দেশে চলছে আনলক ১। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনা (corona)প্রকোপ। শেষ ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত হলেন ৯৮৫১ জন। মৃত্যু হয়েছে ২৭৩ জনের।
শেষ ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত ও মৃত্যু বাড়ার ফলে দেশে এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৩৪৮ এ। দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষ ২৬ হাজার ৭৭০। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছে ১ লক্ষ ৯ হাজার ৪৬২ জন। দেশে বর্তমানে অ্যাক্টিভ কেস রয়েছে ১ লক্ষ ১০ হাজার ৯৬০ টি। স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে এখবর মিলেছে।
দেশের মধ্যে সর্বাধিক করোনা সংক্রামিত রাজ্য মহারাষ্ট্র। সেখানে আক্রান্ত প্রায় হাজার। মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৫০০ জনের বেশি। এরপরেই তালিকায় নাম তামিলনাড়ূর। সেখানে মোট আক্রান্ত ২৫ হাজার ছাড়িয়েছে, মৃত ২০০ জনের বেশি। আক্রান্তের বিচারে দিল্লি রয়েছে তৃতীয় নম্বরে সেখানে আক্রান্ত প্রায় ২৩ হাজার মানুষ। মৃত্যুতে তামিলনাড়ুতে টেক্কা দিয়ে এখানে সংখ্যাটা ৬০০ পার করে ফেলেছে। চতুর্থ হিসেবে রয়েছে গুজরাত ও পঞ্চম স্থানে নাম রয়েছে রাজস্থানের।
অন্যদিকে আমেরিকান অ্যাকাডেমি অফ অপথ্যালমোলজির গবেষকরা জানাচ্ছেন চোখের জল থেকে ছড়াতে পারে করোনা ভাইরাস। যদি কোনও করোনা আক্রান্ত রোগির চোখের জল সুস্থ ব্যক্তির শরীরে লেগে যায়, তবে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা থাকছে। চিকিৎসকরা বলেছিলেন চোখ করোনা সংক্রমণের অন্যতম পথ হতে পারে। বারবার চোখ রগরানো উচিত নয়। বিশেষত হাত না ধুয়ে চোখে হাত দেওয়া সংক্রমণ ঘটাতে পারে বলে জানানো হয়েছিল। এই সমীক্ষাও সেই তথ্য তুলে ধরছে। কারণ যে হাত দিয়ে মুখ ঢেকে হাঁচছেন বা কাশছেন, সেই হাত না ধুয়ে চোখে দিলে জীবাণু ছড়িয়ে পড়তেই পারে। মুখ ঢেকে কাশা, হাঁচি মারা উচিত।
করোনা রুখতে বারবার হাত ধোওয়া দরকার বলে ফের জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। চোখ থেকে সংক্রমণ রোখার আরও একটি উপায় হল চশমা পড়া। রোদ চশমা বা সাধারণ চশমা পরে থাকলে চোখে হাত যাওয়ার সম্ভাবনা কম। ফলে সংক্রমণও কম ছড়াবে। তবে ইউএস সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের গবেষকরা বলছে কান থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা অনেক কম। কানের বাইরে ত্বক সাধারণ শরীরের ত্বকের মতই।