ট।
চাঁদপুরে শ্মশান দখল :
চাঁদপুর সদর উপজেলার মৈশাদি ইউনিয়নের হামানকর্দি গ্রামে হিন্দুদের একটি শ্মশানের ১৮ শতাংশ জায়গা জোর করে দখল করে নিয়েছে প্রতিবেশী উকিল বাবরুল আমিন। লিটন বণিক, অমর শীল, শীতল শীল ও মল্লিকা বণিক জানিয়েছেন, অ্যাডভোকেট আমিন কয়েকজন লোক নিয়ে গত ৬ মে শ্মশানে ঢুকে ৪টি স্মৃতিমন্দির ভেঙে ফেলে, তারপর কাটাতার বসিয়ে দখল করে। এই অমানবিক ঘটনায় স্থানীয় হিন্দুদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।
ঢাকা থেকে বিশেষ প্রতিনিধি