তৃণমূল কংগ্রেস এর নেতারা রাজনীতি করছেন নাকি জিহাদ করছেন সেটাই বোঝা মুশকিল। দেশজুড়ে যে লোকসভা নির্বাচন চলছে সেখানে প্রত্যেক রাজ্যে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রেখে ভোট প্রদান হলেও পশ্চিমবঙ্গে অশান্তি লেগেই রয়েছে। প্রথম দফা ও দ্বিতীয় দফা দুই নির্বাচনেই পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপকহারে ছাপ্পা ভোট পড়েছে। একইসাথে বহু স্থানে হিন্দু ভোটারদের আটকে মারধর পর্যন্ত করা হয়েছে। মমতা ব্যানার্জী ৪২ এ ৪২ এর যে ডাক দিয়েছেন তা বাস্তবায়ন করতে মাঠে রীতিমতো কাজ শুরু করেছে গুন্ডাবাহিনী। অবশ্য এতে নির্বাচন কমিশনের কোনো যায় আসে না। বার বার প্রত্যেক বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়ার দাবি উঠলেও কমিশন রাজ্যপুলিশ দিয়েই মানুষের প্রাণ নিয়ে খেলা করতে চায়।
এই সুযোগে তৃণমূলের নেতানেত্রীরাও নিজেদের মতো করে মন্তব্য করেই চলেছেন যা রাজ্যের মর্যাদাকে ক্ষুন্ন করছে। কিছুদিন আগেই TMC নেত্রী রত্না ঘোষ কর কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঝাঁটা পেটা করার কথা বলেছিলেন। আর এখন ভাঙড় এর তৃণমূল নেতা মোদ্দাসের হোসেন তৃণমূল কর্মীদের দাঙ্গা,অশান্তি করার নির্দেশ দিয়েছন। মোদ্দাসের হোসেন তার অনুগামীদের নির্দেশ দিয়েছেন বুথে যেন কোনো বিরোধী দলের কেউ বসতে না পারে।
মোদ্দাসের হোসেন বলেছেন, আমরা রূপশ্রী, কন্যাশ্রী সব দিয়েছি তাই অন্য কোনো পার্টিকে দেওয়াল লিখন পর্যন্ত করতে দেওয়া হবে না। CPIM যেভাবে ছাপ্পা মেরে জিতিয়ে দিত সেইভাবেই কাজ করার জন্য নির্দেশ দেন মোদ্দাসের হোসেন নামক তৃণমূলের এই গুন্ডা নেতা। গুন্ডা মোদ্দাসের হোসেন আরো বলেন, যাতে কোনো ব্যাক্তি বিজেপিকে লুকিয়ে ভোট দিতে না পারে সেই দিকে লক্ষ রাখতে।