“যারা আরএসএসের বিরুদ্ধে মুসলমানদের মধ্যে বিদ্বেষ তৈরি করে তাদের লজ্জিত হওয়া উচিত”, জানুন – মুম্বাইয়ের বাঙালি মুসলমানদের সহায়তার জন্য, বাংলার এনজিও আরএসএসকে ধন্যবাদ জানিয়েছে

কোভিড-19 লকডাউন এর কঠিন পরিস্থিতিতে বর্ষীয়ান নাগরিক,অসহায় শ্রমিক এবং বিভিন্ন স্তরের মানুষদের সাহায্যার্থে এগিয়ে এসেছেন মুম্বাইয়ের (Mumbai) আর.এস.এস. (RSS) এর জনকল্যাণ সমিতি।বয়স,ভাষা, জাতি তথা ধর্মের ভিত্তিতে কখনোই রাষ্ট্রীয় স্বয়মসেবক সংঘের সেবা ব্রত সীমাবদ্ধ থাকেনি।স্বামী বিবেকানন্দের প্রখ্যাত উক্তি,”জীবে প্রেম করে যেজন সেজন সেবিছে ঈশ্বর।“– সর্বদাই স্বয়মসেবকদের সেবা কাজের মধ্যে দিয়ে প্রতিফলিত হয়।

   সাম্প্রতিককালে যখন বিভিন্ন গণমাধ্যম আর আস আস এর বিরুদ্ধে  সাম্প্রদায়িক হওয়ার অভিযোগ আনতে ব্যাস্ত,এমত পরিস্থিতিতে নিঃসারথ ভাবে বাঙালি মুসলিমদের পাশে দাঁড়ানোটা নিসন্ধেহে সমালোচনার  বিরুদ্ধে একটি যোগ্য জবাব।দি অর্কিড ফাউন্ডেশন অব ইন্ডিয়া র চেয়ারম্যান সোহেল রানা আলমের বক্তব্য সংঘের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে উঠে আসা মুসলিম বিরোধী নামক মিথ্যে প্রচারকে সম্পূর্ণ নস্যাৎ করে।তিনি জানান ,”আমি বিজাপি সমর্থক নই এবং বিভিন্ন সময়ে আমি সংঘের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেও সত্যকে স্বীকার করতে আমি কখনোই ভয় পাইনা”

লক ডাউনের মধ্যে মুর্শিদাবাদ এর ৫-৬জন বাঙ্গালী মুসলিম শ্রমিক মুম্বাই এর ধারাবি এবং বাঁকুড়া সহ অন্যান্য জেলার ৭-৮ জন পরিযায়ী শ্রমিক ঘাটকোপার এলাকায় আটকে পড়েন।এই সময় সোহেল আলম সাহায্য চেয়ে ঘাটপোকর-এর এ.সি.পি. কে ফোন করলে তিনি তাকে কন্ট্রোল রুমের নম্বর দেন।পরবর্তীকালে তিনি কন্ট্রোল রুমের সাহায্যে লোকাল আর আস আস নেতা মহেশ কুলকার্নির সাথে যোগাযোগ করেন,মহেশ ভাবে ওই এলাকার উদ্ধার কাজের ডইটি ছিলেন।কিন্তু কন্ট্রোল রুম থেকে যখন সোহেল আলমকে মহেশ বাবুর নম্বর দেওয়া তখন তার কাছে মহেশ বাবুর পরিচয় গোপন করে  আর আস আস এর পরিবর্তে এনজিও প্রতিনিধি হিসেবে জানানো হয়।

এর ফলে সোহেল আলম মহেশ বাবুর সাথে যোগাযোগ করলে যখন তিনি জানান যে তিনি একজন স্বয়মসেবক,তখন সঙ্গ সম্পর্কে পূর্বের ভ্রান্ত ধারণা থেকে সোহেল আলম একটু ইতস্তত হয়ে বলেন,আমি একজন মুসলিম এবং দরিদ্র মুসলিম ও,আর.এস.এস সম্পর্কে আমার সমস্ত ভুল ধারণা ছিল,আমি বুঝতে পারছিনা সাহায্য চাইব কিনা।উত্তরে মহেশবাবু জানান,"আমরা আগে মানুষ এবং পরে অন্য কিছু,আর এস এস আমাদের কোনরকম ভেদ না করে মানুষের সেবা করতে শেখায়।"এই কথায় সোহেল আলম স্তম্ভিত হয়,সে আগে কখনো সংঘের এই দিক গুলো দেখেনি।মহেশের মাধ্যমে ধরাবি তে আটকে পড়া অসহায় শ্রমিকেরা ত্রাণ সামগ্রী লাভ করে।

অন্যদিকে ঘাটকোরা তে আটকে পড়া বাঁকুড়ার পরিযায়ী শ্রমিকদের সাহায্যের জন্যে সোহেল আন্ধেরির ডি সি পি আকবর পাঠান এবং ধারাবী থানায় বারংবার ফোন করে সাহায্য চাইলেও কোনো লাভ হয়নি।তখন পূর্বের অভিজ্ঞতা থেকে সোহেল প্রথমে মহেশ বাবু এবং তার মাধ্যমে সংঘের ধারবীর নগর কর্যবহ গণেশ পন্দীর সাথে যোগাযোগ করেন।সোহেল বলেন,এই পরিস্থিতিতে আমরা গণেশ বাবুর থেকে সাহায্য পাই,আমরা তার প্রতি কৃতজ্ঞ।আমি সবসময় আর এস এস এবং বিজাপিত আদর্শের ঘোর বিরোধী ছিলাম।কিন্তু এই দুই মানুষের প্রতি আমি সারাজীবন কৃতজ্ঞ থাকবো….তা নাহলে সেটা অন্যায় হবে।

পন্দী বাবু বলেন,একজন ভারতীয় হিসেবে আমাদের কর্তব্য মানুষের সাহায্য করা,সে যে ধর্মেরই হোক না কেনো এবং এই পরিস্থিতিতে আরো সাহায্যের প্রয়োজন হলেও তারা সর্বদাই প্রস্তুত।সোহেল আলম জানান তিনি আরো ৩০জন দুঃস্থ মানুষের রেশনের জন্য পন্দী বাবুকে জানালে তিনি সেগুলোর ব্যবস্থা করেন।সোহেলের কথায়,কিছু সংকীর্ণ চিন্তার মানুষ যতই হিংসা ছড়াক না কেনো।

সাম্প্রতিককালে যখন বিভিন্ন গণমাধ্যম আর আস আস     এর বিরুদ্ধে  সাম্প্রদায়িক হওয়ার অভিযোগ আনতে ব্যাস্ত,এমত পরিস্থিতিতে নিঃসারথ ভাবে বাঙালি মুসলিমদের পাশে দাঁড়ানোটা নিসন্ধেহে সমালোচনার  বিরুদ্ধে একটি যোগ্য জবাব।দি অর্কিড ফাউন্ডেশন অব ইন্ডিয়া র চেয়ারম্যান সোহেল রানা আলমের বক্তব্য সংঘের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে উঠে আসা মুসলিম বিরোধী নামক মিথ্যে প্রচারকে সম্পূর্ণ নস্যাৎ করে।তিনি জানান ,”আমি বিজাপি সমর্থক নই এবং বিভিন্ন সময়ে আমি সংঘের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেও সত্যকে স্বীকার করতে আমি কখনোই ভয় পাইনা”

পন্দী বাবু জানান,একজন ভারতীয় হিসেবে আমাদের কর্তব্য মানুষের সাহায্য করা,সে যে ধর্মেরই হোক না কেনো এবং এই পরিস্থিতিতে আরো সাহায্যের প্রয়োজন হলেও তারা সর্বদাই প্রস্তুত।সোহেল আলম জানান তিনি আরো ৩০ জন দুঃস্থ মানুষের রেশনের জন্য পন্দী বাবুকে জানালে তিনি সেগুলোর ব্যবস্থা করেন।সোহেলের কথায়,কিছু সংকীর্ণ চিন্তার মানুষ যতই হিংসা ছড়াক না কেনো স্বয়মসেবকদের মত যারা প্রকৃত মানুষ তারা সবসময়ই জাতি ধর্ম রাজনৈতিক চিন্তা নির্বিশেষে মানুষের সাহায্য করে যাবেন।মহেশ বাবু এবং পান্দি বাবু দুজনকেই আমার অনেক শুভেচ্ছা,তারা প্রমাণ করে দিয়েছেন মনুসত্বই সব কিছুর উর্দ্ধে।আমি আমার ফেসবুক ওয়ালে এই ঘটনা শহরে করেছি এবং ইতিমধ্যে ৯০ শতাশেরও বেশি তাতে ইতিবাচক কমেন্ট করেছেন।যে সমস্ত মিডিয়া শুধুমাত্র নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য অসত্য খবর পরিবেশন করে হিংসা চূড়ায় ও চাতুকারুরিরা সাংবাদিকতা করেন তাদের এই ঘটনার পর লজ্জা বোধ করা উচিত বলে মন্তব্য করেন সোহেল আলম।

রাষ্ট্রীয় স্বয়মসেবক সংঘই বোধহয় পৃথিবীর সেই গঠনমূলক এবং সেবামূলক সংগঠন যারা শুরু থকে সব থেকে বেশি অপপ্রচারের শিকার হোয়ে এসেছে।মুম্বাই র এই ঘটনা আরো একবার সমাজ এবং রাষ্ট্রের প্রতি আর এস এস এর দায়বদ্ধতা কে তুলে ধরলো।কোনো প্রকার প্রচারের আলোতে না গিয়ে সবসময়ই ভ্রান্ত অপপ্রচারের শিকার হওয়া একটি সংগঠন কিভাবে নিঃশব্দে সমস্ত দুর্যোগ উপক্ষা করে মানুষের সাহায্য করে চলছে টা আরো প্রমাণিত হলো।একজন মুসলিম উদ্যোগী র পূর্ব ধারণা এবং তার পরিবর্তিত বর্তমান বাস্তব অভিজ্ঞতা ও মন্তব্য ইয়োলো জারনালিসম এর চোখ না খুললেও সাধারণ মানুষের মাঝে সঠিক বার্তা ঠিকই পৌঁছে দেবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.