আমেরিকা থেকে একটা বড় খবর সামনে সামনে আসছে। আমেরিকান বিদেশ বিভাগ দপ্তর ভারতকে নন নাটো (উত্তর আটলান্টিক ট্রিটি অরগানাইজেশন)তে সহযোগী পদ দেওয়ার পথে চলছে। জানিয়ে রাখি যে এখনো ইস্রায়েল, দক্ষিণ কোরিয়া, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া এবং জাপান নাটোর মধ্যে সহযোগী দেশ। আশা করা যাচ্ছে আমেরিকার সংসদে আমেরিকা-ভারত এর কৌশলগত অংশীদায়িত্ব শক্তিশালী করার জন্য উপস্থাপন করা বিল যদি পাস হয় তবে শীঘ্রই ভারতকে নাটোর মধ্যে এন্ট্রি পাবে। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, আমেরিকান সংসদ এ কার্যকর প্রভাবশালী সাংসদরা এই বিল পেশ করেছে।
এর সমর্থনকারীরা হলেন এমি বেরা (মার্কিন কংগ্রেসে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে সেবা প্রদানকারী ভারতীয়-আমেরিকান) এবং জর্জ হোল্ডিং (হাউস ইন্ডিয়া কোকাসের উপ-সভাপতি), ব্র্যাড সেরামেন, তুলসী গব্বার্ড এবং টেড ওহ এর নাম অন্তর্ভুক্ত।
‘ফাউন্ডেশন অফ ফায়ারেন অ্যাফেয়ার্স কমিটি’ এর সিনিয়র সদস্য জো উইলসন গত সপ্তাহে বিল এইচআর 2123 উপস্থাপন করেছিলেন এবং বলেন যে “ভারত বিশ্বের বৃহত্তম লোকতান্ত্রিক দেশ এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। মার্কিন-ভারত স্ট্যাটেটিজ পার্টনারশিপ ফোরাম এই বিলটির জন্য কাজ করছে। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে ভারত তাদের অগ্রাধিকারে রয়েছে।
এই পরিবর্তন ভারত-আমেরিকার সম্পর্কগুলি প্রতিষ্ঠানীয় রূপ দেবে এবং দুই দেশের সম্পর্কে একটি শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করবে। ইউএসআইএসপিএফের সভাপতি মুকেশ অঘি যিনি জো উইলসন এর এই কাজকে প্রশংসা করছেন, বিলকে একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ বলে চিহ্নিত করেছেন। লক্ষণীয় বিষয় এই যে, ২০১৮ তে ভারত SAT-1 এর পদ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ভারত ও আমেরিকার মধ্যে COMCASA এর চুক্তি সম্পন্ন হয়ে রয়েছে। এরপর যদি ভারতকে নন ন্যাটো সহযোগী পদ দেওয়া হয় তবে এটা ভারতের জন্য বড় সাফল্য হবে।
এর পাশাপাশি বলা যায় যে, জাতীয় প্রতিরক্ষা কর্তৃপক্ষ অ্যাক্ট (এনডিএএ), ভারতকে 2017 সালে ভাল ফলাফলের জন্য ভারতীয়-আমেরিকান সুরক্ষা অংশীদায়িত্ব মিলেছিল তথা প্রধান সুরক্ষা সহযোগী পদ মিলেছিল। কিন্তু এখন “ওরমস এক্সপোর্ট অ্যাক্ট” এ সংশোধন করে ভারতকে নন নাটোর সহযোগী দেশগুলিতে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। যা ভারতের জন্য একটি নতুন জয় হবে। জানিয়ে দি, নন ন্যাটো সহযোগী স্থানের স্থানে ন্যাটোর কোনো মিল নেই। ভারত যদি নন নাটোর সহযোগী তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয় তবে সুরক্ষা ক্ষেত্রে অনেক সুযোগ পাবে বলে খবর সামনে আসছে।