দেশে এবং রাজনৈতিক মহলে উষ্ণতা বেড়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে কার ভোট কোন দিকে যাবে এ নিয়ে সর্বত্র চর্চা শুরু হয়েছে।তবে সবার নজর যে দিকে বেশি রয়েছে তা হলো মুসলিম ভোট। দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় বলতে শিখ, বৌদ্ধ, জৈন ইত্যাদি রয়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক পার্টিগুলি ভোটের লোভে দেশের ২য় সংখ্যা গরিষ্ঠ মুসলিম জাতিকে সংখ্যালঘু বলে চালিয়ে দেয়। জনসংখ্যার দিক থেকে হিন্দুদের পরের স্থানেই রয়েছে মুসলিমরা, জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারও খুব দ্রুত। তা সত্ত্বেও দেশের রাজনৈতিক পার্টিগুলি মুসলিমদের সংখ্যালঘু তকমা সরাতে রাজি নয়।
যাইহোক, দেশের মুসলিম ভোট ব্যাঙ্ক কোন দিকে যাবে তার খবর সব রাজনৈতিক দল রাখে। কারণ মুসলিমদের মধ্যে ভোট দেওয়ার প্রবণতা বেশি। নিজেদের অধিকারকে কাজে লাগানোর দিক থেকে মুসলিমরা এগিয়ে। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে মুসলিম ভোট কোন দিকে যাবে এ নিয়ে Aajtak একটা ছোট সার্ভে করেছে। মুসলিমরা কোন পার্টির দিকে ভোট করবে তা জানার জন্যেই এই সার্ভে করা হয়েছে।
পুরো দেশের মুসলিমরা কি বলছে সেটার রিপোর্ট এখনো সামনে না এলেও উওরপ্রদেশের মুসলিমদের রিপোর্ট সামনে এসে গেছে। Aajtak এর টিম উত্তরপ্রদেশের মুসলিম ভোটের উপর বেশি নজর দিয়েছে কারণ সেখানে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের রাজ চলে। আর দেশের দালাল মিডিয়া যোগী আদিত্যনাথকে মুসলিম বিরোধী দেখানোর কোনো প্রয়াস ছাড়ে না। তাই এমন পরিস্থিতিতে সেখানের মুসলিমদের মনের কথা জানা অবশ্যই উচিত।
Aajtak এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৪ সালে বিজেপির প্রতি মুসলিমদের চিন্তাধারা এবং ২০১৯ এর চিন্তাধারার মধ্যে অনেক পার্থক্য এসেছে। পূর্ব UP এর মুসলিমরা জানিয়েছেন যে, ২০১৪ সালে তারা মনে করতো যে বিজেপি ক্ষমতায় এলে মুসলিমদের উপর অত্যাচার হবে, দাঙ্গা বেড়ে যাবে। কিন্তু এখন তাদের দাবি, মোদী-যোগী রাজে আগের থেকে বেশি স্বাচ্ছন্দে রয়েছেন। পূর্ব UP মুসলিমরা জানিয়েছেন যে তাদেরকে বিজেপির ভয় দেখিয়ে ভোট নেওয়া হতো, কিন্তু এখন সব পার্টির পোল খুলে গেছে। শুধুমাত্র তিন তালাক ইস্যু ছাড়া বাকি সবকিছুতেই পূর্ব উত্তরপ্রদেশের মুসলিমরা মোদী-যোগীর সমর্থন জানিয়েছে। Aajtak এর সার্ভে অনুযায়ী অন্যদিকে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের ছবি একটু আলাদা। সেখানের মুসলিমদের ভোট কংগ্রেস, জোটের মধ্যে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।