২১ জুন দীর্ঘতম দিনে সূর্যগ্রহণ, প্রতীক্ষায় সমগ্র দেশ

উত্তর গোলার্ধে দীর্ঘতম দিন হয় ২১ জুন। বিজ্ঞানের পরিভাষায় বলা হয় ‘সামার সলস্টিস’। রবিবার, ২১ জুন দীর্ঘতম দিনেই বলয়গ্রাস গ্রহণে ঢাকা পড়তে চলেছে সূর্য। তবে সেই বলয়গ্রাস গ্রহণ দেখা যাবে হিমাচল প্রদেশ, হরিয়ানা ও উত্তরাখণ্ডের কিছু রাজ্য থেকেই। দেশের বাকি অঞ্চল থেকে আংশিক গ্রহণ দেখা যাবে। দীর্ঘতম দিনে সূর্যের গ্রহণ চাক্ষুষ করার অপেক্ষায় সমগ্র দেশবাসী। কিন্তু, এই মুহূর্তে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে চলছে বৃষ্টিতাই সূর্যগ্রহণ আদৌ চাক্ষুষ করা যাবে কি না, তা নিয়ে অনেকেই উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছেন! মাঝেমধ্যেই আকাশ ঢাকা থাকছে মেঘে। তাই এই সময়ে গ্রহণ দেখা নিয়ে দোলাচল থাকছেই।

ওডিশার ভুবনেশ্বরের পাথানি সামান্তা প্লানেটোরিয়ামের ডেপুটি ডিরেক্টর এস পট্টনায়েক জানিয়েছেন, ২১ জুন, রবিবার বলয়গ্রাস গ্রহণে ঢাকা পড়তে চলেছে সূর্য। হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং হরিয়ানায় বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে এবং দেশের অন্যত্র আংশিক সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে। সূর্যগ্রহণ শুরু হবে সকাল ১০.২০ মিনিট থেকে এবং শেষ হবে দুপুর ২.২০ মিনিটে। শনিবার বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অনুপগড়, সুরাটগড়, সিরসা, জাখাল, কুরুক্ষেত্র, যমুনানগর, দেহরাদূন, তপোবন এবং যোশীমঠ প্রভৃতি এলাকার বাসিন্দারা বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ চাক্ষুষ করতে পারবেন। দেশের বাকি প্রান্তের মানুষেরা আংশিক সূর্যগ্রহণ দেখতে পারবেন।
চাঁদ যখন পৃথিবী ও সূর্যের সঙ্গে একই রেখায় অবস্থান করে, তখন চাঁদের আড়ালে সূর্য ঢাকা পড়ে যায়। তাকেই বলা হয় সূর্যগ্রহণ। অনেক সময়ে চাঁদ পুরোপুরি সূর্যকে ঢাকতে পারে না। সে সময়ে সূর্যের বাইরের অংশ উজ্জ্বল বলয়ের মতো দেখায়। তাকে বলা হয় বলয়গ্রাস। অ্যালুমিনাইজ্‌ড মাইলার ফিল্টার বা ১৪ নম্বর শেডের ওয়েল্ডিং গ্লাস দিয়েই সরাসরি গ্রহণ দেখা উচিত। না-হলে চোখের ক্ষতি হতে পারে। এ ছাড়া, টেলিস্কোপের সাহায্যে প্রতিবিম্ব তৈরি করেও গ্রহণ দেখা যেতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.