করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবধরনের প্রয়াস চালাচ্ছে রাজ্য সরকার। উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানো হয়েছে নমুনা পরীক্ষা। রোগীদের সুস্থ করতে রাজ্যজুড়ে কোভিড হাসপাতালগুলির চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন। তার ফলও যে মিলছে, তা পরিসংখ্যান থেকেই স্পষ্ট। কমছে অ্যাকটিভ কেস। বাড়তে সুস্থতার হার। তবে খানিকটা চিন্তায় রাখছে কলকাতার সংখ্যা।
সোমবার রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে রাজ্যে করোনা আক্রান্ত ৪১৩জন। যাঁদের মধ্যে শহর তিলোত্তমায় সংক্রমণ ছড়িয়েছে ৮১ জনের শরীরে। বাংলায় এখনও পর্যন্ত সংক্রমিত হয়েছেন ১৪ হাজার ৩৫৮ জন। তবে প্রতিদিনই একটু একটু করে কমছে অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা। বর্তমানে অ্যাকটিভ কেস ৫ হাজার ১০২। অর্থাৎ অর্ধেকের বেশি কোভিড রোগীই এখন সুস্থ। গত ২৪ ঘণ্টাতেই যেমন করোনাকে জয় করলেন ৩৯০ জন। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৮ হাজার ৬৮৭ জন। সুস্থতার হার ৬০.৫০ শতাংশ।
আনলক ওয়ানেও করোনা আতঙ্ক বঙ্গবাসীর পিছু ছাড়েনি। সংক্রমণের ভয় নিয়েই কর্মক্ষেত্রে যেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। উঠতে হচ্ছে বাস-অটোয়। তবে এর মধ্যেই আশার আলো দেখাচ্ছেন এই করোনাজয়ীরা। যাঁরা মারণ ভাইরাসকে (Coronavirus) পরাস্ত করে জীবনের মূলস্রোতে ফিরতে পেরেছেন। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে এখনও করোনা প্রাণ কাড়ছে বহু মানুষের। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। যাঁদের মধ্যে সাতজনই কলকাতার বাসিন্দা। রাজ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫৬৯।
তবে করোনা মোকাবিলায় বদ্ধপরিকর রাজ্যও। সেই জন্যই বেশি করে হচ্ছে করোনা পরীক্ষা। একদিনে ৯ হাজার ৩৬৩ জনের স্যাম্পেল টেস্ট হয়েছে। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ৪ লক্ষ ১০ হাজার ৮৫৪টি নমুনা টেস্ট হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর। তবে সংক্রমণের হার কোনওভাবেই বাগে আনা যাচ্ছে না বলে চিন্তিত প্রসাশন। এই পরিস্থিতিতে আগামী বুধবার ফের একবার সর্বদল বৈঠক ডেকেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।