প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) নেতৃত্বে করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে দেশবাসী সর্বাত্মকভাবে এগিয়ে এসেছে বলে জানিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগত প্রকাশ নাড্ডা (Jagat Prakash Nadda)।শনিবার ইউটিউবে এক লাইভ বার্তায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জানিয়েছেন, করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর আহবানে সর্বাত্মক সাড়া দিয়েছে দেশবাসী।জনতা কার্ফু, আরোগ্য সেতু অ্যাপ, সামাজিক দূরত্ব, মুখে মাস্ক পরা, হাত সেনিটাইজড করা, ফ্রন্টলাইন করোনা যোদ্ধাদের উৎসাহ দেওয়ার মতো আহবানে সর্বাত্মক সাড়া দিয়েছে দেশবাসী। প্ৰধানমন্ত্রী প্রতি আস্থাশীল থাকার কারণে এটা সম্ভবপর হয়েছে।কারণ জনতা মনে করে নরেন্দ্র মোদী থাকলে সমস্ত কিছু সম্ভব।এদিন তিনি করোনা করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রের তৎপরতা নিয়ে বলেন, “করোনা মোকাবিলায় জন ভাগিদারী, জনসচেতনতা, জন বিশ্বস্ততা উপর ভিত্তি করে লড়াই চলছে। প্রধানমন্ত্রী এক ডাকে দেশবাসী যে কোন কিছুতে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে তার উদাহরণ দিতে গিয়ে বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সভাপতি জানিয়েছেন, ২৮ মার্চ পিএম কেয়ার ফান্ড গঠন করা হয়।
গঠনের এক সপ্তাহের মধ্যে ৬৫০০ কোটি টাকা এই ফান্ডে জমা পড়েছে। প্রতিদিন দেশে ১.৬ লাখ পরীক্ষা হচ্ছে। ১০০০ করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল গড়ে তোলা হয়েছে। পিপিই কিট তৈরি করার জন্য এগিয়ে এসেছে দেশের ৬০০ টি সংস্থা। এখন প্রতিদিন ৪.৫ লাখ পিপিই কিট দেশে তৈরি হচ্ছে। ৬০হাজারের বেশি ভেন্টিলেটর এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। যার মধ্যে ৫৮ হাজারের বেশি ভেন্টিলেটর মেক ইন ইন্ডিয়া প্রজেক্ট এর মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। দেশজুড়ে ৬৫০ টি পরীক্ষাগারে করোনা পরীক্ষা হচ্ছে। এই সমস্ত তথ্য সত্যের ওপর ভিত্তি করেই বলা হয়েছে। আত্মনির্ভর ভারত প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে জগত প্রকাশ জানিয়েছেন জনবলের ওপর ভিত্তি করে আত্মনির্ভর ভারতের স্বপ্ন দেখিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ভারত গঠনে শ্রমিকদের ভূমিকা অপরিহার্য। তাদেরকে ফেরানোর জন্য ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফ। বন্দে ভারত প্রকল্পের মাধ্যমে বিদেশে আটকে পড়া প্রবাসী এবং বিদ্যার্থীদের এই দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।”করোনা পরিস্থিতিতে ভেঙে পড়েছে দেশের অর্থ ব্যবস্থা। এই অবস্থা থেকে বেড়িয়ে আসতে প্রধানমন্ত্রীর নেওয়া পদক্ষেপ নিয়ে নাড্ডা বলেন, “দেশের অর্থব্যবস্থাকে স্বাবলম্বী করার জন্য এবং তা পুনরায় চাঙ্গা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী লোকাল থেকে গ্লোবালের আহবানে সাড়া দিয়েছে দেশবাসী। প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনায় ধার্য করা হয়েছিল ১,৭০, ০০০ কোটি টাকা। যার থেকে উপকৃত হয়েছে দেশের কৃষকেরা। ৮০ কোটি মানুষ পাঁচ কিলো করে খাদ্যশস্য এবং এক কিলো করে ডাল পেয়েছে। জন ধন যোজনা মহিলাদের একাউন্টে ৫০০ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। তিন মাস পর্যন্ত এই ধারা বজায় থাকবে। উজ্জ্বলা যোজনায় উপকৃত হয়েছে ৮ কোটি। একশো দিনের কাজে বরাদ্দ করা হয়েছে এক লক্ষ কোটি টাকা। পরিযায়ী শ্রমিকদের খাদ্য ও আশ্রয়ের জন্য ৩৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। বিশ্বের ১১৩টি দেশকে ওষুধ দিয়ে সাহায্য করেছে মোদী সরকার।