হালাল সার্টিফিকেটের ব্যাপারে অনেকদিন ধরেই শুনে আসছিলাম। তার সত্যতা সম্পর্ক কিছু তথ্য তুলে ধরছি।
জৈনধর্মের প্রথম তীর্থঙ্কর অহিংসার পূজারি ঋষভদেবকে হিন্দুধর্মশাস্ত্রে ভগবান বিষ্ণুর অবতার বলে মানা হয়। জৈনরা সংখ্যালঘু হলেও ভারতে তথা আন্তর্জাতিক মহলে যথেষ্ট প্রভাবশালী। বিশ্ব জৈন সংগঠন নামের বেসরকারি সংস্থার আইনজীবী রবিপ্রকাশ গুপ্তা ২০ এপ্রিল, ২০২০ তে ভারতের সর্বোচ্চ আদালতে পিআইএলের দ্বারা জনহিতকারী এক মামলা দায়ের করে ভারতে তথা বিভিন্ন রাজ্যে ইসলামিক ‘হালাল পদ্ধতির সাহায্যে পশুহত্যা এবং মাংস বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা লাগানোর জন্য আবেদন করেছেন। আরবিতে ‘হালাল’ মানে অনুমোদিত অর্থাৎ আইনসিদ্ধ, আর ‘হারাম’ মানে প্রতিবন্ধিত বা বেআইনি। বিশেষ করে খাদ্য বিষয়েই হালাল শব্দটি বহুল প্রচলিত। ‘শরিয়া আইন মেনে যেসব খাদ্য কোরানে নির্দিষ্ট হয়েছে তা একজন মুমিনের জন্য বিহিত বা গ্রহণযোগ্য। অন্য সমস্ত কিছুই বর্জিত। তাদের বলে হারাম। মদ, মরা পশু বা শুয়োরের মাংস, রক্ত বা রক্তের উপজাত সামগ্রী রক্তাল্পতায় বা সার্জারির সময় প্রাণদায়ী ব্লাড ট্রান্সফিউশনে কিন্তু তাদের কোনো আপত্তি থাকে না। ওষুধের দোকানে বা ফ্যাক্টরিতে রক্ত পাওয়া যায় না। ভারতে হিন্দুরাই রক্তদান করে আর অন্যেরা নির্দ্বিধায় গ্রহণ করে। ইহুদি ও হিন্দুরা মুসলমানদের জাতশত্রু। সুতরাং শত্রুর সামগ্রী অবশ্য বর্জনীয়। অথচ এই দুই শত্রুর তৈরি প্রাণদায়ী বস্তুসমূহ মুসলমানদের দৈনন্দিন জীবনে অপরিহার্য। হিন্দুশাস্ত্রে যা কিছু বর্জনীয় ও বিপরীত, তাই হচ্ছে মুসলমানদের কাছে স্বীকার্য ও ধার্য। হালাল প্রক্রিয়াতে শরিয়া আইন অনুসারে, ‘বিসমিল্লা রহমানেরহিম’ বলে নির্বল পশু যেমন গোরু, ভেড়া, ছাগল, উট ইত্যাদি জন্তুকে যাতনা দিয়ে, ধারালো ছুরি দিয়ে শ্বাসনালী ও গলার জুগুলার ভেনে বসিয়ে ধীরগতিতে সম্পূর্ণ রক্তশূন্য করে মারা হয়। মক্কার দিকে মাথা রেখে, সম্পূর্ণ সজাগ অবস্থায়, দেহ থেকে মাথা আলাদা না করে এবং কোরানের আয়াত শোনানোর পর নির্জীব সেই আধমরা পশুর ছালচামড়া ছাড়িয়ে ও কেটে মাংস বিক্রি করা হয়। এই হলো হালাল মাংস।ইদগাহে উপস্থিত শিশুদের শেখান হয় পশু জবাইয়ের পদ্ধতি। মুসলমান খুনিরা ঠিক তেমনি ভাবেই কাফেরদের গলা রেত করে। ইংল্যান্ডের রদারহামে ২২ থেকে ৫৮ বছরের পাকিস্থানি মুসলমানরা শ্বেতাঙ্গিনী অনাথ শিশুকন্যাদের গণধর্ষণ করার সময়ও কোরানের আয়াত আবৃত্তি করে তাদের লালসা নিবৃত্ত করে বলে জানা গেছে!
অন্য আব্রাহামিক মত-পথগুলো হচ্ছে ইহুদি ও খ্রিস্টান । তারাও কিন্তু অনেকটা একই পদ্ধতিতে পশুহত্যা করে। তাদের তৈরি মাংসকে বলা হয় কোশার। অবশ্য তারা পশুকে হত্যার পূর্বে বিভিন্ন উপায়ে যেমন মাথার নীচের মেরুদণ্ডের মেডুলাতে পিন ঢুকিয়ে বা ইলেকট্রিক শক দিয়ে অজ্ঞান করে তবে পশুহত্যা করে। হিন্দুরা পাঁঠা কাটে ঝটকা দিয়ে। বিশাল ধারালো খড়্গের এক কোপে ধর থেকে মুণ্ডআলাদা হয়ে যায়। আজকের জটিল জনজীবনে খাওয়াদাওয়া আর আগের মতো মা-ঠাকুমাদের হাতে তৈরি হয় না। এখন প্রতিটি পাড়ায় আর সমস্ত রাস্তায় রেস্টুরেন্ট, নামকরা হোটেল-মোটেলের ছড়াছনি। মহিলাদের তুলনায় পুরুষরাই সেসব রান্নাঘরের বিখ্যাত সব সেফ বা বাবুচি। আমরা জন্মদিন, বিয়ে, পৈতে এমনকী শ্রাদ্ধবাড়িতেও খাদ্য সরবরাহকারী সংস্থার সাহায্য নিয়ে থাকি। আজ আর পায়েস বা রসগোল্লায় মন ভরে না। আজ খাদ্য তালিকায় থাকা চাই আইসক্রিম, চপকাটেলেট এবং সর্বোপরি মদিরাসেবন। আজকের খাদ্য তালিকার খবর রাখে বালক থেকে বৃদ্ধ সবাই। সকলেই খোঁজে প্রোটিন, ভিটামিন,আন্টিঅক্সিডেন্ট, গ্লিসারিন, জিলাটিন আর ফ্যাটি অ্যাসিড। পাচকরা খোঁজে সস্তার পশুমাংস, রঙ্গিন খাদ্য, এনজাইম আর সুগন্ধিকরার জন্য বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর। কিন্তু কে কার কথা শোনে! উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, মেটানিল ইয়োলো যা হলুদের রংকে তীব্র করে দেয় বা মিট-মশলায় ব্যবহৃত সোডিয়াম গ্লুটামেট—যা দীর্ঘদিনের ব্যবহারে মাইগ্রেন ছাড়াও শরীরের বিভিন্ন রোগ সৃষ্টিকরে। এমনকী যকৃতের ক্যানসার পর্যন্ত করতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় আমরা যেসব তেল ব্যবহার করি তাতে চর্বি মেশানো থাকে। সেই চর্বির উৎস হচ্ছে কসাইখানার শুয়োর বা গোর। এতদিন আমাদের দেশে খাদ্যের প্যাকেটের উপর এই হালালের চিহ্ন দেখা যেত , কিন্তু ইদানীং ইসলামিক জিহাদের অঙ্গ হিসাবে ‘ওদের আর আমাদের নীতির দ্বারা বিভেদ সৃষ্টি করে দেশকে আবার বিভাজিত বা ইসলামিকরণের চক্রান্তের পরিকল্পনায় হালাল সার্টিফিকেটের লোগো দেখা যাচ্ছে। এবারের বিভাজন মানে কিন্তু হিন্দুশূন্য ভারত। দিল্লিতে ধৃত শাজিল ইমামের জবানবন্দি থেকেই সেটা জানা গেছে। যেমনভাবে বাংলাদেশ বা পাকিস্থান হিন্দুশূন্য হয়েছে, যেমনভাবে কাশ্মীর ও কেরালা ধীরগতিতে হিন্দুহীন হচ্ছে। মণিপুর, ত্রিপুরা, অসম, বিহার ও পশ্চিমবঙ্গকে নিয়ে গ্রেটার বাংলাদেশ গড়ার ষড়যন্ত্রকারীদের বেশিরভাগই কিন্তু হিন্দু নামধারী দেশদ্রোহী। উদাহরণ দিচ্ছি। মধ্যপ্রদেশের উপজাতি অজিত যোগী হিন্দু ছিলেন কিন্তু ইতালীয়ান মাফিয়ার দ্বারা হিন্দু নামটি রেখে ধর্ম পরিবর্তন মেনে নিয়েছিলেন। বলেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হতে পেরেছিলেন। গোমাংসাশী বিকৃত মস্তিষ্কের বিকাশরঞ্জন কিম্বা মমতা ব্যানার্জি মুসলমানপ্রেমী, কিন্তু নামটি হিন্দু রেখেছেন ভোটের খাতিরে! ম্যাগসাসি পুরস্কার প্রাপ্তা হিন্দুনামের আড়ালে কেরালার কুখ্যাত অরুন্ধতী রায় আর কর্ণাটকের অভিনেতা গিরিশ করনাড ধর্মান্তরণের পর তীব্র হিন্দুবিদ্বেষী হয়ে ওঠেন। সদ্য পালঘরের ঘটনায় জড়িত প্রদীপ প্রভু ওরফে জেসুইট পাদরি পিটার ডি মেলো ধর্মান্তরিত উপজাতি হিন্দু আজ হিন্দুসাধুর হত্যায় অভিযুক্ত আসামি। যাক সেসব কথা। আমাদের দেশে ফুড সেফটি অ্যান্ড স্টান্ডার্ড অথরিটি অব ইন্ডিয়া-ই একমাত্র সরকারি সংস্থা—যে সমস্ত খাদ্যদ্রব্যের গুণাবত্তার উপর সিলমোহর ব্যবহার করার অধিকার পায়। কিন্তু হালাল সার্টিফিকেট দেবার কোনো এক্তিয়ার নেই এই সংস্থার। ইসলামিক দেশগুলিতে হালাল সার্টিফিকেট সেসব দেশের খাদ্য সামগ্রীর উপর শুধুমাত্র সরকারি সংস্থাগুলিই দিতে পারে। কিন্তু তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ ভারতে অনেক ইসলামিক সংস্থা আছে যেমন ‘হালাল ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড’, ‘হালাল সার্টিফিকেশন সার্ভিসেস অব ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড, ‘হালাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া’, ‘জামাত উলেমা-ই-মহারাষ্ট্র হালাল ট্রাস্ট’, ‘জামাত-উলেমা-ই-হিন্দ হালাল ট্রাস্ট’–এরকম ১২টি সংস্থা বেআইনিভাবে দেশে শরিয়া আইন চালু রেখেছে। এই সংস্থাগুলি অবশ্যই কংগ্রেস ও কমিউনিস্টদের অনুমোদনে গড়া হয়েছিল গত ৭৩ বছরের রাজত্বকালে। অর্থাৎ ভারতকে ধীরে ধীরে ‘গাজওয়া-ই-হিন্দ’ করার সুপরিকল্পনা মাফিক ষড়যন্ত্র করা হচ্ছিল। তবুও আমরা ঘুমিয়ে আছি। আজ এই হালাল সার্টিফিকেটের ব্যাপ্তি আমেরিকা ও ইউরোপ-সহ সারা বিশ্ব জুড়েই হয়ে চলেছে। এয়ারপোর্টে, নার্সিং হোমে, হসপিটালে, হোটেল ও শপিং মলেও দেখতে পাওয়া যায় হালাল সার্টিফায়েড দোকান বা দ্রব্য সামগ্রী। এমনকী ওষুধপত্র বা প্রসাধন সামগ্রীতেও হালাল সার্টিফিকেটের সিলমোহর না হলে দাঙ্গা শুরু হয়ে যেতে পারে! ভারতে ম্যাকডোনাল্ড, জোম্যাটো ও সেঞ্চুরি ফ্রাইড। চিকেন মানে কে এফ সি-র সমস্ত শাখাই ভয়ে। ভয়ে এই সার্টিফিকেটযুক্ত খাদ্য পরিবেশন করতে বাধ্য হচ্ছে ৩৫ মিলিয়ন মুসলমান খরিদদারের কথা বিবেচনা করে। প্রসাধনী ও ওষুধশিল্পে পশুদেহের প্রোটিন, জিলাটিন ও চর্বির ব্যবহার উল্লেখযোগ্য মাত্রায় ব্যবহৃত হয়। যেমন ধরন অ্যাম্পিসিলিনের ক্যাপসুল, আমারার লিপস্টিক ও বিভিন্ন রকমমুখে ব্যবহৃত ক্রিমে থাকে চর্বি। আগে এই প্রথা ছিল না। এখন মুসলমানদের জন্যই হালাল সার্টিফিকেটের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। এর পিছনের কারণ আর কিছুই না অর্থনৈতিক জিহাদ! সারা বিশ্বে ১.৮ বিলিয়ন মুসলমান যা প্রায় মোট জনসংখ্যার ২৪ শতাংশের মতো। অর্থাৎ ৫৮ টা ইসলামিক দেশে ব্যবসা চালানো বা রপ্তানি করার জন্যই হালাল সার্টিফিকেটের প্রয়োজন হয়। কে দেয় ওই সার্টিফিকেট? কেন উপরিউক্ত সংস্থাগুলি! তারা কিন্তু আপনাকে এমনি দেবে না ওই সার্টিফিকেট। তার জন্য আপনাকে অনেক বেশি ‘সার্টিফিকেট ফি’ দিতে হবে। কত? প্রথম বছর ২০,০০০ টাকা। প্রতি বছর পুনরায় নবীকরণ করতে হবে ১৫,০০০ টাকার বিনিময়ে। প্রতিটি দ্রব্যের জন্য আলাদা করে ফি দিতে হবে। প্রতি বছর ওই সমস্ত ইসলামিক সংস্থা লক্ষ কোটি ডলার সংগ্রহ করে হাজার হাজার দেশি ও বিদেশি কোম্পানি থেকে। জামাত-ই-উলেমা-ই-হিন্দ সেই বিশাল পরিমাণ টাকা দিয়ে কি করে ? সেটা ব্যবহার হয়। ভারতে ইসলামিক জিহাদের প্রচার, প্রসার ও প্রস্তুতির ব্যয় হিসেবে। প্রতিটি ধর্ষণ, খুন, দাঙ্গায় ধৃত জিহাদি অপরাধীদের কেসের ব্যয়ভার বহন করা, কংগ্রেসের নামি-দামি উকিল, যেমন কপিল সিব্বাল আর অভিষেক মনুসিংভির পারিশ্রমিক বা ফি, হিন্দুদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া জমি-জিহাদ ও লাভ-জিহাদের খরচা—সমস্ত কিছুই আসে সেই উপার্জিত টাকা থেকে। সেই বিশাল পরিমাণ টাকা আদায় হয় ৮০ শতাংশ হিন্দুর পকেট থেকে। সারা পৃথিবীতে খাদ্যদ্রব্যের বাজারে প্রায় ১৯ শতাংশ বিক্রি হয় হালাল সার্টিফিকেটের সাহায্যে। আর পৃথিবীব্যাপী এই ‘হালাল ইন্ডাস্ট্রির বাজার মূল্য হচ্ছে ২.৩ ট্রিলিয়ন ডলার যা অবিশ্বাস্য গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রতি বছর। জানেন তো, আই.টি.সি-র তৈরি ‘আশীর্বাদ’আটাতে আছে হালাল সার্টিফিকেট। তা না হলে আর আরব দেশগুলিতে বাজার পাবে না অর্থাৎ জনসংখ্যা বৃদ্ধির জিহাদের সঙ্গেই অধুনা যুক্ত হয়েছে অর্থনৈতিক জিহাদের এক নতুন সংস্করণ।
আজ জীবনশৈলীর পরিবর্তনের সঙ্গে ইংরেজি জানা তথাকথিত শিক্ষিত মুসলমানদের মধ্যে পর্যটনটা হয়েছে বিশেষ ধরনের বিলাসিতা। প্রকৃতির অকৃপণ দানে পাওয়া অফুরন্ত তেলের ভাণ্ডার আর সহজলভ্য অর্থের সদ্ব্যবহার করার জন্য তারা যাচ্ছে বিধর্মী দেশগুলিতে ফুর্তি করতে। সেখানে তাদের জন্য চাই সমস্ত কিছুই, ‘হালাল সার্টিফাইড’। তাই পর্যটন শিল্পের মধ্যেও ইদানীং দেখা যাচ্ছে এই হালাল সার্টিফিকেটের অপরিহার্যতা। নেপাল, থাইল্যান্ডের মতো দরিদ্র অনেক দেশের আয় নির্ভর করে ভ্রমণবিলাসীদের মনোরঞ্জন করে। আরবদেশের ধনীরা হালাল সার্টিফাইড রিসর্ট বা হোটেলেই যেতে চান। তাই তাদের চিত্তবিনোদনের জন্য আলাদা ব্যবস্থা থাকে। মুসলমান কর্মচারী থেকে শুরু খাওয়াদাওয়া ও শোয়ার ব্যবস্থা—সমস্ত কিছুই কোরানে বর্ণিত শরিয়া আইন মেনে হালাল সার্টিফায়েড হতেই হয়। এর জন্য ‘হালাল’ ছাপ দেওয়া সামগ্রীর দামও তুলনামূলকভাবে বেশি হয়ে পড়ে। সব থেকে বড়ো সমস্যা হচ্ছে মাংসের ব্যবসায়ে। শুধুমাত্র মুসলমানদের দ্বারাই পরিচালিত হতে হবে এই ব্যবসা। এই বৈষম্যসূচক ও বিচ্ছিন্নতাবাদী মানসিকতার জন্য আজ সারা বিশ্বে ত্রাহি ত্রাহিরব উঠেছে। সম্প্রতি করোনার আবহে ঝাড়খণ্ডে এক ফলের দোকানে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ফেস্টুন লাগান হয়েছিল বলে তীব্র প্রতিবাদের ঝড় ওঠে এবং যথারীতি তোষণনীতির প্রয়োগে প্রশাসন দোকান মালিককে গ্রেপ্তার করে। তৎক্ষণাৎ হিন্দুর সেই ফলের দোকান থেকে ফেস্টুন সরিয়ে দাঙ্গা রোধ করা হয়। ইসলামের এই অর্থনৈতিক জিহাদের বিরুদ্ধে সমস্ত মানুষকে সজাগ হতে হবে।হালাল সার্টিফিকেটের ব্যবহার রদ করতে হবে। কেননা ধর্মনিরপেক্ষ ভারতে কোনো বিশেষ সম্প্রদায়কে খুশি করার জন্য কোনো বিশেষ ব্যবস্থা চালু করলে একদিন সমস্ত ভারতে শরিয়া আইন চালু হবে যাতে বিধর্মীদের হত্যা ও ধর্ষণ নিত্যদিনের ঘটনায় পরিণত হবে এবং অচিরেই ভারতে গাজওয়া-ই-হিন্দের চক্রান্ত সফল হবে। তাই এখনই সাবধান হতে হবে।
ডাঃ আর এন দাস