শেষ কিছু সপ্তাহে দেশে সংক্রমণের হার একধাক্কায় অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। করোনা ভাইরাসকে বিশ্ব মহামারি ঘোষণার ৪৮ দিনের মাথায় প্রথম ১০০০ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে ভারতে। তবে শেষ চারদিনে সেই একইসংখ্যার মৃত্যু হয়েছে ভারতে (India), COVID-19 নিয়ে এমনই তথ্য পাওয়া গিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে।
সংক্রমণের হার নাটকীয়ভাবে বেড়ে গিয়েছে। ভারতে সংক্রমিতদের সংখ্যা এপ্রিলের ২৬ তারিখ অর্থাৎ ৮৭ দিনের মাথায় ২৫০০০ পার করেছে, তবে সেই সংখ্যা দ্রুত গতিতে বাড়ছে। মাত্রআ ছয় সপ্তাহে সংখ্যাটি ২,২৬,৭৭০ জন হয়েছে।
মার্চ মাসের ১২ তারিখ করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যু জানা গিয়েছিল। এপ্রিলের ২৯ তারিখ তা ১০০০ পেরিয়েছে। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দেশের মোট সংখ্যা ৬,০৭৫ হয়েছে। তবে জুনের ১ থেকে ৪ অবধি করোনা আক্রান্ত হয়ে ৯০০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ক্রমবর্ধমান এই সংখ্যা চিন্তা বাড়াচ্ছে, এমনিতেই দুমাসের বেশিদিনের এই লকডাউনে ব্যপক আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। লকডাউন ৪ পর্যন্ত যাওয়ার পরে আর লকডাউন বাড়ানোর ক্ষমতা দেখাতে পারেনি কেন্দ্র। শুরু হয়ে গিয়েছে শিথিলতা। চলছে আনলক ১। এই ধাপে মন্দির সহ অন্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ভক্তদের জন্য খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ব্দেশ আনলক হতেই লাফিয়ে লাফিয়ে দেশে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এমন পরিস্থিতিতে ধর্মীয় স্থানের জন্য নতুন নিয়ম জারি করল কেন্দ্র।
প্রায় দীর্ঘ দুমাস লকডাউনে বন্ধ থাকার পর, এই মাস থেকে বেশ কিছু ধর্মীয় স্থান খোলা শুরু হয়েছে। অনেক ধর্মীয় স্থান আবার নতুন গাইডলাইন সংক্রান্ত খোঁজ নেওয়া শুরু করেছে। কেউ আবার প্রাঙ্গন খোলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
ক্রমবর্ধমান সংক্রমণের দিকে তাকিয়ে, প্রত্যেক ব্যাক্তি যারা ট্রেন-বাস কিংবা বিমানে দিল্লি আসছেন তাঁদের বাধ্যতামূলকভাবে সাতদিনের হোম-কোয়ারেন্টাইনে যেতে হবে, এমনটাই বেঁধে দিয়েছে দিল্লি সরকার। আগে কোনও কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম বাধ্যতামূলকভাবে ছিল না সেই নিয়ম বদলে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।