লাদাখ সীমান্তে চিনা আগ্রাসনের মধ্যেই ভারতের জন্য দুঃসংবাদ নিয়ে এল বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় অস্ত্রভাণ্ডার বিশেষজ্ঞ সংস্থা SIPRI। সংস্থাটির দাবি, ভারতের থেকে পরমাণু অস্ত্র বেশি আছে পাকিস্তান (Pakistan) ও চিন (China) দুই প্রতিবেশীর হাতেই। এদের মধ্যে পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডারে ভারতের থেকে অস্ত্র সামান্য বেশি। কিন্তু চিন এই দুই দেশের থেকে অনেকটাই এগিয়ে।
স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইন্সটিটিউট সম্প্রতি ২০২০ সালে বিশ্বের পরমাণু শক্তিধর দেশগুলির একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। যাতে দাবি করা হয়েছে ২০২০’র জানুয়ারি মাসের হিসেবে পাকিস্তান এবং চিনের হাতে ভারতের থেকে বেশি পরমাণু অস্ত্র আছে। SIPRI-র প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এই মুহূর্তে ভারতের হাতে পরমাণু অস্ত্র আছে ১৫০টি। পাকিস্তানের হাতে আছে ১৬০টি। চিন এই দুই দেশের থেকে অনেক এগিয়ে। তাঁদের হাতে পরমাণু অস্ত্র আছে ৩২০টি। তবে কোন দেশের অস্ত্রভাণ্ডার বেশি শক্তিশালী তা জানায়নি সুইডেনের সংস্থাটি। ওই রিপোর্টে বলে হয়েছে, চিন তার বহু প্রত্যাশিত পরমাণু ত্রয়ী তৈরির কাজে অনেকটা এগিয়েও গিয়েছে। অর্থাৎ স্থলসেনা, নৌবাহিনী এবং বায়ুসেনা, সবাইকেই পরমাণু আক্রমণে সক্ষম করে তুলছে বেজিং। তাৎপর্যপূর্ণভাবে SIPRI-র এই রিপোর্ট এমন এক সময় প্রকাশিত হল, যখন লাদাখ এবং অরুণাচল সীমান্তে আগ্রাসন দেখাচ্ছে চিন। পাকিস্তানও সুযোগ পেলেই কাশ্মীর সীমান্তে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করছে। সেই সঙ্গে ভারতে জঙ্গি কার্যকলাপ চালানোর গোপন অভিসন্ধি তো আছেই।
স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইন্সটিটিউটের প্রকাশ করা রিপোর্ট অনুযায়ী, এখনও বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পরমাণু শক্তিধর দেশ সেই আমেরিকা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাতে আছে ৬ হাজার ৩৭৫টি পরমাণু অস্ত্র। রাশিয়ার হাতে আছে ৫ হাজার ৮০০টি পরমাণু অস্ত্র। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বের ৯টি পরমাণু শক্তিধর দেশ আমেরিকা, রাশিয়া, ব্রিটেন, ফ্রান্স, চিন, ভারত, ইজরায়েল, পাকিস্তান এবং উত্তর কোরিয়ার হাতে প্রায় ১৩ হাজার ৪০০ পরমাণু অস্ত্র আছে।