লখনউতে কি বিরোধীরা ওয়াক ওভার দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংকে? উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে এখন ভেসে বেড়াচ্ছে এই প্রশ্ন। মঙ্গলবার ওই কেন্দ্রে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন রাজনাথ। কিন্তু তাঁর বিরোধীরা এখনও দাঁড় করাননি কাউকে। একটি সূত্রে শোনা যাচ্ছে, বিরোধীরা তেমন জোরালো কাউকে প্রার্থী করবেন না তাঁর বিরুদ্ধে।
লখনউ কেন্দ্রে মনোনয়ন পেশের সময়সীমা শেষ হচ্ছে দু’দিন পরে। ভোট হবে ৬ মে। একসময় এই কেন্দ্রে প্রার্থী হতেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী। ২০০৯ সালে রাজনাথ দাঁড়িয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ থেকে। ২০১৪ সালে তিনি প্রথমবার দাঁড়ান লখনউ কেন্দ্রে।
এদিন তিনি টুইট করেন, আজ আমি লখনউ কেন্দ্রে মনোনয়ন পেশ করতে যাচ্ছি। আশা করি মানুষ আমাকে আশীর্বাদ করবেন যাতে তাঁদের জন্য কাজ করে যেতে পারি। শ্রী অটলজির স্বপ্ন ছিল লখনউকে আন্তর্জাতিক মানের শহর হিসাবে গড়ে তুলবেন। আমি সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষে কাজ করে যাব।
মঙ্গলবার রোড শো করে মনোনয়ন জমা দিতে যান রাজনাথ। কথা ছিল, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও তাঁর সঙ্গে যাবেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশন তাঁকে ৭২ ঘণ্টা প্রচার করতে নিষেধ করেছে। তাই তিনি রাজনাথের সঙ্গী হতে পারেননি।
২০১৪ সালের ভোটে লখনউয়ে রাজনাথের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন কংগ্রেসের রীতা বহুগুণা জোশী। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ২ লক্ষ ৮০ হাজার ভোট। রাজনাথ পেয়েছিলেন ৫ লক্ষ ৬০ হাজার ভোট। তৃতীয় স্থানে ছিল মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টি। চতুর্থ স্থানে অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি। পরে রীতা বহুগুণা জোশী দল বদল করে বিজেপিতে যোগ দেন। তিনি এখন উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী।
লখনউকে বিজেপির ‘সেফ সিট’ বলে মনে করেন পর্যবেক্ষকরা। ১৯৯১ সাল থেকে টানা ওই আসনটি জিতে আসছে গেরুয়া ব্রিগেড। ১৯৯১ থেকে ২০০৯ অবধি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী ছিলেন ওই কেন্দ্রের সাংসদ। এরপর তিনি সক্রিয় রাজনীতি থেকে বিদায় নেন।
এবারের ভোটে মায়াবতী-অখিলেশের ‘মহাগঠবন্ধন’ স্থির করেছে, ওই আসনে লড়বেন সমাজবাদী পার্টির কোনও প্রার্থী। একটি মহল থেকে শোনা যাচ্ছিল, অভিনেতা তথা রাজনীতিক শত্রুঘ্ন সিনহার স্ত্রী পুনম সিনহাকে ওই কেন্দ্র থেকে দাঁড় করাতে পারে সমাজবাদী পার্টি। যদিও অখিলেশ প্রকাশ্যে এসম্পর্কে কিছু বলেননি।
গত সপ্তাহে লখনউ কেন্দ্র নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা শীঘ্র ওই কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করব। আমি একটা ঝুঁকি নিতে তৈরি। সাধারণভাবে জাতপাতের অঙ্ক মিলিয়ে যে প্রার্থী ঠিক করা হয়, লখনউয়ের ক্ষেত্রে তা করব না।