করোনার কারণে টলমল বিশ্বের অর্থনীতি। মন্দা অর্থনীতির প্রভাব পড়েছে ভারতেও। সর্বত্রই একটাই আতঙ্ক। কর্মী ছাটাইয়ের আতঙ্ক একদিকে অন্যদিকে বেতনে কাটছাট হওয়ার আতঙ্ক। এই আতঙ্কের মধ্যেও কিছু ভালো খবর অবশ্যই মন ভালো করে দেয়। খারাপ পরিস্থিতিতে সমস্ত কর্মীদের ১০০ শতাংশ বোনাস দেওয়ার সিদ্ধান্ত।
বাঙালি শিল্পপতি পূর্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের (Purnendu Chatterjee) সংস্থা টিসিজি লাইফসায়েন্সেস করোনা মহামারীর মধ্যেও তাদের সমস্ত কর্মীদের জন্যে একেবারে ১০০ শতাংশ বোনাস দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সংস্থার কলকাতার সদরদফতর ও হায়দরাবাদের অফিসের সমস্ত কর্মীকে এই বোনাস দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শুধু বোনাসই নয়,কর্মী নিয়োগও করবে এই সংস্থা। টিসিজির তরফে জানানো হয়েছে, সংস্থার নীতি অনুযায়ী এই বছরও নতুন কর্মী নিয়োগ করবে তারা। কর্মী সংখ্যা আরও ১৫ শতাংশ বাড়ানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর এখানেই কর্মীদের ইনক্রিমেন্ট দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুধু এতগুলিই স্বস্তির খবরই নয়, টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যেও যে সমস্ত কর্মী তাঁদের কাজ ও গবেষণার ক্ষেত্রে অবদান রেখেছেন, তাঁদের স্বীকৃতি দিতে বিশেষ রিওয়ার্ডস প্রোগ্রামের পরিকল্পনা করেছে টিসিজি।
করোনার কারণে সর্বত্রই চাকরি হারানোর ভয়। যে কোনও মুহূর্তে যেতে পারে চাকরি, এই দুশ্চিন্তা গ্রাস করছে সবাইকে। যদিও ইতিমধ্যে বহু মানুষ চাকরি হারা হয়েছেন। সেখানে বাঙালি এই শিল্পপতি যেভাবে কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছে তা এককথায় প্রশংসনীয় বলেই মনে করছে ওয়াকিবহালমহল।
টিসিজি লাইফসাইন্সেসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর স্বপন ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, “করোনা মহামারী শুধু বহু মানুষের প্রাণই কেড়ে নেয়নি, আমাদের অর্থনীতিরও অপরিসীম ক্ষতি করে দিয়েছে। লকডাউনের সময় থেকেই আমরাও ব্যবসার ক্ষেত্রে খুবই কঠিন সময়ের মুখোমুখি হয়েছি।
কিন্তু, আমি বিশ্বাস করি যে আমাদের কর্মীরাই এই প্রতিষ্ঠানের সবচেয়ে বড় সম্পদ”। তাঁর মতে, টালমাটাল এই পরিস্থিতিতে অবশ্যই সমস্ত কর্মীদের পাশে এখন থাকা দরকার বলে মনে করেন তিনি। অন্যদিকে, সংস্থার এই ঘোষণাতে খুশির হাওয়া টিসিজির সমস্ত দফতরে। স্বস্তি এবং নিশ্চিন্তের হাসি প্রত্যেক কর্মীর মুখে…।