গৃহযুদ্ধের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে আফ্রিকা মহাদেশের অন্তর্গত লিবিয়া নামে দেশটিতে। তার রাজধানী ত্রিপোলিতে এখন আছেন ৫০০ ভারতীয়। বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ তাঁদের আত্মীয়-স্বজনের কাছে আবেদন জানিয়েছেন, অবিলম্বে প্রিয়জনদের দেশে ফিরতে বলুন। কিছুদিন আগে লিবিয়ায় যুদ্ধে ২১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আগামী দিনে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
সুষমা টুইটারে লিখেছেন, ত্রিপোলি ও নয়াদিল্লির মধ্যে এখনও বিমান চলাচল করছে। কিন্তু আর কতদিন চলবে বলা যাচ্ছে না। যে ভারতীয়রা ত্রিপোলিতে আছেন, তাঁরা যদি এখনই না চলে আসেন, পরে সরকারের পক্ষে তাঁদের উদ্ধার করা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।
সেই ২০১১ সাল থেকেই লিবিয়া দেশটি অশান্ত হয়ে রয়েছে। ওই বছরে আন্তর্জাতিক শক্তিগুলির জোট লিবিয়ার একনায়ক মুয়াম্মার গদ্দাফিকে ক্ষমতাচ্যুত করে। তারপর তাদের অনুগামী ব্যক্তিদের ক্ষমতায় বসায়। সেই সরকারের নাম গভর্নমেন্ট অব ন্যাশনাল অ্যাকর্ড। সেই সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে সেনাবাহিনীর একাংশ। তাদের নেতার নাম খলিফা হাফতার।
গত বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপুঞ্জ জানায়, রাজধানী ত্রিপোলির আশপাশেও শুরু হয়েছে গৃহযুদ্ধ। ২০০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৯০০ জন। হাফতার অঞ্চলে সরকারের অনুগত সেনা ও বিদ্রোহীদের পুরোদস্তুর লড়াই চলছে। আকাশ থেকে বিদ্রোহী অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে বোমা ফেলা হচ্ছে। ২৫ হাজার মানুষ উদ্বাস্তু হয়েছেন। তাঁদের জন্য নিকটবর্তী দেশ নাইজারে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করছে রাষ্ট্রপুঞ্জ।