অনলাইন ফেজ ওয়ানের দ্বিতীয় পর্যায়ে আজ থেকে শপিং মল, হোটেল, রেস্তরাঁ, বেশি সংখ্যক কর্মী নিয়ে বহু সরকারি ও বেসরকারি অফিস খুলছে। দোকান, বাজার, ধর্মস্থান আগেই খুলেছিল। এ বার বহু পর্যটন কেন্দ্রও খুলতে চলেছে। এমনকি কিছু স্কুলের তরফে প্রশাসনিক কাজের জন্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের স্কুলে হাজির হতেও বলা হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, আনলক ফেজ ওয়ানের প্রথম দিন থেকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমনের গ্রাম ঊর্ধ্বমুখী। তাই কিভাবে নোবেল করোনা ভাইরাসকে (Coronavirus) আটকে দিয়ে ভারত তথা পশ্চিমবঙ্গের শুরু করা যাবে সাধারণ জনজীবন ?
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশে প্রতি লাখে মৃত্যুর হার ০.৪৯। হু-এর রিপোর্ট বলছে, যে সমস্ত দেশ লকডাউন তুলেছে, তাদের মধ্যে ভারতেই মৃত্যু-হার সর্বনিম্ন। কেন্দ্রীয় সরকারের বক্তব্য, দেশে অ্যাক্টিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ১,২০,৪০৬ এবং সুস্থ রোগীর সংখ্যা ১,১৯,২৯২ প্রায় সমান হয়ে এসেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৫,২২০ জন সুস্থ হয়েছেন। দেশে সুস্থতার হার ৪৮.৩৭ শতাংশ। এখনও পর্যন্ত ৪৬.৬৬ লক্ষেরও বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। দেশে ৭৫৯টি ল্যাব সক্রিয়। তবে সংক্রমণের ভয় পুরোপুরি কাটেনি।
যদিও, সুরক্ষা বাবদ ৭০ শতাংশ কর্মী নিয়ে সরকারি অফিস খুললেও সরকারি নির্দেশিকা মেনে দূরত্ববিধি বজায় রাখা এবং মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পাশাপাশি, হঠাৎ কোনও সরকারি কর্মীর শরীর খারাপ হলে স্বাস্থ্যপরীক্ষার ব্যবস্থাও রাখা হচ্ছে। সরকারি দফতর স্যানিটাইজ়ও করা হচ্ছে। অফিসে ঢোকার মুখে থাকছে স্যানিটাইজার। একই সতর্কতা মেনে চলার কথা বলা হয়েছে বেসরকারি অফিসেও। কিন্তু কার্যকরী ক্ষেত্রে তা কতটা মনে হবে তা নিয়ে সন্দিহান সরকারি দফতরের কর্তারাই।