জেহাদি তাণ্ডবে জ্বলছে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর


ভয়াবহ করােনা পরিস্থিতিতে সারা দেশের মানুষ যখন আতঙ্কিত তখন এক বিশেষ সম্প্রদায়ের কিছু মানুষ এই মারণ রােগকে যেমন অবজ্ঞা করছে, তেমনি তারা ভিন রাজ্য থেকে ফিরে এসে লকডাউনকে উপেক্ষা করে যেখানে সেখানে ঘুরে বেড়াচ্ছে। জেলার মানুষের অনুমান, দিল্লির নিজামুদ্দিন ফেরত বেশ কিছু তবলিগি গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে। তার ফলে জেলার মানুষ আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।
গত ১১ মে জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার রসিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের চণ্ডীপুর গ্রামে পরিযায়ী শ্রমিকরা ফিরে এসে এক জমায়েতের আয়ােজন করে। লক ডাউনের মধ্যে জমায়েত হওয়ার প্রতিবাদ করায় স্থানীয় এক ডাক্তারবাবুর বাড়ি-সহ ১২ টি দোকান ভাঙচুর করে লুঠপাট করে মুসলমানরা। এরপর গ্রামের শ্রীশ্রীরাধাগােবিন্দ মন্দিরে চড়াও হয়ে মূর্তি ভেঙে প্রণামী বাক্স থেকে টাকা ও গহনা লুঠ করে তারা। | চণ্ডীপুর গ্রামের বাসিন্দা হরেন দাস ও দেবাশিস দাস জানান, কয়েকদিন আগে পাশের গ্রামের একজনের করােনা পজিটিভ ধরা পড়ে। সেজন্য গ্রামবাসী গ্রামে ঢােকার রাস্তা ঘিরে দেন। কিন্তু পাশের গ্রামের মুসলমানরা জোর করে গ্রামে আসা-যাওয়া করতে থাকে। প্রথমে ডাক্তারবাবু ভাবেশ দাস এর প্রতিবাদ করেন। এছাড়া, ফিরে আসা শ্রমিকরা সর্দি-জ্বর নিয়ে তার চেম্বারে এলে তিনি তাদের স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাওয়ার পরামর্শ দেন। অভিযােগ,একারণেই সেদিন সন্ধ্যায় চণ্ডীপুরের আশেপাশে গ্রামের মসজিদ থেকে মাইকে ভিড় জমা করে কয়েকশাে জেহাদি লাঠি,বল্লম, অস্ত্র-সহ ডাক্তারবাবুর চেম্বার সহ ১২টি দোকানে হামলা চালিয়ে লুঠপাট করে। এক হিন্দু চা-ওয়ালকে প্রচণ্ড মারধর করে।

প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে হামলা চলার পর পুলিস আসে। কিন্তু ততক্ষণে হিন্দুদের যা ক্ষতি হবার তা হয়ে গেছে। পুলিশ ৪ জন জেহাদিকে গ্রেপ্তার করলেও হিন্দুরা ক্ষোভে ফুসছে। পরেরদিন উত্তর মালদার সাংসদ খগেন মুর্মু, জেলা বিজেপি সভাপতি গােবিন্দ মণ্ডল-সহ একটি দল চণ্ডীপুর গ্রামে রওনা হলে পুলিশ তাদের রাস্তায় আটকায়। মালদা জেলাশাসক ও জেলা পুলিশ সুপার এই ঘটনায় দোষীদের শাস্তি হবে বলে জানিয়েছেন। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে জেলা প্রসাসনকে উপযুক্ত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। সব মিলিয়ে করােনা সংকটের সময় জেহাদি তাণ্ডবে মালদা জেলা অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে।

তরুণ পণ্ডিত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.