দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের (China) বাড়তে থাকা দাদাগিরিকে শায়েস্তা করতে এবার মাঠে নেমে পড়েছে ভারত (India) এবং অস্ট্রেলিয়া। ভারতের আন্দামান নিকোবর দ্বীপ এবং অস্ট্রেলিয়ার কোকো দ্বীপে পরস্পরের সৈন্য স্থাপনের লক্ষ্যে এগোচ্ছে এই দুই দেশ।
চীন দেখাচ্ছে দাদাগিরি
বিগত কিছুদিন ধরেই ভারতের লাদাখ সীমান্তে LAC-তে চীনের অনুপ্রবেশ এবং সংঘর্ষ লেগেই রয়েছে। এছাড়া সিকিমেও হামলা চালানোর চেষ্টা করেছিল চীন। কিন্তু ভারত সেই উদ্যেশ্যকে সফল হতে দেয়নি। আবার অন্যদিকে, করোন ভাইরাসের বিষয়ে চীনকে দোষারোপ করায়, অস্ট্রেলিয়ার অর্থনৈতিক পরিবেশ ভেঙ্গে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছে চীন। বর্তমানে ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ার সাথে চীনের সম্পর্ক একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে।
ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া জোট বাঁধছে
চীনের দাদাগিরির যোগ্য জবাব দিতে বর্তমান দিনে হাতে হাত মিলিয়েছে ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীরা এক বৈঠকের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন কিভাবে ভারতের আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে এবং অস্ট্রেলিয়ার কোকো দ্বীপে পরস্পরের সেনা মোতায়েন করা যায়।
সুরক্ষিত করতে হবে এন্ট্রি এবং এক্সিট পয়েন্ট
ভারতের আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, মালাক্কা স্ট্রেইট খুব কাছাকাছি অবস্থান করছে। তেমনই অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার কোক দ্বীপ, স্ট্রেইট অফ সুন্ডা এবং স্ট্রেইট অফ লম্বার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে অবস্থিত। এই তিন স্ট্রেইট হল ভারত মহাসাগর এবং প্রশান্ত মহাসাগরের প্রবেশ এবং নির্গমনের পথ। আবার এই দুই বৃহৎ মহাসাগরের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে দক্ষিণ চীন সাগর। সেই কারণে আশঙ্কা করা হচ্ছে, চীন যদি দক্ষিণ চীন সাগরে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে থাকে, তাহলে তা ভারতের পক্ষে সমস্যার সৃষ্টি করবে।
অপরদিকে স্ট্রেইট অফ সুন্ডা এবং স্ট্রেইট অফ লম্বাতে যদি চীন কবজা করে নেয়, তাহলেও অস্ট্রেলিয়ার উপর সংকট তৈরি হবে। সেই কারণে ওই অঞ্চলগুলোকে সুরক্ষিত করাটাই বর্তমানে সবথেকে জরুরী। এই পরিস্থিতিতে আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এবং কোকো দ্বীপে নিজেদের সেনা মোতায়েন করলে, কিছুটা হলেও চীনের বৃদ্ধিকে প্রতিহত করা যাবে।