“SHIVAJI UTSAV” at RITAM : ঋতমে “শিবাজী উৎসব” Hindu Samrajya Diwas 2020 : हिंदू साम्राज्य दिवस : হিন্দু সাম্রাজ্য দিনোৎসব – সারাদিন ঋতমে “শিবাজী উৎসব” – দেখুন এই লিংকেই সরাসরি – watch “SHIVAJI UTSAV” live through this link now

“SHIVAJI UTSAV” at RITAM : ঋতমে “শিবাজী উৎসব” Hindu Samrajya Diwas 2020 : हिंदू साम्राज्य दिवस : হিন্দু সাম্রাজ্য দিনোৎসব – সারাদিন ঋতমে “শিবাজী উৎসব” – দেখুন এই লিংকেই সরাসরি – watch “SHIVAJI UTSAV” live through this link now

Speakers:

Ratan Sharda
Author, TV panellist
Writer, freelance columnist. PhD on RSS. Well known TV panellist a political analyst. Most know work – RSS360 degree. Has held various responsibilities in RSS. Was jailed during Emergency as a student activist. Has travelled more than 25 countries.

Ravilochanan Iyengar
Social activist involved in temple freedom
Social activist involved in temple freedom movement, protection of rights and raising issues pertaining to Indic community for whom Bharat is the sole refuge. A student of history and philosophy. Interested in orthopraxy.

Pramod Vasant Bapat
Senior banker, Researcher
Residing at Mumbai. B A in Economics & Sociology. RSS swayamsevak since childhood, 3rd year trained & holding some responsibility (Dayitva) since more than last thirty five years. Presently Paschim Kshetra Prachar Pramukh (Gujrath, Maharashtra & Goa)

Parashar Mone
Professor, Electrical Engineering Department, D Y Patil University Pune
Karyakarta of shrishivpratishthan hindusthan
Working under guidance of shri bhide guruji for last 22 yrs.
Studying shivaji maharaj charitra for last 20 yrs.

Satya Narayan Majumder
Head Master (retd), Author of numerous books, M.A in English, Bengali , Sanskrit and Education. Served long time with various senior responsibilities (Dayitva) of RSS

Shreekanta Nandi
Social Worker,
Associated with the intellectual segment (Bouddhik) of a nationalist social organization. Senior RSS Pracharak.

শিবাজি-উৎসব

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

 কোন্‌ দূর শতাব্দের কোন্‌-এক অখ্যাত দিবসে
              নাহি জানি আজি
 মারাঠার কোন্‌ শৈলে অরণ্যের অন্ধকারে ব'সে,
              হে রাজা শিবাজি,
 তব ভাল উদ্ভাসিয়া এ ভাবনা তড়িৎপ্রভাবৎ
              এসেছিল নামি--
 "একধর্মরাজ্যপাশে খণ্ড ছিন্ন বিক্ষিপ্ত ভারত
              বেঁধে দিব আমি।'

 সেদিন এ বঙ্গদেশ উচ্চকিত জাগে নি স্বপনে,
              পায় নি সংবাদ--
 বাহিরে আসে নি ছুটে, উঠে নাই তাহার প্রাঙ্গণে
              শুভ শঙ্খনাদ--
 শান্তমুখে বিছাইয়া আপনার কোমলনির্মল
              শ্যামল উত্তরী
 তন্দ্রাতুর সন্ধ্যাকালে শত পল্লিসন্তানের দল
              ছিল বক্ষে করি।

 তার পরে একদিন মারাঠার প্রান্তর হইতে
              তব বজ্রশিখা
 আঁকি দিল দিগ্‌দিগন্তে যুগান্তের বিদ্যুদ্‌বহ্নিতে
              মহামন্ত্রলিখা।
 মোগল-উষ্ণীষশীর্ষ প্রস্ফুরিল প্রলয়প্রদোষে
              পক্কপত্র যথা--
 সেদিনও শোনে নি বঙ্গ মারাঠার সে বজ্রনির্ঘোষে
              কী ছিল বারতা।

 তার পরে শূন্য হল ঝঞ্ঝাক্ষুব্ধ নিবিড় নিশীথে
              দিল্লিরাজশালা--
 একে একে কক্ষে কক্ষে অন্ধকারে লাগিল মিশিতে
              দীপালোকমালা।
 শবলুব্ধ গৃধ্রদের ঊর্ধ্বস্বর বীভৎস চীৎকারে
              মোগলমহিমা
 রচিল শ্মশানশয্যা--মুষ্টিমেয় ভস্মরেখাকারে
              হল তার সীমা।

 সেদিন এ বঙ্গপ্রান্তে পণ্যবিপণীর এক ধারে
              নিঃশব্দচরণ
 আনিল বণিকলক্ষ্মী সুরঙ্গপথের অন্ধকারে
              রাজসিংহাসন।
 বঙ্গ তারে আপনার গঙ্গোদকে অভিষিক্ত করি
              নিল চুপে চুপে--
 বণিকের মানদণ্ড দেখা দিল পোহালে শর্বরী
              রাজদণ্ডরূপে।

 সেদিন কোথায় তুমি হে ভাবুক, হে বীর মারাঠি,
              কোথা তব নাম!
 গৈরিক পতাকা তব কোথায় ধুলায় হল মাটি--
              তুচ্ছ পরিণাম!
 বিদেশীর ইতিবৃত্ত দস্যু বলি করে পরিহাস
              অট্টহাস্যরবে--
 তব পুণ্য চেষ্টা যত তস্করের নিষ্ফল প্রয়াস,
              এই জানে সবে।

অয়ি ইতিবৃত্তকথা, ক্ষান্ত করো মুখর ভাষণ।
              ওগো মিথ্যাময়ী,
তোমার লিখন-'পরে বিধাতার অব্যর্থ লিখন
              হবে আজি জয়ী।
যাহা মরিবার নহে তাহারে কেমনে চাপা দিবে
              তব ব্যঙ্গবাণী?
যে তপস্যা সত্য তারে কেহ বাধা দিবে না ত্রিদিবে
              নিশ্চয় সে জানি।

হে রাজতপস্বী বীর, তোমার সে উদার ভাবনা
              বিধির ভাণ্ডারে
সঞ্চিত হইয়া গেছে, কাল কভু তার এক কণা
              পারে হরিবারে?
তোমার সে প্রাণোৎসর্গ, স্বদেশলক্ষ্মীর পূজাঘরে
              সে সত্যসাধন,
কে জানিত, হয়ে গেছে চিরযুগযুগান্তর-তরে
              ভারতের ধন।

অখ্যাত অজ্ঞাত রহি দীর্ঘকাল, হে রাজবৈরাগী,
              গিরিদরীতলে
বর্ষার নির্ঝর যথা শৈল বিদারিয়া উঠে জাগি
              পরিপূর্ণ বলে,
সেইমত বাহিরিলে-- বিশ্বলোক ভাবিল বিস্ময়ে,
              যাহার পতাকা
অম্বর আচ্ছন্ন করে, এতকাল এত ক্ষুদ্র হয়ে
              কোথা ছিল ঢাকা।

সেইমত ভাবিতেছি আমি কবি এ পূর্ব-ভারতে,
              কী অপূর্ব হেরি,
বঙ্গের অঙ্গনদ্বারে কেমনে ধ্বনিল কোথা হতে
              তব জয়ভেরী।
তিন শত বৎসরের গাঢ়তম তমিস্রা বিদারি
              প্রতাপ তোমার
এ প্রাচীদিগন্তে আজি নবতর কী রশ্মি প্রসারি
              উদিল আবার।

মরে না, মরে না কভু সত্য যাহা শত শতাব্দীর
              বিস্মৃতির তলে--
নাহি মরে উপেক্ষায়, অপমানে না হয় অস্থির,
              আঘাতে না টলে।
যারে ভেবেছিল সবে কোন্‌কালে হয়েছে নিঃশেষ
              কর্মপরপারে,
এল সেই সত্য তব পূজ্য অতিথির ধরি বেশ
              ভারতের দ্বারে।

আজও তার সেই মন্ত্র-- সেই তার উদার নয়ান
              ভবিষ্যের পানে
একদৃষ্টে চেয়ে আছে, সেথায় সে কী দৃশ্য মহান্‌
              হেরিছে কে জানে।
অশরীর হে তাপস, শুধু তব তপোমূর্তি লয়ে
              আসিয়াছ আজ--
তবু তব পুরাতন সেই শক্তি আনিয়াছ বয়ে,
              সেই তব কাজ।

আজি তব নাহি ধ্বজা, নাই সৈন্য রণ-অশ্বদল
              অস্ত্র খরতর--
আজি আর নাহি বাজে আকশেরে করিয়া পাগল
              "হর হর হর'।
শুধু তব নাম আজি পিতৃলোক হতে এল নামি,
              করিল আহ্বান--
মুহূর্তে হৃদয়াসনে তোমারেই বরিল, হে স্বামী,
              বাঙালির প্রাণ।

এ কথা ভাবে নি কেহ এ তিন-শতাব্দ-কাল ধরি--
              জানে নি স্বপনে--
তোমার মহৎ নাম বঙ্গ-মারাঠারে এক করি
              দিবে বিনা রণে।
তোমার তপস্যাতেজ দীর্ঘকাল করি অন্তর্ধান
              আজি অকস্মাৎ
মৃত্যুহীন বাণী-রূপে আনি দিবে নূতন পরান
              নূতন প্রভাত।

মারাঠার প্রান্ত হতে একদিন তুমি ধর্মরাজ,
              ডেকেছিলে যবে
রাজা ব'লে জানি নাই, মানি নাই, পাই নাই লাজ
              সে ভৈরব রবে।
তোমার কৃপাণদীপ্তি একদিন যবে চমকিলা
              বঙ্গের আকাশে
সে ঘোর দুর্যোগদিনে না বুঝিনু রুদ্র সেই লীলা,
              লুকানু তরাসে।

মৃত্যুসিংহাসনে আজি বসিয়াছ অমরমুরতি--
              সমুন্নত ভালে
যে রাজকিরীট শোভে লুকাবে না তার দিব্যজ্যোতি
              কভু কোনোকালে।
তোমারে চিনেছি আজি, চিনেছি চিনেছি হে রাজন্‌,
              তুমি মহারাজ।
তব রাজকর লয়ে আট কোটি বঙ্গের নন্দন
              দাঁড়াইবে আজ।

সেদিন শুনি নি কথা-- আজ মোরা তোমার আদেশ
              শির পাতি লব।
কণ্ঠে কণ্ঠে বক্ষে বক্ষে ভারতে মিলিবে সর্বদেশ
              ধ্যানমন্ত্রে তব।
ধ্বজা করি উড়াইব বৈরাগীর উত্তরী বসন--
              দরিদ্রের বল।
"একধর্মরাজ্য হবে এ ভারতে' এ মহাবচন
              করিব সম্বল।
 মারাঠির সাথে আজি, হে বাঙালি, এক কন্ঠে বলো
              "জয়তু শিবাজি'।

 মারাঠির সাথে আজি, হে বাঙালি, এক সঙ্গে চলো
              মহোৎসবে সাজি।
 আজি এক সভাতলে ভারতের পশ্চিম-পূরব
              দক্ষিণে ও বামে
 একত্রে করুক ভোগ একসাথে একটি গৌরব
              এক পুণ্য নামে।

প্রতিনিধি

  • রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

অ্যাক্‌ওয়ার্থ্‌ সাহেব কয়েকটি মারাঠি গাথার যে ইংরাজি অনুবাদগ্রন্থ প্রকাশ করিয়াছেন তাহারই ভূমিকা হইতে বর্ণিত ঘটনা গৃহীত। শিবাজির গেরুয়া পতাকা “ভগোয়া ঝেণ্ডা’ নামে খ্যাত।

বসিয়া প্রভাতকালে সেতারার দুর্গভালে
শিবাজি হেরিলা এক দিন–
রামদাস গুরু তাঁর ভিক্ষা মাগি দ্বার দ্বার
ফিরিছেন যেন অন্নহীন।
ভাবিলা, এ কী এ কাণ্ড! গুরুজির ভিক্ষাভাণ্ড–
ঘরে যাঁর নাই দৈন্যলেশ!
সব যাঁর হস্তগত, রাজ্যেশ্বর পদানত,
তাঁরো নাই বাসনার শেষ!
এ কেবল দিনে রাত্রে জল ঢেলে ফুটা পাত্রে
বৃথা চেষ্টা তৃষ্ণা মিটাবারে।
কহিলা, “দেখিতে হবে কতখানি দিলে তবে
ভিক্ষাঝুলি ভরে একেবারে।’
তখনি লেখনী আনি কী লিখি দিলা কী জানি,
বালাজিরে কহিলা ডাকায়ে,
“গুরু যবে ভিক্ষা-আশে আসিবেন দুর্গ-পাশে
এই লিপি দিয়ো তাঁর পায়ে।’

গুরু চলেছেন গেয়ে, সম্মুখে চলেছে ধেয়ে
কত পান্থ কত অশ্বরথ!–
“হে ভবেশ, হে শংকর, সবারে দিয়েছ ঘর,
আমারে দিয়েছ শুধু পথ।
অন্নপূর্ণা মা আমার লয়েছে বিশ্বের ভার,
সুখে আছে সর্ব চরাচর–
মোরে তুমি, হে ভিখারি, মার কাছ হতে কাড়ি
করেছ আপন অনুচর।’

সমাপন করি গান সারিয়া মধ্যাহ্নস্নান
দুর্গদ্বারে আসিয়া যখন–
বালাজি নমিয়া তাঁরে দাঁড়াইল এক ধারে
পদমূলে রাখিয়া লিখন।
গুরু কৌতূহলভরে তুলিয়া লইলা করে,
পড়িয়া দেখিলা পত্রখানি–
বন্দি তাঁর পাদপদ্ম শিবাজি সঁপিছে অদ্য
তাঁরে নিজরাজ্য-রাজধানী।

পরদিনে রামদাস গেলেন রাজার পাশ,
কহিলেন, “পুত্র, কহো শুনি,
রাজ্য যদি মোরে দেবে কী কাজে লাগিবে এবে–
কোন্‌ গুণ আছে তব গুণী?’
“তোমারি দাসত্বে প্রাণ আনন্দে করিব দান’
শিবাজি কহিলা নমি তাঁরে।
গুরু কহে, “এই ঝুলি লহ তবে স্কন্ধে তুলি,
চলো আজি ভিক্ষা করিবারে।’

শিবাজি গুরুর সাথে ভিক্ষাপাত্র লয়ে হাতে
ফিরিলে পুরদ্বারে-দ্বারে।
নৃপে হেরি ছেলেমেয়ে ভয়ে ঘরে যায় ধেয়ে,
ডেকে আনে পিতারে মাতারে।
অতুল ঐশ্বর্যে রত, তাঁর ভিখারির ব্রত!
এ যে দেখি জলে ভাসে শিলা!
ভিক্ষা দেয় লজ্জাভরে, হস্ত কাঁপে থরেথরে,
ভাবে ইহা মহতের লীলা।
দুর্গে দ্বিপ্রহর বাজে, ক্ষান্ত দিয়া কর্মকাজে
বিশ্রাম করিছে পুরবাসী।
একতারে দিয়ে তান রামদাস গাহে গান
আনন্দে নয়নজলে ভাসি,
“ওহে ত্রিভুবনপতি, বুঝি না তোমার মতি,
কিছুই অভাব তব নাহি–
হৃদয়ে হৃদয়ে তবু ভিক্ষা মাগি ফির, প্রভু,
সবার সর্বস্বধন চাহি।’

অবশেষে দিবসান্তে নগরের এক প্রান্তে
নদীকূলে সন্ধ্যাস্নান সারি–
ভিক্ষা-অন্ন রাঁধি সুখে গুরু কিছু দিলা মুখে,
প্রসাদ পাইল শিষ্য তাঁরি।
রাজা তবে কহে হাসি, “নৃপতির গর্ব নাশি
করিয়াছ পথের ভিক্ষুক–
প্রস্তুত রয়েছে দাস, আরো কিবা অভিলাষ–
গুরু-কাছে লব গুরু দুখ।’

গুরু কহে, “তবে শোন্‌,করিলি কঠিন পণ,
অনুরূপ নিতে হবে ভার–
এই আমি দিনু কয়ে মোর নামে মোর হয়ে
রাজ্য তুমি লহ পুনর্বার।
তোমারে করিল বিধি ভিক্ষুকের প্রতিনিধি,
রাজ্যেশ্বর দীন উদাসীন।
পালিবে যে রাজধর্ম জেনো তাহা মোর কর্ম,
রাজ্য লয়ে রবে রাজ্যহীন।’

“বৎস, তবে এই লহো মোর আশীর্বাদসহ
আমার গেরুয়া গাত্রবাস–
বৈরাগীর উত্তরীয় পতাকা করিয়া নিয়ো’
কহিলেন গুরু রামদাস।
নৃপশিষ্য নতশিরে বসি রহে নদীতীরে,
চিন্তারাশি ঘনায়ে ললাটে।
থামিল রাখালবেণু, গোঠে ফিরে গেল ধেনু,
পরপারে সূর্য গেল পাটে।

পূরবীতে ধরি তান একমনে রচি গান
গাহিতে লাগিলা রামদাস,
“আমারে রাজার সাজে বসায়ে সংসারমাঝে
কে তুমি আড়ালে কর বাস!
হে রাজা, রেখেছি আনি তোমারি পাদুকাখানি,
আমি থাকি পাদপীঠতলে–
সন্ধ্যা হয়ে এল ওই, আর কত বসে রই!
তব রাজ্যে তুমি এসো চলে।’

Shivaji-Utsav (Shivaji Festival) By Rabindranath Tagore

A few distant centuries ago, on a nondescript day

I can barely imagine

Upon what craggy hilltop, within a dense sunless forest

O sovereign Shivaji

Lightning-like, across your forehead, there flashed

The thought from above-

“With a singular religious thread, this torn up, fragmented

Bharata, I shall bind in One.”

This Bengal, that day, had not awakened, startled

From stupor, had not received the tidings-

Had not rushed outside, her courtyards had not

Resonated then with the sound of the shankha.

Quietly spreading everywhere her chaste, unblemished

Verdant shawl upon the earth

She held at dusk hundreds of her children in the hamlets

Gently upon her breast.

Then came the day when from the plains of Maratha

The flaming tongues of your thunderbolt

Carved out in every corner of the sky the message of a new age:

The mahamantra of unification.

Upon the crown of the Mughals that tempestuous morn

The message arrived, writ upon a scroll-

And yet, that thunderous proclamation of Maratha

Bengal heard not, hence knew not its intent.

Presently, one by one, in the dense darkness of stormy nights

Emptied the vast palaces of the Empire in Delhi-

One by one, in sprawling room after room, the strings of lamps

Began to go out, only to become one with the darkness.

Outside, the skies were rended by the howls of carrion-eating

Jackals; the glory of the Mughals

Was laid to rest upon the burning ghat- nothing remained but

Scattered margins of ashes and ruins.

Then, upon a corner of Bengal’s marketplace of goods

In silent steps-

The Lakshmi of Commerce, through the passageways

Of a dark tunnel ushered in an alien throne.

With the scared Gangodaka Bengal quietly

Anointed the new arrival-

Before the fateful night was over, the maandanda of the trader

Morphed into the rajdanda of the conqueror.

Where were you then, O contemplative One, Hero of Maratha

Where was your valiant name!

Your saffron insignia, scattered in the dust, crushed

Into nothingness by decree of fate.

The mocking annals of the invaders brand you as bandit

As they break into raucous laughter-

All your noble efforts nothing more than a robber’s failed work

What all have since known.

Ye false tale-spinners, cease your garrulous speeches

O ignominious Muse of Lies

Know that the true verdict of Destiny shall over-write

The falsehood today, and Truth declare victory.

That which is deathless, how can it ever be smothered

By your words of scorn?

The sadhana steeped in truth, nothing shall stand in its way

This I know for sure.

O Royal Savant, those soaring, unifying thoughts of yours

In the store-house of Fate are preserved

Forever, could the hands of Time, ever purloin

The minutest speck of it?

That sacrifice of yours at the shrine of your Motherland

That resolute sadhanafor the Truth

Who would have known- these became from thence

Till the end of time, Bharata’s inheritance!

O Royal Recluse- after ages of obscurity and oblivion

As the swell of the immense rains on mountaintops

Bursts forth from mighty crags, awakened and resurgent

Like an unstoppable fountain-

Likewise you emerged, the world was filled with wonder

He whose vast ensign envelopes the firmament

Where was he concealed for so long, where was he

Retracted in such smallness?

And so, poet of eastern India, I sit and ponder

What glorious sight, this, I see- at the gateway

To Bengal’s courtyard, wherefrom sounds the booming

Trumpet of your resounding victory!

Ripping apart the gloom-laden fabric of the deepest darkness

Accumulated over well-nigh three centuries

The incandescent star of your valiance is arisen today

Sending shafts of radiant light to the eastern horizon.

Nay- the Truth never dies beneath the oblivion

Of a hundred centuries-

Apathy kills it not, it stirs not nor weakens by insult

It takes a hundred knocks but stands tall.

The One considered long since vanquished and silenced

Beyond the field of action

That Truth is today arrived, clad as a venerable guest

At Bharata’s door.

Yet today, its potent mantra, its generous eyes

Gaze upon the future

With rapt attention- what glorious vision it sees

Who is to tell?

O ethereal sage, you are arrived today

Manifest in your meditative image

Yet brought with you your legendary power

To fulfill your mission.

You have not today your ensigns, warriors or steeds

Nor your fierce weapons-

The skies are not rendered insane today

By booming chants of Hara! Hara! Hara!

From the realm of the fathers descended your name

And beckoned one and all-

And in an instant, the adoring heart of the Bengali

Embraced and installed it within her sanctum.

No one had imagined in these three centuries

Nor dreamt in their sleep-

That your hallowed name one day, without battle

Would unite Bengal and Maratha.

The power of your penance, long curtailed in oblivion

Abruptly, today

Like an everlasting message, would instill a fresh new life

Upon a fresh new dawn!

Once, when you had beckoned from the realm

Of Maratha, we knew not

You were the king, we paid not heed, felt not

The slightest shame at that call

Then, when the dazzling luster of your sword

Shone upon Bengal’s skies.

On that ill-omened day we knew not the ferocious lila

Alarmed, we only ran and took shelter.

With your head held high, seated upon the throne

Of Death- the royal diadem

Upon your temple, never shall its divine radiance

Be concealed, ever.

You are revealed, revealed today to us, O Royal One

You are indeed the Maharaja.

Four score million children of Mother Bengal

Shall bow to you with their royal tribute.

Rabindranath Tagore (1861-1941) wrote this Hero Poem commemorating the Maratha Warrior King and Hero, Chhatrapati (Holder of the Great Umbrella) Shivaji, more commonly from his warrior heritage, ShivajiBhonsle (1630-1680). Shivaji, of course, is renowned throughout India and in Indian history as the valiant Maratha warrior-chief who relentlessly and without compromise battled the powerful Mughal Empire, and won victory after victory using great wiliness and of course exceptional courage. This restored pride and confidence among the Hindu

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.