করোনা মোকাবিলায় একটানা লকডাউনেও সংক্রমণে রাশ টানা যায়নি। পঞ্চম দফার লকডাউনেও দেশে লাফিয়ে বাড়ছে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যু। বুধবার সকাল পর্যন্ত স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দেশে নোভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে।
করোনার (corona)সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রুখতে পঞ্চম দফার লকডাউনে শুরু হয়েছে আনলক. ১ তৎপরতা। টানা লকডাউনের (lockdown)পর ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে রাজ্যগুলি। রাজ্যে-রাজ্যে দোকান-বাজার খোলার ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে। শুরু হয়েছে গাড়ি চলাচল।
তবে কন্টেনমেন্ট জোনগুলিতে এখনও রয়েছে বেশ কিছু বিধি-নিষেধ। একইসঙ্গে দোকান-বাজার চালু হলেও করোনা রুখতে সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনেই বাড়ির বাইরে পা রাখতে আবেদন জানানো হচ্ছে নাগরিকদের।
এদিকে লকডাউনের পঞ্চম পর্যায়েও দেশে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বুধবার সকাল পর্যন্ত দেশে নোভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২ লক্ষ ৭ হাজার ৬১৫। করেনায় দেশে মৃত্যু বেড়ে ৫ হাজার ৮১৫। এই মুহূর্তে বাংলাতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬,১৬৮ জন। মৃত বেড়ে ২৬৩।
দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ছড়িয়েছে মহারাষ্ট্রে। বুধবার সকাল পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে নোভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৭২ হাজার ৩০০। মহারাষ্ট্রে করোনায় মৃত বেড়ে ২ হাজার ৪৬৫। সংক্রমণের নিরিখে মহারাষ্ট্রের পরেই রয়েছে তামিলনাড়ু।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী বুধবার সকাল পর্যন্ত তামিলনাড়ুতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২৪ হাজার ৫৮৬। তামিলনাড়ুতে করোনায় মৃতের সংখ্যা ১৯৭। করোনা আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে তারপরেই রয়েছে রাজধানী দিল্লি, গুজরাত-সহ বাকি রাজ্যগুলি।