পশ্চিমবঙ্গের পাঠ্যক্রম ও শিক্ষাক্ষেত্রের ইসলামিকরণ

তথাকথিত স্বাধীনতা লাভের ৭৩ বছর পরেও ভারতের হিন্দুরা কি সত্যিই স্বাধীন হতে পেরেছে? কংগ্রেস আর কমিউনিস্টের সম্মিলিত চেষ্টায় মুসলমানের সংখ্যা গােটা ভারতের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গেও অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে চলেছে। অথচ হুঁশ নেই কারাে। বলুন তাে কিসের জন্য সংখ্যালঘু কমিশন? কেন এই তােষণ? হিন্দু হয়ে বেঁচে থাকার অল্প কয়েকটা বছর মুসলমানদের কাছ থেকে কিনে নেওয়ার জন্য কি ? আজ দেশের প্রতিটি রাজ্যে আর রাস্তার মােড়ে চাদ আর সুতীক্ষ্ণ বেয়ােনেটের মতাে মিনার সজ্জিত মসজিদের ছড়াছড়ি। প্রতিদিন হিন্দু যুবতীরা মুসলমানদের লালসার শিকার হচ্ছে আর যুবকরা মৃত্যু বরণ করছে তাদের সঙ্গে অসম লড়াইয়ে। আমরা কেউ জানতেও পারছি না, কারণ সংবাদ সংস্থাগুলাের হিন্দু নামধারী মুসলমান সাংবাদিকরা সামান্য ১৫০০ ডলারের বিনিময়ে সত্যকে মিথ্যার মােড়কে পরিবেশন করছে বিদেশি টিভি চ্যানেলগুলিকে। অন্যদিকে একটা মুসলমান মরলে তা আন্তর্জাতিক সংবাদে পরিণত হচ্ছে। যারা ৪০ কোটি হিন্দুকে মেরে ভারত ভাগ করেছে, তারাই এখন বাকি ভারতকেও গিলে ফেলতে চাইছে, তারা হলাে সংখ্যালঘু ? বিজেপি সরকার ২০১৮-১৯ সালেও মােট অনুদানের ৮০% মুসলমান, ৭.৫% খ্রিস্টান, ১.৮% বৌদ্ধ, ১% জৈন আর ৪.৭% হিন্দু ছাত্রদের দিয়েছে। তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ ভারতে কেন এই বৈষম্য? ১০০০ বছরের গােলামির পরও কেন এই মানসিকতা ? তার মানে কি আমরা হিন্দুরা শেষ হয়ে যাব ধীরে ধীরে. ? হাজার হাজার বছরের সংস্কৃতি ও সভ্যতা পরাজিত হবে আরবের ঊষর মরুভূমি থেকে আসা বর্বর আক্রমণকারীদের কাছে? কোথায় গেল শিবাজী আর সম্ভজী মহারাজের শৌর্য ও স্বাধীনতার পূজারি রাণাপ্রতাপের বীরত্ব?

গত ৯ বছর ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুসলমান ও বামপন্থী গুণ্ডাদের মদতে পশ্চিমবঙ্গকে হিন্দুশূন্য করার চক্রান্ত করে চলেছেন। মুসলমান ও কমিউনিস্ট পরিচালিত কেরালায় রাষ্ট্রবাদী সাংবাদিক। সুধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। কেননা তিনি কাশ্মীরের ‘রােশনি’ নামক জমি-জিহাদের কথা সর্বসমক্ষে তুলে ধরেছিলেন। কংগ্রেস পরিচালিত মহারাষ্ট্রে অর্ণব গােস্বামীর বিরদ্ধে ২৫০টি এফআইআর করা হয়। কারণ তিনি ইতালীয়ান মাফিয়ার কুকীর্তির কথা জনসমক্ষে প্রকাশ করেছিলেন। বিহারে ‘ওপইন্ডিয়া’র সম্পাদক অজিত ভারতীর বিরুদ্ধে কেস দেওয়া হয়। কেননা তিনি গােপালগঞ্জে ১৫ বছরের রােহিত জয় সােয়ালকে মসজিদের মধ্যে বলি দেওয়ার চক্রান্তের কথা সর্বসমক্ষে তুলে ধরেছেন।

প্রতিদিন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ছােটোখাটো হাঙ্গামা হচ্ছে। মুসলমানরা হাঙ্গামা করছে, জিতে যাচ্ছে আর নিজেদের অত্যাচারিত বলে সরবে প্রচার করে বেড়াচ্ছে। প্রশাসন নিষ্ক্রিয়, মুক ও বধির। হিন্দুরা গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে। এখন পশ্চিমবঙ্গে শুরু হয়েছে ইতিহাস বিকৃত করার খেলা। লকডাউনের আবহে টিভিতে রামায়ণ-মহাভারত দেখানাে হচ্ছে যাতে করে মানুষের মনােরঞ্জনের ব্যবস্থা করা যায়। তাতে অসুবিধা হয়েছে কংগ্রেস, কমিউনিস্ট ও তথাকথিত বুদ্ধিজীবীদের। পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাক্ষেত্রে কীভাবে শিশুমনে দেশের গৌরববােধকে হীন করে তােলা যায়, তারই পরীক্ষানিরীক্ষা চলছে, যেটা পাকিস্তান ও বাংলাদেশে প্রয়ােগ করে তারা ১০০% সার্থক হয়েছে।

মমতার ব্যানার্জির পরােক্ষ মদতে এখন দেশ থেকে হিন্দুসংস্কৃতির শেষ চিহ্নটিকেও নিঃশেষ করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। পাঠ্যপুস্তককে ব্যবহার করা হচ্ছে ধারালাে অস্ত্র হিসেবে। প্রাচীন ঐতিহ্যশালী ব্যাবিলন, মিশর, ইরাক ও ইরানের উদাহরণই যথেষ্ট নয় কি ? গৌড় বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্বর্তন উপাচার্য তথা বাংলাভাষা সাহিত্যের পণ্ডিত ড. অচিন্ত্য বিশ্বাসের লেখাগুলি বিশেষ প্রণিধানযােগ্য। উত্তর দিনাজপুরের দাড়িভিট উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বাংলাভাষী ছাত্রদের জন্য উর্দু শিক্ষক নিয়ােগ করার বিরােধিতায় দুই তরুণ তাপস ও রাজেশের তরতাজা প্রাণ মমতা ব্যানার্জির পুলিশ ও মুসলমান দুষ্কৃতীরা কেড়ে নেয়। পশ্চিমবঙ্গের বিদ্যালয়ে প্রশ্নপত্রে ছাত্রদের জিজ্ঞাসা করা হয় একদিনে একজন মুমিন ১০ জন কাফেরকে মারলে ৭ দিনে কত জন মারা যাবে? মমতা সরকারের গ্রন্থাগার মন্ত্রী হলেন মঙ্গলকোট থানার তৃণমূল বিধায়ক কট্টর মুমিন জামাত-উলেমা-ই-হিন্দের পশ্চিমবঙ্গ শাখার সভাপতি সিদ্দিকুলা চৌধুরী। দ্বিখণ্ডিত ভারতের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী হয়েছিলেন মক্কায় জন্মানাে উর্দু, পার্সি ও ফার্সি ভাষায় পণ্ডিত, ইসলামিক ইতিহাস ও ধর্মতত্ত্ববিদ মৌলানা মােহিউদ্দিন আবুল কালাম খৈরুদ্দিন-অল- হুসেইনি আজাদ, যাঁর ভারতীয় শিক্ষা-সংস্কৃতির সঙ্গে লেশমাত্র সম্পর্ক ছিল না। অতি সম্প্রতি কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপিকা শিরিন মাসুদ ‘অতীত ও ঐতিহ্য’ নামক ষষ্ঠ শ্রেণীর ইতিহাস বইয়ের চতুর্থ অধ্যায়ে সংক্ষিপ্ত ও বিশ্লেষণাত্মক প্রশ্নোত্তরে লিখেছেন “রাম’ শব্দের সংস্কৃত অর্থ নাকি ‘ভবঘুরে। তা থেকেই নাকি ইংরেজি‘রােম’ শব্দটি এসেছে যার মানেও নাকি ভবঘুরে। তাকে সমর্থন জানিয়েছেন,ডেভিড হেয়ার ট্রেনিং কলেজের প্রিন্সিপাল রবীন্দ্রনাথ দে আর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাহিত্যের লেকচারার অভীক মজুমদার। মাসুদ, মজুমদারদের বিশেষজ্ঞ কমিটি এবং পশ্চিমবঙ্গের মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অনুমােদনে ষষ্ঠ শ্রেণীর ওইইতিহাস বইয়ে লেখা হয়েছে, ‘ইন্ডাে-এরিয়ান ইনভেশন তত্ত্বের কল্পকাহিনি যা আধুনিক গবেষণায় উদ্দেশ্যপ্রণােদিত এবং অসত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে। আমাদের দেশে তথাকথিত কমিউনিস্ট ইতিহাসবিদরা যেমন রােমিলা থাপার, ডিএন. ঝা, বিপান কুমার ও কেরলের সিপিএম নেতা ইরফান হাবিবরা প্রমাণ করতে চান ভারতের মুল অধিবাসীরা তামিল বা কালাে চামড়ার লােক ছিলেন। পুরাকালে মধ্য এশিয়ার তৃণাঞ্চলের পশুপালক ও কৃষিজীবীদের একদল খাদ্য। আর চারণভূমির সন্ধানে উত্তরপশ্চিম ভাগ দিয়ে ভারতীয় উপমহাদেশে প্রবেশ করে।

অন্য দলগুলি ইরান ও ইউরােপে প্রবেশ করে উপনিবেশ স্থাপন করে। তারা স্থানীয়দের পরাজিত করে নিজেদের ভাষা ও সংস্কৃতির বিস্তার ঘটায়। তাদের ভাষা ছিল। ইন্দো-ইউরােপীয়ান। তার থেকেই নাকি সংস্কৃত ভাষার সৃষ্টি যার সঙ্গে মিল আছে। অনেক ভারতীয় ও বিদেশি ভাষার।

তাদের তত্ত্ব অনুযায়ী বিদেশি আক্ৰমমকারী আর্যদের হাতে স্থানীয় অধিবাসীরা পরাজিত হয় বারবার। তাই তার হলাে অসুর বা রাক্ষস। তাদেরই দলের একজন নিপীড়িত নিবাসী হলেন রাবণ। ভাবুন, কল্পনার দৌড় কতটা হলে তবেই এমন সব মিথ্যার মােড়কে সাজিয়ে শিশুমনে আমাদের নিজস্ব প্রাচীন ঐতিহ্য ও গৌরবময় ইতিহাসকে বিকৃত করে পরিবেশন করতে পারা যায়। বিজিতরাই নাকি সবসময় ইতিহাস লেখে। পরাজিতরা অবহেলিত থাকে। তাই পরাজিতরা অনার্য, নিকৃষ্ট, রাক্ষস ও অসুর শ্রেণীর হয়। অন্যদিকে বিজেতারা নিজেদের সভ্য, আর্য ও অভিজাত বলে জাহির করে। তাই উত্তরভারত ও দক্ষিণ ভারতের লােকেদের মধ্যে ভাষা ও দৈহিক গঠনের এত অমিল এবং ফলস্বরূপ সংঘর্ষ লেগেই থাকে। ডিএমকে-র প্রয়াত নেতা করণানিধি বলতেন, রাবণ ছিলেন নাকি স্থানীয় দলিত ও পরাজিত। তার জন্যই, তিনি হলেন রাক্ষস শ্রেণীর। আর বিজেতা রাম ছিলেন আর্য। রামায়ণের লােকেরা নাকি যাযাবর বৃত্তি করতেন। উত্তর ভারত থেকে স্থানীয় অধিবাসীদের তাড়িয়ে দক্ষিণ ভারতের শেষ সীমানায় সমুদ্রের তটে নিয়ে যাওয়া হয়। তাই বাঙ্গালির সঙ্গে রামের বা রামায়ণের কোনাে যােগসূত্ৰই নেই। সেজন্যই পশ্চিমবঙ্গে মমতার ব্যানার্জির রাজত্বে ‘জয় শ্রীরাম’ হলাে অপরাধমূলক স্লোগান। এই বইটিতে আছে, অতীতে মধ্যএশিয়ার ইরান ও ইউরােপ থেকে আসা লােকেরাই ছিল নাকি যথার্থ আর্য যারা স্থানীয়দের যুদ্ধে পরাজিত করে ভারতীয় উপমহাদেশে উপনিবেশ স্থাপন করে। যেমনটি করেছিল ১৩০০ বছর। পূর্বে শক, হুন, মুঘল ও পাঠানরা। ঠিক তেমনি করেই ৪০০ বছর আগে ইউরােপীয়রা আসে। সুতরাং আজকের ভারতে বসবাসকারী সবাই অর্থাৎ হিন্দু, জৈন, শিখ বা বৌদ্ধ —সবাই হচ্ছেন বহিরাগত। তাদের যেমন অধিকার আছে ঠিক তেমনই আছে মুসলমান বা খ্রিস্টানদের। বইটিতে এও প্রতিপন্ন করা হয়েছে যে, অতীতকালে পারসিকদের ধর্মগ্রন্থ, ‘জে অবেস্তা’ থেকেই ‘ঋকবেদের নাকি সৃষ্টি। কেননা দুটিকে তুলনা করলে অনেক বিপরীতার্থক মিল পাওয়া যায়। যেমন ঋকবেদের, সাত্তিক গুণসম্পন্ন পরমাত্মাকে ‘আহুর’ বলা হয়েছে আর তামসীরা হচ্ছেন ‘আসুর।

এই বইটির ৪র্থ অধ্যায়ে ভারতীয় উপমহাদেশে প্রাচীন ইতিহাসধারা’ শীর্ষক অলীক গল্পকথায় আছে বিকৃতমস্তিষ্ক প্রসূত অদ্ভুত সব ধারণা। এই সমস্ত অসত্য ও উদ্দেশ্যপ্রণােদিত তথ্যের স্রষ্টারা হচ্ছেন কিছু মিশনারি যারা ভারতে খ্রিস্টধর্মের প্রচারে এসেছিলেন আজ থেকে ৪০০ বছর আগে। তাদের মধ্যে ম্যাক্সমুলার ও উইলিয়াম জোনসের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযােগ্য। অধুনা যারা সেই একই কাজ আরও সূক্ষ্ম ভাবে করে চলেছেন তাদের মধ্যে একজন হলেন শিকাগাে বিশ্ববিদ্যালয়ের তথাকথিত ভারততত্ববিদ ওয়েন্ডি ডােনিগার। যার লেখা, ‘অ্যাসেটিশিজম ইন দ্য মাইথােলজি অব শিব’, ‘দ্য অরিজিন অব ইভ্যল ইন হিন্দু মাইথােলজি’ইত্যাদি অনেক প্রবন্ধ-নিবন্ধের মাধ্যমে, যিনি হিন্দু সংস্কৃতি ও দেবদেবীর বিষয়ে অশ্লীল তথ্য আন্তর্জাতিক মহলে প্রচার ও প্রসারে ব্যস্ত থাকেন। তার লেখা পড়লে মনে হয়, তিনি যৌন-অতৃপ্ত ফ্রয়েডের এক সুযােগ্য শিষ্যা। আর একজন। হচ্ছেন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের তথাকথিত বেদবিশেষজ্ঞ ও সংস্কৃতজ্ঞ পণ্ডিত শেন্ডন পােলক। ইনি রামায়ণের নাকি আসল তত্ত্ববেত্তা। একটা উদাহরণ না দিয়ে পারছি না। সংস্কৃতে ‘নরপুঙ্গব’ শব্দের অর্থ তিনি করেছেন বৃষমানব অর্থাৎ মনুষ্যেতর প্রাণী। নর মানে পুরুষ আর পুরুষ মানে বৃষ বা ষাঁড়। কিন্তু এটার আসল তাৎপর্য হচ্ছে নরশ্রেষ্ঠ। এরকম অসংখ্য উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে। আসলে অর্ধশতাব্দী ধরে এই সব খ্রিস্টান মিশনারিরা হিন্দুধর্মকে হীন দেখিয়ে খ্রিস্টধর্মকে আর ভারতে ইংরাজদের কুশাসন। আর শােষণকে মহিমান্বিত করে তােলার আপ্রাণ প্রয়াস করে যাচ্ছেন। নিউইয়র্ক নিবাসী আদিতি ব্যানার্জিই প্রথম বাঙ্গালি বিদুষী আইনজীবী যিনি হিন্দুবিদ্যালয়গুলি অলংকৃত করেছেন হিন্দুনামধারী মার্কসিস্ট ইতিহাসকাররা যাদের নাম আগেই উল্লেখ করেছি। তাদেরই সুযােগ্য শিষ্য দেবদূত পট্টনায়ক, ভারতের মধ্যে থেকে সমান তালে বিষ ঢেলে চলেছেন। এসব তথ্য বিস্তৃতভাবে জানা যায়, শ্রীরাজীব মালহােত্রার ‘ইনভেডিং দ্য সাক্রেড’ এবং ‘ব্রেকিং ইন্ডিয়া’ নামক গবেষণামূলক পুস্তকগুলিতে। কলকাতার জন্য এক ইতিহাসবেত্তা পণ্ডিত শ্রী সমীর বসুর লেখা থেকে জানা যায়, এইসব তথাকথিত ইতিহাসবেত্তারা ভারতে ১৩০০ বছরের নৃশংসইসলামিকশাসন ও শােষণের রক্তাক্ত ইতিহাসের পাতাগুলি শান্তি আর সৌহার্দের সাদা চুনকাম করার মহান কাজ নিভৃতে ও নিখুত দক্ষতায় নিরন্তর করে চলেছেন। আজ থেকে ৪০০ বছর আগে পর্তুগিজরা পশ্চিম ও দক্ষিণ ভারতে হিন্দুদের ওপর কী নৃশংস অত্যাচার করে অনেক কালাে চামড়ার কেরালাইট জেসুইট তৈরি করতে পেরেছিল, সেটার জীবন্ত দলিল হচ্ছে পর্তুগিজদের গােয়া ইনকুইজিসন।

ইতিহাসকার অনন্ত প্রিয় লকার, টিওটনিও দ্য সুজা এবং চার্লস পেঁলাের লেখা ‘গােয়াইনকুইজিসন’ পুস্তকে এর বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে। ভিনসেন্ট আর্থার স্মিথের লেখা ‘দ্য আর্লি হিস্ট্রি অব ইন্ডিয়া’, রমেশচন্দ্র মজুমদার ও স্যার যদুনাথ সরকারের লেখা ইতিহাস থেকে জানা যায় হিন্দুদের ওপর মুসলমান শাসকদের সেইসব মর্মান্তিক ইতিহাস। যেটাকে আজ বিশেষ প্রক্রিয়ায় চুনকাম করার ঠিকা পেয়েছেন দেশদ্রোহী, বিধর্মীদের পদলেহী ও সংখ্যালঘু ভােটের ভিখারি নিকৃষ্ট শ্রেণীর নেতারা এবং তাদের দলদাস তথাকথিত বুদ্ধিজীবী ও ইতিহাসকাররা। শুনে আশ্চর্য হতে হয়, পৃথিবীর অন্যতম ধনকুবের রখচাইল্ডের জামাতা অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনও সেইসব কমিউনিস্ট ইতিহাসবিদদের সঙ্গে সহমত পােষণ করে ভারতে ‘ইন্ডাে-এরিয়ান ইনভেশন তত্ত্বে’র পুষ্টিসাধন করেছেন। যত দিন যাচ্ছে মুসলমান আগ্রাসন তত তীব্র হচ্ছে। ২০১১ সালে মমতা ব্যানার্জি ক্ষমতার মসনদে বসেই স্কুল-কলেজের পাঠ্যসূচি, পাঠ্যতালিকা ও পাঠ্যপুস্তকগুলির আমূল পরিবর্তনের দিকে নজর দিয়েছিলেন যেটা ৩৪ বছরের বামফ্রন্ট সরকারও করতে সাহস পায়নি। পশ্চিমবঙ্গকে বাংলাদেশের সঙ্গে জুড়ে, ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করে, এক বৃহত্তর বাংলাদেশ গঠনের পরিকল্পনা। জামাইতি-ইসলামের কর্মসূচির মধ্যে আছে। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী কি তাদেরকেই অনুসরণ করে সেই কাজকে ত্বরান্বিত করতে চাইছেন!

বাবা আজ আব্বা, মা আম্মি, পিসি। হয়েছেন ফু ফা; জল হয়েছে পানি।। জলখাবার হয়েছেনাস্তা আর রামধনু হয়েছে। রংধনু। এরকম অসংখ্য উদাহরণ দেওয়া। যেতে পারে। ধীরে ধীরে বাঙ্গালি হিন্দুরা কি অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলছি? তাই বঙ্গভূমে । রামের প্রবেশাধিকার নেই! সরস্বতী পুজার স্থলে নবিদিবস পালিত হচ্ছে!

ডাঃ আর এন দাস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.