আয়কর বিভাগ এবার নতুন ‘ফরম ১৬’ চালু করল। আগামী ১২ মে থেকে ওই ফরম কার্যকর হবে। ২০১৮-১৯ আর্থিক বছরের আয়কর রিটার্নেই ওই নতুন ‘ফরম ১৬’ জমা দিতে হবে।
কর্মীদের থেকে কত টাকা ট্যাক্স (টিডিএস) বাবদ কাটা হয়েছে তা ‘ফরম ১৬’-এর মাধ্যমে চাকরিদাতা সংস্থা জানায়। সেই ফরমেই এবার বড় বাদল আনল আয়কর বিভাগ। এটা সাধারণত জুন মাসের মাঝামাঝি সময়ে কর্মীদের দেওয়া হয় আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার জন্য।
অনেকেই নিজের সংস্থার কাছে ভুল তথ্য জানিয়ে আয়কর ফাঁকি দেয়। এটা লক্ষ্য করেই আয়কর বিভাগ ‘ফরম ১৬’-এ বদল আনল।
১৯৬১ সালের আয়কর আইন অনুসারে সব সংস্থাকেই কর্মীর বেতনের বিস্তারিত তথ্য এবং কর বাবদ কাটা টাকার হিসেব দিতে হয় ‘ফরম ১৬’-এর মাধ্যমে। এবার নতুন ‘ফরম ১৬’-এ আলাদা আলাদা করে উল্লেখ করতে হবে গোটা আর্থিক বছরে সংশ্লিষ্ট কর্মী কত টাকা কোন প্রকল্পে জমা দেওয়ার জন্য আয়করে ছাড় পাবেন। এছাড়াও কর্মী কী কী ভাতা সংস্থার থেকে পেয়েছেন তার বিবরণ ও অন্য সূত্র থেকে আয়ের কথাও উল্লেখ রাখতে হবে ‘ফরম ১৬’-এ। সেই সঙ্গে সেভিংস অ্যাকাউন্টে কত টাকা সুদ, সারচার্জ, রিবেট বাবদ আয় হয়েছে সেটাও উল্লেখ করতে হবে।
ইতিমধ্যেই আয়কর দফতর জানিয়ে দিয়েছে, আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে বেতনভুক করদাতাদের আয়কর রিটার্ন জমা করতে হবে। তার আগেই সব সংস্থাকে নতুন ‘ফরম ১৬’ সরবরাহ করতে হবে কর্মীদের।
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এতদিন ৮০সি, ৮০-সিসিডি, ৮০-ই, ৮০-জি ইত্যাদি কোন আয়কর ধারায় মোট কত টাকা সঞ্চয় বা বিনিয়োগের জন্য করে ছাড় মিলেছে তা জানালেই হত। এখন সেটাই ভেঙে ভেঙে জানাতে হবে। ‘ফরম ১৬’-এই আলাদা আলাদা করে সেগুলির উল্লেখ থাকতে হবে।