ভারত সর্বদা শান্তি চায়, কিন্তু ভারতকে উস্কানি অথবা প্ররোচিত করলে, তা সে যে কোনও পরিস্থিতিই হোক না কেন, যথোপযুক্ত জবাব দিতেও সক্ষম। চিন, পাকিস্তান-সহ প্রতিবেশী শত্রু দেশগুলিকে বুঝিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, সেনা জওয়ানদের বলিদান বৃথা যাবে না। বুধবার ১৫টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সিং মারফত বৈঠকের প্রাক্কালে, লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ২০ জন ভারতীয় সেনা জওয়ানের মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দু’মিনিটের নীরবতা পালন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) , কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং ১৫টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রীরা।
চিন, পাকিস্তান-সহ প্রতিবেশী শত্রু দেশগুলিকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ভারত সর্বদা শান্তি চায়, কিন্তু ভারতকে প্ররোচিত করলে, যে কোনও পরিস্থিতিই হোক না কেন, যথোপযুক্ত জবাব দিতেও সক্ষম। আমাদের বীর সেনা জওয়ানদের বিষয়ে দেশবাসীর গর্বের বিষয় হল, তাঁরা মারতে মারতে মারা গিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারত ও চিনের সেনা সংঘর্ষে এক কর্নেল সহ ২০ জন সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। শহিদ সেনা জওয়ানদের নাম হল-কর্নেল বিকুমাল্লা সন্তোষ বাবু (হায়দরাবাদ), নুদুরাম সোরেন (ময়ূরভঞ্জ), মনদীপ সিং (পাটিয়ালা), সতনাম সিং (গুরুদাসপুর), কে পালানি (মাদুরাই), সুনীল কুমার (পাটনা), বিপুল রায় (মেরঠ সিটি), দীপক কুমার (রেওয়া), রাজেশ ওরাং (বীরভূম), কুন্দন কুমার ওঝা (সাহিবগঞ্জ), গণেশ রাম (কাঙ্কের), চন্দ্রকান্ত প্রধান (কান্ধামাল), অঙ্কুশ ঠাকুর (হামিরপুর), গুরবিন্দর (সাংরুর), গুরতেজ সিং (মানসা), চন্দন কুমার (ভোজপুর), কুন্দন কুমার (সহর্ষ), অমন কুমার (সমস্তিপুর), জয় কিশোর সিং (বৈশালী) এবং গণেশ হাঁসদা (পশ্চিম সিংভূম)।