উত্তরপ্রদেশের রামপুর কেন্দ্রে সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী আজম খান গত রবিবার কটু মন্তব্য করেছিলেন বিজেপির জয়া প্রদার বিরুদ্ধে। সোমবার ওই ঘটনাকে দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণের সঙ্গে তুলনা করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। সমাজবাদী পার্টির শীর্ষ নেতা মুলায়ম সিং যাদবের উদ্দেশে তাঁর মন্তব্য, রামপুরে যখন দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ হচ্ছে, তখন আপনি চুপ কেন?

আজম খান এক সভায় জয়া প্রদা সম্পর্কে মন্তব্য করেন, তাঁর অন্তর্বাসের রং খাঁকি। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ সিং যাদবের সামনেই তিনি ওই মন্তব্য করেন। সুষমা টুইট করে অখিলেশের বাবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি লিখেছেন, মুলায়ম ভাই, আপনি সমাজবাদী পার্টির প্রবীণতম নেতা। আপনার সামনেই রামপুরের দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ হচ্ছে। ভীষ্ম দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণের সময় চুপ করে থেকে যে অন্যায় করেছিলেন, আপনি যেন সেই অন্যায় করবেন না।

রবিবার আজম খান বলেন, বিজেপির প্রার্থী আমার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ করেছেন। আমি আমি মৃত মায়ের নামে শপথ করে বলছি, সব অভিযোগই মিথ্যা। আমি ভীতু নই।

এরপরে নাম না করে জয়া প্রদার সমালোচনা করেন আজম খান। তিনি বলেন, আমি আপনাদের জিজ্ঞাসা করছি, রাজনীতিকে কি এত নীচে নামতে দেবেন? এই ব্যক্তি ১০ বছর ধরে রামপুরের রক্ত শোষণ করেছেন। আমি সে ব্যক্তিকে রামপুর চিনিয়েছিলাম। আমি কাউকে সেই ব্যক্তিকে স্পর্শ করতে দিইনি বা তাঁর বিরুদ্ধে কুকথা বলতে দিইনি। আপনারা সেই ব্যক্তিকে ১০ বছর জনপ্রতিনিধি বানিয়ে রেখেছেন।

পরে আজম খান বলেন, সেই ব্যক্তিকে চিনতে আপনাদের ১৭ বছর লেগেছে। কিন্তু আমি ১৭ দিনেই বুঝতে পেরেছিলাম, তাঁর অন্তর্বাসের রং খাঁকি।

ওই মন্তব্য করার পরে আজম খানের বিরুদ্ধে এফ আই আর হয়। জাতীয় মহিলা কমিশনও জানায়, তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জয়া প্রদা বলেছেন, আজম খানের এই ধরনের মন্তব্য নতুন কিছু নয়। অতীতের কথা তুলে তিনি বলেন, ২০০৯ সালে আমি এই কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছিলাম। তখন আজম খান আমার বিরুদ্ধে এমন কিছু কথা বলেছিলেন যে, কেউ আমাকে সাহায্য করেনি।

আজম খান সেবার কী বলেছিলেন জানতে চাইলে জয়া প্রদা বলেন, আমি একজন মহিলা। ওই ধরনের কথা মুখে আনতে পারব না। আমি জানি না তাঁর কী ক্ষতি করেছিলাম যে তিনি আমার সম্পর্কে ওই ধরনের মন্তব্য করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.