রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি ক্রমশ উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের নিরিখে কলকাতাকে পিছনে ফেলল মালদহ। সেখানে একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৪, আর কলকাতায় এই সংখ্যা ২৮। সবমিলিয়ে রাজ্যে করোনা আক্রান্ত ৩৬৬৭ জন। মারণ ভাইরাসের বলি এখনও পর্যন্ত ২০৬। বুলেটিন দিয়ে নতুন পরিসংখ্যান প্রকাশ করল রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর।
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে সবমিলিয়ে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৪৯ জন। মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের, যা সাম্প্রতিক সময়ে বেশ খানিকটা কম। সুস্থ হয়ে ফিরেছেন ৩৭.০৬ শতাংশ রোগী। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে নমুনা পরীক্ষা। এ পর্যন্ত রাজ্যে প্রায় দেড় লক্ষ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। যার ফলে আরও দ্রুত করোনা রোগীকে শনাক্ত করে চিকিৎসা শুরু করা সম্ভব হচ্ছে বলে মনে করছে চিকিৎসক মহলের একাংশ।
তবে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে জেলায় জেলায় করোনা সংক্রমণের পরিসংখ্যান। গ্রিন জোনে থাকা জেলাতেও থাবা বসাচ্ছে মারণ ভাইরাস। এতদিন অরেঞ্জ জোনে থাকা মালদহে সম্প্রতি হু হু করে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় তা নিয়ে চিন্তিত স্বাস্থ্য মহল। স্বাস্থ্য দপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মালদহে একসঙ্গে ৩৪ জনের শরীরে মিলেছে করোনার জীবাণু। পরিযায়ী শ্রমিকদের থেকেই সংক্রমণের এত দ্রুত বৃদ্ধি বলে মনে করা হচ্ছে। কলকাতায় এই সংখ্যাটা ২৮। এছাড়া বাঁকুড়া জেলাতেও বাড়ছে সংক্রমণ। তবে এসবের মধ্যেও সুস্থতার হার কিছুটা আশা জোগাচ্ছে।
এখনও পর্যন্ত এ রাজ্যে করোনা মুক্ত জেলার সংখ্যা তিন – আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, পুরুলিয়া। তবে সেসব জায়গাতেও পরিযায়ী শ্রমিকরা ফেরায় তাঁদের মাধ্যমে কামড় বসাতে পারে নোভেল করোনা ভাইরাস, এই আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। চতুর্থ দফা লকডাউনের মাঝে যান চলাচল, বিভিন্ন দোকানপাট খুলতে রাজ্য সরকার অনুমতি দিলেও সংক্রমণ যাতে না ছড়ায় তার জন্য সামাজিক দূরত্ব এবং যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কঠোর নির্দেশিকাও জারি হয়েছে।