বার বার তাঁকে ত্রাণ বিলি করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এই অভিযোগে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। সেই মামলায় হাইকোর্ট তাঁকে কোভিডের বিধি নিষেধ মেনে ত্রাণ বিলির অনুমতি দেয়। আদালতে এই নৈতিক জয়ের পর বৃহস্পতিবার নিজে হাতে আমফান দুর্গতদের মধ্যে ত্রাণ বিলি করলেন বিজেপি (BJP) সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukant Majumdar)।
করোনা পরিস্থিতির মধ্যে লক ডাউন চলাকালীন একাধিক বার ত্রাণ বিলি করতে গিয়ে হেনস্থা করা হয়েছে সাংসদকে বলে অভিযোগ উঠেছিল। রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগে তিনি কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেই মামলার শুনানি হয়। আর তাতে শেষ পর্যন্ত জয় হয় সাংসদের। আদালত থেকে ত্রাণ বিলির অনুমতি পাওয়ায় তাকে নৈতিক জয় বলেছিলেন সাংসদ। এরপরই বৃহস্পতিবার তার সংসদীয় এলাকার কুসুমন্ডি ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের হাতে ত্রিপল তুলে দেন বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। সাংসদ বলেন, “প্রশাসন তাকে ত্রাণ বিলিতে বাধা দিলেও দলের তরফে তাঁরা নিয়মিত ত্রাণ বিলির কাজ চালিয়ে গিয়েছেন।” আমফান দুর্গতদের ক্ষেত্রেও প্রশাসন কাজ করছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি। তাঁর কথায়, প্রশাসন নিজেও কাজ করছে না আর অন্যকেও করার সুযোগ দিচ্ছে না। সাংসদ বলেন,এই দুর্যোগে বহু মানুষের ঘর ভেঙ্গেছে। তাদের পাশে দাঁড়াতেই ত্রিপল বিলি করছেন।
এছাড়াও এদিন তিনি আপচা এলাকায় তাবু খাটিয়ে থাকা ভিনরাজ্য থেকে ফেরা কিছু পরিযায়ী শ্রমিকদের হাতে খাদ্যসামগ্রীও তুলে দেন। সাংসদ অভিযোগ করেন, আপচা এলাকায় পাঁচ জন শ্রমিক তামিলনাড়ুর মত করোনা সংক্রমিত রাজ্য থেকে ফিরলেও রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা মেনে তাদের ১৫ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেনটিনে রাখা হয়নি। পুকুর পাড়ে কোনো রকমে তাঁবু খাটিয়ে আলাদা রয়েছেন তারা। সেখানে তাদের মেডিকেল চেকআপও সঠিক ভাবে হচ্ছে না। সোয়াব পরীক্ষাও হয়নি এই শ্রমিকদের। এই পরিযায়ী শ্রমিকদের সঠিক ভাবে কোয়ারেনটিনে রাখার বিষয়ে প্রশাসন উদাসীন বলেও অভিযোগ করেন সাংসদ।
একই সঙ্গে এদিন বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে বৃক্ষ রোপনও করেন বিজেপি সাংসদ।